Discover postsExplore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
ক্লাস করার পরে তিনজন মিলে ক্যান্টিনে গিয়ে নাস্তা করতেছি এমন সময় মেয়েটি মানে আমার ক্রাশ আসলো😜😜😜
এসে সোজায় আমার পাশে বসলো, আমার হাত পা কাঁপতে শুয়ে করে দিয়েছে।আসলে মেয়েদের প্রতি আমার এলার্জি আছে,, কাছে থাকলেই কেমন জানি ভয় ভয় লাগে🙃🙃🙃
যাইহোক, মেয়েটি কে আমার পাশে বসতে দেখে রাফি আর সিফাত অন্য টেবিলে বসলো।
আমার হাত কাঁপছে দেখে মেয়েটি বললঃ এই যে,মশাই কাপতেছো কেন???
আমিঃ কই নাতো,,,(সত্যি টা বললে মন সম্মান আর থাকবে না)
মেয়েটিঃ বাই দা ওয়ে,, তোমার নাম কি?
আমিঃ সাহিদ হাসান সাহি। আপনার?
মেয়েটিঃ সামিয়া জাহান।
আমিঃ আহা কি নামরে যেমন চেহারা তেমন নাম।আবার ক্রাশ খেলাম,,(বিড়বিড় করে)
সামিয়াঃ কিছু বললে।
আমিঃ কইইই ন নাতো।
সামিয়াঃ তোমার নাম্বার দেও।
আমিঃহোয়াট,,, আমি কেন আপনার মতো ডাইনিকে নাম্বার দিতে যাবো। আমাকে কি ঐ রকম ছেলে মনে হয়,,।( ভাব নিয়ে)
সামিয়াঃ কি বললি,😠😠😠😠
আমিঃকইই কিছু না।এই নিন নাম্বার,০১৭৬৪৪৯****
( এহেরে ভাব নিতে যাইয়ে একটু বেশি রাগাইয়া ফেলেছি,,)
সামিয়াঃ আর শোন কোন মেয়ের সাথে কথা বলবি না এবং চোখ তুলে তাকাবি না।
আমিঃ ঠিক আছে আপু।
সামিয়াঃ আপু বলে ডাকবি না।বুঝলি??
আমিঃ তাহলে কি বলবো।
সামিয়াঃ নাম ধরে ডাকবি।
আমিঃ ঠিক আছে।
সামিয়া কে বিদায় দিয়ে রাফি দের টেবিলে দেখি ওরা দুজন নাই,,
আমি বিল দিতে চাইলে বলল, সামিয়া নাকি দিয়ে গেছে।
ক্যাম্পাসের বকুল গাছের নিচে দেখি ওরা দুজন বসে আছে।
ওদের কাছে যাতেই রাফি বললঃ মামা এতো দেরী হলো কেন?
আমি ওদের কে সব কিছু বললাম।
সিফাতঃ মামা সামিয়া আপি মনে হয় তোকে ভালোবাসে।
আমিঃ তাই যেন হয় মামা দোয়া কর।
ওদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর বাসায় আসলাম।
রোটিং অনুযায়ী আবার সন্ধ্যায় আম্মু ঘুম থেকে জাগিয়ে দিলো।
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে একটু ঘুরাঘুরি করতেই আজান দিলো।
নামাজ পড়ে বাসায় এসে পড়তে বসলাম।রাতে ডিনার করে ঘুমাতে যাবো এমন সময় ফোনটা বেজে উঠলো।
দেখি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন এসেছে। প্রথমে ধরলাম না।পরে আবার দিলো ধরলাম না।
আবার দিলো এবার ধরলাম,,,
আমিঃ আসসালামুয়ালাইকুম।কে বলতেছেন?
অপরিচিতঃ ওয়ালাইকুমুস সালাম। আমি সামিয়া।
আমিঃ এতো রাতে কি জন্য ফোন দিয়েছেন?
সামিয়াঃ কথা বলার জন্য।
আমিঃ আজব তো, আমি এই প্রশ্ন করলাম,।
সামিয়াঃ ওসব বাদ দাও। ডিনার করেছো?
আমিঃ হ্যাঁ। আপনি করেছেন?
