আজকের হাদিস | #হাদিস
Discover postsExplore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
আজকের হাদিস | #হাদিস
থাক রেখে দেন মাছ। নিবো না। শুধু শুধু আপনাকে কষ্ট দিলাম।
- ক্যান মামা মাছ মাপলাম, দরদাম করলেন এখন আবার নিবেন না ক্যান?
বললাম, দশ টাকা কম আছে।
- আহ মামা কন কী! শর্ট যখন আছেই তখনতো আর আপনার দোষ নাই। নেন মাছটা নেন। অন্যদিন দেখা হলে দিয়ে দিয়েন আর নাইলে দাবি নাই।
মাছ নিয়ে বাসায় ফিরলাম।
বাসের সুপারভাইজারের এক কথা- ভাড়া পনের টাকার এক টাকাও কম না কিন্ত। এইটা গেটলক বাস মামা।
বললাম, পাঁচ টাকা শর্ট আছে।
বেজায় কড়া সুপারভাইজার মুহূর্তেই গলে গিয়ে বলল- তাইলে আর কী করার, উঠেন মামা। ভাড়া লাগবো না।
ফলফলাদির দোকানে। মামা একটা আমলকি টেস্ট করে দেখি! কিনতে পারবো না কিন্তু।
- আরে মামা খাইবেনই তো। খান খান। কেনা লাগবো না। বলেই বেচারা একটা সুন্দর দেখে আমলকি শুধু বেছেই দিলো না বরং ঘাড়ে ঝুলানো গামছা দিয়ে আবার মুছেও দিল।
এই যে চারটা উদাহরণ দিলাম, এগুলোই হয় আমার, আপনার আশেপাশে অহরহ। এখানে এক পক্ষ লাভের আশার চেয়ে মানবিক দিকটাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়।
এগুলো মার্কেটিং বা অবুস্তগত ইনভেস্টমেন্ট নয়। শ্রেফ মানবিকতা।
এই মানবিকতা যতোদিন, ততোদিন কিছু হলেও সুখ সুখ ভাব লাগবে উভয়ের মনে। কিন্তু দিন বদলাচ্ছে দ্রুত গতিতে। আমরা চরম ''উন্নতি'' করছি।
কোনো চেইন শপে গেলেন। অনেক পছন্দের একটা জিনিস নিলেন। দাম দেয়ার সময় যদি এক টাকাও কম হয় আপনি নিতে পারবেন না। মেশিন পিক পিক আওয়াজ করবে । আপনাকে সেখানে কেউ ছাড় দেবে না। দেবেই বা কেন! ওখানে যারা আছে সবাইতো চাকরিজীবী।
তাদের পকেট থেকে গচ্ছা যাবে যে। প্রযুক্তি এমনই। হিসাব নিকাশে ভুল যেন নাহয় তাই নানান রকম বার কোড, ভ্যালু কোড বসানো হয়েছে। খাপে খাপ মিলতে হবে। কোড ছাড়া ক্যাশের ড্রয়ার খুলে না।
মামা, ভালো দেইখা দিয়েন কিন্তু, কিম্বা আরে মামা দুইডা খাইয়া টেস্ট কইরা লন এমনটা বলার সুযোগ নেই।
যুগটা এমনই হয়েছে। ভালোবাসাহীন, বিবেকহীন মেশিনের সাথে আমাদের বসবাস বাড়ছে। দুনিয়া আগাচ্ছে, আমরা আস্তে আস্তে ভালোবাসাহীন হয়ে পড়ছি।
আমলকি মুখে দেয়া দূরের কথা, হাতে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনো একদিন রোবট বিক্রেতা আপনার হাত চেপে ধরবে- বলবে, ব্যাটা হাত দিছস ক্যান? কুইক দশ টাকা লোড মার। নইলে বের হবার গেট পাস পাবি না...
একটা জেনারেশনকে বোঝানো হয়েছিল -
'বিকেলে মাঠে খেলতে যাওয়ার চাইতে টিউটরের কাছে পড়াটা বেশি ইম্পর্ট্যান্ট!'
এরা বিকেলে মাঠ ছেড়ে পড়ার টেবিলে চলে গেল। আর মুরুব্বিরা দেখলেন, মাঠ ফাঁকা ফেলে রাখার চাইতে উঁচু ইমারত নির্মাণ করাটা more beneficial, more practical!!
