মুমিন মুসলমানের উচিত, দুনিয়ার তুলনায় পরকালকে প্রাধান্য দেওয়া। পরকালের সীমাহীন জীবনের প্রস্তুতি নিজেদের তৈরি করা। দুনিয়াকে পরকালের শস্যক্ষেত্র হিসেবে গ্রহণ করা। বস্তুত আখেরাতের চিন্তা-চেতনাই সব রোগ ও সমস্যার একমাত্র প্রতিকার এবং অপরাধ দমনের সার্থক উপায়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরকালে সম্বল উপার্জনে দুনিয়াকে ব্যবহার করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়ার জীবনে পরকালের সম্পদ অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন
মনে রাখা উচিত, দুনিয়ার চাকচিক্য মহান আল্লাহর কাছে মূল্যহীন। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ব্যাপারে চমৎকার একটি দৃষ্টান্ত দিয়েছেন। যা মানুষকে দুনিয়ার অনর্থক জীবন থেকে পরকালের নেয়ামতে ভরপুর জীবনের দিকে ফিরিয়ে নিতে সাহায্য করবে। হাদিসে পাকে এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার কোন এক উচু স্থান দিয়ে বাজারে প্রবেশ করলেন। বাজার লোকে লোকারণ্য। তিনি একটি কানকাটা মরা ছাগলের পাশ দিয়ে গেলেন। তিনি সেটির কানের বাকী অংশে ধরলেন। তারপর বললেন- কে এটিকে এক দিরহামের বিনিময়ে ক্রয় করতে রাজী আছ?
লোকরা বললো- আমরা কেউ এটিকে কোনো কিছুর বিনিময়ে গ্রহণ করব না। আর আমরা এটাকে নিয়ে কি করবো? নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তোমরা কি চাও যে, এটা তোমাদের হোক? তারা বললো- যদি জীবিতও থাকতো তারপরও সেটা দোষযুক্ত ছিল; কেননা তার কান নেই। তার ওপর এটা মৃত।
তখন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- আল্লাহর শপথ করে বলছি! দুনিয়া আল্লাহর কাছে এর চেয়েও বেশি মূল্যহীন।’ (মুসলিম)