সামিয়াঃ হুমম।
এভাবে কিছুক্ষণ কথা বলে রাখে দিলাম।
পরের দিন ক্যাম্পাসে বসে তিনজন মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম এমন সময় একটা মেয়ে এসে বললো,,,,,
বাসায় এসে গোসল করে যোহরের নামাজ পড়লাম। নামাজ পড়ে লাঞ্চ করে ঘুমিয়ে গেলাম।
সন্ধ্যায় উঠলাম। আমি আসলেই একটা ঘুম পাগল😏😏
ঘুমানোর সময় পাশ থেকে কেউ যদি আমর বউকে নিয়ে চলে যায়, তবুও বলতে পারবোনা।তাই বলে আপনারা যেনো চান্স নিয়েন না।আসে লাভ হবেনা।কারণ, এখনো আমি বিয়ে করিনি 😜😜😜😜
যাইহোক, একটু ছাদে গেলাম।তারপর নিচে এসে হালকা নাস্তা করে পড়তে বসলাম।
রাতে পরিবারের সবাই একসাথে ডিনার করলাম। ডিনার শেষে আব্বু আমাকে জিজ্ঞাসা করল,,,
আব্বুঃ প্রথম দিন কেমন কাটলো?
আমিঃ ভালো।
ভাইয়াঃ যাওয়ার সময় অসুবিধা হয়নি তো?
আমিঃ না ভাইয়া।
আব্বুঃ তোমাকে কতো করে বলি গাড়ি ব্যবহার করবে।
আমিঃ না আব্বু ।আমাকে এভাবেই ভালো লাগে।
আব্বুঃ আচ্ছা,,যা ভালো বুঝো।যাও ঘুমিয়ে পড়।
আমিঃ ঠিক আছে।
রুমে এসে একটু ফেসবুক লগইন করলাম।
আসলে আসলে আব্বু আমাকে খুব ভালো বাসে। রিকশা করে যেতে যদি অসুবিধা হয় তাই গাড়ি নিয়ে যাতে বলতেছে।
কি করব বলেন, আমার এসব ভালো লাগে না। সাধারণ ভাবে চলাফেরা করতে পছন্দ করি।
ঘুমিয়ে পড়লাম।ফজরে ওঠে না নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে গেলাম।আজকেও আম্মু এসে ডেকে তুলে দিয়ে গেলেন। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে তিনজন একসাথে কলেজে গেলাম।
গেট দিয়ে ঢুকতে যাবো তখন ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলাম। ওমা আমার সাথে একটা মেয়েও পড়ে আছে। তারমানে এর সাথেই ধাক্কা খেয়েছি।
দেখতে তো মাশাআল্লাহ। ক্রাশ খেলাম।
যাইহোক, মেয়েটি কে তুলে বললামঃ সরি।দেখতে পাইনি।
মেয়েটিঃ ইটস্ ওকে। কোন ইয়ার?
আমিঃ ফাস্ট ইয়ার। আপনি?
মেয়েটিঃ সেকেন্ড ইয়ার। সিনিয়র সম্মান দিবে। বলেই একটা মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল।
আমি তো তার ব্যবহার দেখে মুগ্ধ।মনে করেছিলাম, কয়েকটা চড় দিবে। তা না কর কত সুন্দর করে কথা বলল। আমি আবার ক্রাশ খেলাম। আমি একধানে মেয়েটি র চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।
রাফিঃ কি যে মামা কি হয়েছে?
আমিঃ ক্রাশ খাইছি মামা।
সিফাতঃ কস কি মামা। এই রাফি আমাকে চিমটি দেতো। আমি কোনো স্বপ্ন দেখছি না তো।
সিফাতঃ আহহ,,,
আমিঃ কি হলো রে।
সিফাতঃ ঐ শালা তোকে আমি এতো জোরে চিমটি দিতে বললাম।(রাফি কে বললো)
রাফিঃ তুই বলেছিস ধিরে দিতে।
আমিঃ তোরা পারিসও বটে।
রাফিঃ মামা ট্রিট দিবি কখন?
