শ্রীকান্ত ২য় পার্ট | ##
Discover postsExplore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
শ্রীকান্ত ২য় পার্ট | ##
বিশ্বাস করুন! আপনি আজ এখন মারা গেলে কিছু মানুষ "ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন" টুকুও পুরোপুরি বলবেনা! মানুষ ঐ "ইন্না-লিল্লাহ" পর্যন্ত বলবে।
তাই আপনি বেঁচে থাকতে "মানুষ কি বলবে" টার্ম এ বিশ্বাস করে মরবার আগেই লক্ষবার মরবার দরকার নেই! একটু প্রাণ ভরে শ্বাস নিন! বাঁচুন! নিজের কাছে নিজে সৎ থাকুন।
#পাছে লোকে কি বললো সেদিকে কান দেওয়ার দরকার নেই,
তাহলেই জীবন সুন্দর হয়ে দাড়াবে।
আম্মু পিঁয়াজ-রসূন ব্লেন্ডার করতে বসছেন। আমি গিয়ে ফ্যান ছাড়ছি। এর মধ্যেই কারেন্ট চলে গেছে। এখন সব দোষ আমার। আমি ফ্যান ছাড়ায় না-কি কারেন্ট চলে গেছে। আমি ভালো না, আমার জাত ভালো না, শয়তানের গুষ্টি আমি। একে একে ধুয়ে দিচ্ছেন আমার নিরীহ পরিবারকে।
পুরাই বেক্কল বনে আছি ভাই! মায়েরা এমন কেন?😒
নিখোঁজ সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রথমেই কে কাঁদবে?
এতো আহ্লাদের তুমি, তোমার কি দু'চোখ ভিজবে?
হয়তো মধ্যরাতে বাড়ি না ফেরাতে বারান্দার গেইটে
নিঘুম পায়চারি করে যাবে লয়ার্ড,ঘুম ভেঙে ভেঙে
কুলম্যান বিছানার দিকে তাকাবে সোফা হতে।
কবি বাড়ি ফিরে আসেনি। এই সংবাদ প্রিয়তমার কাছে পৌছাবে দেরিতে। রাতভর রোমান্টিক ভিডিও আর বান্ধবীদের সাথে চ্যাট করা শেষে বড়লোকি ঘুমে ব্যস্ত থাকবে আহ্লাদি প্রেমিকা। মানুষ কেনো প্রেমিকার দ'চোখে মায়া খুঁজে। কতো সহস্র প্রশ্নের অর্ধেক সমাধান শেষে। পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে আপন ঘরে ফেরে মানুষ। স্বৈরাচারের কালো খুনি রা কতো কবি প্রেমিকের বুকের বামপাশ হতে ছিনতাই করে নিয়েছিলো প্রেমিকার ঘ্রাণ। কবি শেষ বার পৃথিবীর পানে দু'চোখ রেখে প্রিয়ার কালো চোখের মায়া কাটাতে চেয়েছিলেন। খুনিদের কালো গাড়ির লাইট নেভানো ছিলো। মধ্যরাতের তারার আলোতে কবি দেখেছিলেন খুনিদের কি নিলজ্জ হাসি। এইসব স্বৈরাচারের খুনিদের বিচার কি কবির প্রেমিকা চাইবে। গণমানুষ আত্মভোলা ভুলে গেছে কক্সবাজারের দু'চোখ বাঁধা নুরুর কথা নিথর দেহের কথা। ভুলো গেছে হবিগঞ্জের বাচ্চা দু'টোর আর্তনাদের কথা। তারা এখন প্রশ্ন তুলে কেনো ঘন ঘন লোডশেডিং? খুনি স্বৈরাচারের লুটপাটের ফসল এই লোডশেডিং খুবই কম পত্রিকা লিখবে।
কবি বাড়ি ফিরে না এলে প্রেমিকার দু'চোখের কাজল জলে ভিজে মুছে যাবে। কবির স্মৃতি মুছে যাবে দ্বিপ্রহরে প্রেমিকার হৃদয় হতে। আজকাল তাই আর শালিকেরা সংসার পাতে না। ভয় দ্বিধা সংকটে প্রেমের উপাখ্যান। কবি কি বাড়ি ফিরে এসেছিলো?
রাজপথে কেনো যেনো মধ্যরাতে এখনো চিৎকার করে করে যায় লুটতরাজের ভ'রা মৌসুমে সব শালাই দেশপ্রেমিক হতে চায়!
কবি কি নিশ্চুপ ফিরে এসেছিলো?