বেঁচে থাকতে হলে লাইফে Entertainment দরকার। সুস্থ এন্টারটেইনমেন্টের মাধ্যমগুলো একে একে বন্ধ করে দেয়া হল। জেনারেশন সেটাকে রিপ্লেস করলো মোবাইল, পিসি আর প্লে-স্টেশন দিয়ে। কেউ অপরিণত বয়সে রিলেশনে জড়িয়ে গেল। কোথাও কিশোর গ্যাং তৈরী হল।
তারপর হঠাৎ মুরুব্বিদের বোধোদয় হল -
'আরে, এই জেনারেশনটা এমন যাচ্ছেতাই কেন!'
বিরাজবৌ ১১তম খন্ড | ##
'কোরআন শরীফ' নামে একটা হিন্দি কবিতা লিখেছিলেন কবি শঙ্কর দয়াল শর্মা। ইনিই সেই লোক, যিনি ছিলেন ভা র তের নবম রাষ্ট্রপতি। কবিতাটা পড়ে বিশাল এক ভাবনার খোরাক জাগলো। সবার বোঝার সুবিধার্তে বাংলা অনুবাদও যুক্ত করে দিলাম সাথে।
কোরআন শরীফ
আমল কি কিতাব থি,
দুয়া কি কিতাব বনা দিয়া।
( বাংলা অনুবাদ: আমল করার কিতাব ছিলো,
দোয়ার কিতাব বানিয়ে দিয়েছো )
সমঝ্নে কি কিতাব থি,
পড়নে কা কিতাব বনা দিয়া।
(অনুধাবন করার কিতাব ছিলো,
পাঠের কিতাব বানিয়ে দিয়েছো )
জিন্দাওঁ কা দস্তুর থা,
মুর্দাওঁ কা মনশুর বনা দিয়া।
(জীবিতদের জীবনবিধান ছিলো,
মৃতদের ইশতেহার বানিয়ে দিয়েছো )
জো ইলম্ কি কিতাব থি
উসে লা-ইলমোঁ কে হাথ থমা দিয়া।
( যেটা ছিলো জ্ঞানের কিতাব,
মূর্খদের হাতে ছেড়ে দিয়েছো )
তশখীর-এ-কয়েনাৎ কা দর্স দেনে আয়ি থি,
সির্ফ মদ্রাসোঁ কা নিসাব বনা দিয়া।
(সৃষ্টির জ্ঞান দিতে এসেছিলো এটা,
স্রেফ মাদ্রাসার পাঠ্য বানিয়ে দিয়েছো )
মুর্দা কওমোঁ কো জিন্দা করনে আয়ি থি,
মুর্দোঁ কো বখশ্ওয়ানে পের লগা দিয়া।
(মৃত জাতিদের বাঁচিয়ে তুলতে এসেছিলো এটা,
মৃতের জন্যে দোয়ার কাজে লাগিয়ে দিয়েছো )
অয় মুসলমানোঁ, ইয়ে তুম নে ক্যা কিয়া?
(হে মুসলমানেরা, এ তোমরা কী করেছো?)
উনি অন্যধর্মের মানুষ হয়েও পবিত্র কোরআনকে নিয়ে যে উপলব্ধি অর্জন করতে পেরেছিলেন, সেটা আমরা মুসলমান হয়েও কতজন করতে পারছি?
সাপ নিয়ে অন্তত ছয়টি বই আছে আমার লাইব্রেরীতে।
চন্দ্রবোড়া মূলত একটি নিশাচর সাপ। এর মূল খাবার হচ্ছে ইঁদুর।
স্ত্রী চন্দ্রবোড়া মে থেকে জুলাই মাসে বাচ্চা দেয় প্রায় ৬ থেকে ৬৩ টি।
এটি চলাফেরা করে খুবই ধীরে, কিন্তু আক্রমণ করে বিদ্যুৎ বেগে।
অনেকে বলছেন এটি নিজে থেকে তেড়ে আসে। কথাটি সত্য নয়। নিরুপায় হয়ে শেষ প্রতিকার হিসেবে এরা কামড় দেয়। এর আগে হিস হিস শব্দ করে। অধিকাংশ মানুষ রাতের বেলায় এর কামড় খায়।
সাপেদের বিবর্তনের সর্বোচ্চ স্থানে এই ভাইপার বা বোড়া। এরা প্রচুর বিষ করতে পারে কিন্তু গোখরার মত এদের বিষ ততটা তীব্র নয়।
ইঁদুরের উৎপাত যেখানে বেশি, সেখানেই তার থাকার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া এখন পানির জন্য তাদের থাকার জায়গা কমে যাওয়ায় এরা ইঁদুর ছাড়াও আসতে পারে।
কাজেই সাবধানে থাকুন, আতংকিত নয়।
সতর্কতা ছড়ান, আতংক নয়।
শুভকামনা সবাইকে।
ডা.আবরার জাবের