আমিঃ পরে দিবো আগে ক্লাসে চল।
ক্লাস করার পর ক্যান্টিনে তিনজন মিলে নাস্তা করতেছি।
এমন সময়,,,,,
সাহিদ বাবা উঠ।আর কতো ঘুমাবি। কলেজে যাবি না।আজকে তো তোর কলেজের প্রথম দিন।
আমিঃ ওমমম,,, আম্মু তুমি যাও। আমি ফ্রেশ হয়ে আসতেছি।( ঘুম ঘুম চোখে)
এবার পরিচয় দেই, আমি হলাম সাহিদ হাসান সাহি। এবার অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে। বাবা মায়ের দ্বিতীয় সন্তান। আমার বড় ভাই আছে নাম হচ্ছে সাইম আহম্মেদ। আমার বাবা হলেন এদেশের টপ বিজনেসম্যান দের একজন। বাবা আর ভাইয়া মিলে আমাদের বিজনেস দেখা শুনা করেন।
আর একটু আগে যিনি আমার ঘুম ভাঙানো তিনি হলেন আমার কলিজার টুকরা আম্মু এবং বেস্ট ফ্রেন্ড।
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে গেলাম। খাবার টেবিলে বসতেই আম্মু এসে খাবার বেড়ে দিল।আমি আম্মুকে
জিজ্ঞাসা করলামঃ আম্মু ভাইয়া আর আব্বু কে তো দেখতেছি না।
আম্মুঃ তোর আব্বু আর ভাইয়া অফিসে গেছে।আজকে নাকি জরুরী মিটিং আছে তাই সকালে গেছে।
আমিঃ ওহহ।
নাস্তা শেষ করে আম্মুকে বলে কলেজে যাওয়ার জন্য বের হলাম। বাসা থেকে বের হয়ে আমার বন্ধু রাফিকে ফোন দিলাম,,,,
আমিঃহ্যালো, কোথায় আছিস?
রাফিঃ বাসা থেকে বের হয়েছি। তুই কোথায়?
আমিঃ আমি রাস্তায় আছি।
রাফিঃ আচ্ছা ওয়েট কর।
আমিঃ তাড়াতাড়ি আসিস।
এরপর সিফাত কে ফোন দিয়ে আসতে বললাম।
সিফাত রাফি এবং আমি এই তিন জন হলাম বেস্ট ফ্রেন্ড। ফ্রেন্ড বললে ভুল হবে আমরা তিনজন হলাম একেঅপরের ভাইয়ের মতো।
আমাদের তিনজনের মধ্যে যদি কারো সমস্যা হয় তাহলে আমরা তিনজন মিলে সমাধান করি।
এছাড়া আমাদের তিনজনের একটি সংগঠন আছে। যেটার মাধ্যমে গরিব,এতিম, ভিক্ষুক দের সাহায্য করি।
যাইহোক, তিনজন একত্রে হওয়ার পর একটা রিকশা ডাকলাম। রিকশায় তিনজন ধরবেনা। এজন্য সিফাত আমাকে কোলে নিলো।
তাদের তুলনায় আমার ওজন কম হওয়াতে আমি আর না করিনি। আমাদের বাসা থেকে কলেজ বেশি দুরে নয়।
রিকশা করে আসলে আধাঘণ্টা সময়ের মধ্যে আসা যায়।
কলেজের গেটের সামনে রিকশা দাঁড় করালো। আমি নামিয়ে ভাড়া দিলাম। কলেজে ঢুকে দেখলাম বেশ ভালোই কলেজ।
যাজ্ঞে, আমরা এখানে লেখাপড়া করতে এসেছি। কলেজে দেখতে নয়।
তিনজন মিলে ক্লাসে গেলাম।যাইয়ে সামনের একটি বেঞ্চে বসে পড়লাম। আসলে আমার প্রথম বেঞ্চ ছাড়া ভালো লাগেনা।
একটু পর স্যার আসলেন। স্যার এসে সবার সাথে পরিচিত হয়ে আমাদেরও পরিচয় নিলেন।এভাবে প্রতিটা স্যারের সাথে পরিচিত হওয়ার পর ক্লাস থেকে বের হয়ে ক্যান্টিনে গেলাম কিছু খাওয়ার জন্য।অতঃপর তিনজন কলেজ থেকে বাসায় আসলাম।
বাসায় আসার পর,,,,,
MH Mehedi Hasan
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?