কবিতা
আতহার ফিদা
‘মৃত্যু’ যতটা নিশ্চিত, তার আগমনের সময়কাল ততটাই অনিশ্চিত। পূর্ব নির্ধারিত কোনো শিডিউল নেই। আগাম ঘোষণা ছাড়া হাজির হবে, যেকোনো মুহূর্তে অপ্রত্যাশিত ও অনাকাক্সিক্ষত সময়ে।
‘সূরা নিসার আটাত্তর’ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সতর্ক করেন — ‘তোমরা যেখানেই থাকো, মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই। যদিও তোমরা সুদৃঢ় সুউচ্চ দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করো।’
সুতরাং মৃত্যুর প্রস্তুতি সদা নিয়ে রাখা চাই। চাকচিক্যময় এ দুনিয়ায় কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। তাই তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের ভাষ্যমতে— ‘দুনিয়ার মুহব্বত সব পাপ ও অনিষ্টের মূল। আর মৃত্যুর স্মরণ নশ্বর জগতের সব আসক্তিকে নির্মূল করে দেয়’।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা মৃত্যুকে কখনও স্মরণ করি না। মনে উদয় হয় না— এই ক্ষণিকালয় ছেড়ে যেতে হবে যে অন্ধকার কবরে। অথচ এই মৃত্যুই পরকালীন অসীম জীবনের সেতুবন্ধ ও চিরস্থায়ী অনন্তযাত্রার বাহন। সেই অনন্তযাত্রার পালকিতে চড়ে পাড়ি দিতে হবে বাস্তবতার দিকে, চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশের পথে। সেদিন ইনসাফের মহামহিমের আদালতে ‘মৃত্যু’ যতটা নিশ্চিত, তার আগমনের সময়কাল ততটাই অনিশ্চিত। পূর্ব নির্ধারিত কোনো শিডিউল নেই। আগাম ঘোষণা ছাড়া হাজির হবে, যেকোনো মুহূর্তে অপ্রত্যাশিত ও অনাকাক্সিক্ষত সময়ে।
‘সূরা নিসার আটাত্তর’ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সতর্ক করেন — ‘তোমরা যেখানেই থাকো, মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই। যদিও তোমরা সুদৃঢ় সুউচ্চ দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করো।’
সুতরাং মৃত্যুর প্রস্তুতি সদা নিয়ে রাখা চাই। চাকচিক্যময় এ দুনিয়ায় কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। তাই তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের ভাষ্যমতে— ‘দুনিয়ার মুহব্বত সব পাপ ও অনিষ্টের মূল। আর মৃত্যুর স্মরণ নশ্বর জগতের সব আসক্তিকে নির্মূল করে দেয়’।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা মৃত্যুকে কখনও স্মরণ করি না। মনে উদয় হয় না— এই ক্ষণিকালয় ছেড়ে যেতে হবে যে অন্ধকার কবরে। অথচ এই মৃত্যুই পরকালীন অসীম জীবনের সেতুবন্ধ ও চিরস্থায়ী অনন্তযাত্রার বাহন। সেই অনন্তযাত্রার পালকিতে চড়ে পাড়ি দিতে হবে বাস্তবতার দিকে, চূড়ান্ত হিসাব — নিকাশের পথে। পার্থিব জীবনের প্রতিটি প্রহরের হিসাব দিতে হবে ইনসাফের মহামহিমের আদালতে। সেদিনের অনুশোচনা কোনো কাজে আসবে না। ইরশাদ হচ্ছে, ‘আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব, তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে’ (সূরা ইয়াসিন : ৬৫)।
এজন্য আমাদের সকলের উচিত মৃত্যু পরবর্তী হিসাবের পূর্বে, আমরা নিজেরা নিজেদের জীবনের অঙ্ক মিলিয়ে নিই। আমরা কি আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলছি— নাকি তাঁর অবাধ্য হচ্ছি। ইত্যাদির হিসাব মিলিয়ে সঠিক পথে চলতে শুরু করি। নতু'বা মৃত্যুর পর আক্ষেপ করা ছাড়া কোনো পথ খোলা থাকবে না।
اَللَّهُمَّ ارْزُقْنِيْ فِيْهِ طَاعَةَ الْخَاشِعِيْنَ، وَاشْرَحْ فِيْهِ صَدْرِيْ بِإِنَابَةِ الْمُخْبِتِيْنَ، بِأَمَانِكَ يَا أَمَانَ الْخَائِفِيْن
‘হে আল্লাহ! এদিনে আমাকে তোমার বিনয়ী বান্দাদের মতো আনুগত্য করার তাওফিক দাও। তোমার আশ্রয় ও হেফাজতের ওসিলায় আমার অন্তরকে প্রশস্ত করে তোমার ভয়ে ভিরু ও বিনয়ী বান্দাদের অন্তরে পরিণত করে দাও। হে আল্লাহ ভিরুদের আশ্রয়দাতা।’
اللهم اغسل قلبي بماء الثلج والبرد، ونق قلبي من الخطايا كما نقيت الثوب الأبيض من الدنس، وباعد بيني وبين خطاياي كما باعدت بين المشرق والمغرب
‘হে আল্লাহ! আমার অন্তরকে বরফ ও শীতল পানি দিয়ে ধৌত করুন। আর আমার অন্তর গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করে দিন, যেভাবে আপনি শুভ্র বস্ত্রের ময়লা পরিষ্কার করে থাকেন এবং আমাকে আমার গুনাহ থেকে এতটা দূরে সরিয়ে রাখুন, পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তকে পশ্চিম প্রান্ত থেকে যত দূরে রেখেছেন।’
#সৈয়দ মুকসিত
MH Mehedi Hasan
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?