কহে কাফের নাম শুনতে সর্বপ্রথমে কোন রহস্যময়ী আরবি কাহিনীর কথা আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে জেগে ওঠে এক এমন কাহিনী যেখানে বাদশাহ হাদের খুব সুন্দরী সে হেজাজি দের কাছ থেকে শুরু হয়ে জিন এবং

উপত্যকা যেটিকে জিন পরী ভূত এবং দৈত্য দানবের সাথে সাথে আরো আশ্চর্য অদ্ভুত মাখলুকাতের বাসস্থান হিসেবে জানা হয়ে থাকে এটি এমন পাহাড় যেখানে সর্বসময়ের অন্ধকার থাকে চন্দ্র-সূর্য রশ্মী সেখানে কখনোই পৌঁছায় না সেই উপত্যকা যেখানে

আমাদের বাসায় ছুটির দিন মানেই তো বিরিয়ানির দিনবিরিয়ানি মসলা

আপনাকে যেমন তৈরি করা হয়েছে আপনি সেভাবেই আপনার সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করুন বন্ধুরা যদিও এই গল্পটা কাল্পনিক কিন্তু এটা আমাদের জীবনের অনেক মূল্যবান একটি শিক্ষা দেয় আর সেটা হলো আমরা যেমন তেমনই ভালো আর আমাদের কাছে যা আছে সেটা নিয়েই খুশি থেকে নিজেকে আরো বেটার তৈরি করার চেষ্টা করা উচিত ধন্যবাদ

আপনি সেভাবেই খুশিতে থাকুন আর নিজেকে আরো বেটার তৈরি করার চেষ্টা করুন আর এই কথার চিন্তা করাটা ছেড়ে দিন যে যদি আমি এমন হতাম বা যদি আমি তেমন হতাম যদি আমি এমনটা করতে পারতাম তাহলে বলি

সব সময় নিজেকে ও নিজের ভাগ্যকে দোষ দিত সে এটাই বলতো যে কি রকমের জীবন আমি পেয়েছি সমস্ত সমস্যা যেন আমার জীবনেই আছে সমস্ত রকমের দুঃখ যেন আমার জন্যই তৈরি হয়েছে আর একদিন ওই লোকটি একা বসে যখন নিজেকে এই সমস্ত কথা বলছিল যে কি রকমের ভাগ্য আমি পেয়েছি আর তখনই হঠাৎ করে একটি বাজপাখি নিজের শিকারকে ধরে নিয়ে এসে তার সামনে থাকা একটি গাছের উপরে বসে পড়ে আর সেখানে বসেই ওই শিকারকে খাওয়া শুরু করে ওই হতাশ মানুষটি যখনই বাজপাখি কে দেখে তখন বলা শুরু করে যে বাজপাখির জীবনটা কত সুন্দর না খাবারের কোন চিন্তা আছে না থাকার কোনো চিন্তা আছে না পরিবারের কোনো চিন্তা আছে না পোশাকের কোন চিন্তা আছে এ কেবলমাত্র স্বীকার করে আর মনের আনন্দে এদিক-ওদিক আকাশে উড়ে বেড়ায় জীবন এমনই হওয়া দরকার আর এর পরে ওই মানুষটি আকাশের দিকে তাকিয়ে জোরে জোরে চিৎকার করে আর বলে যে যদি আমিও একটি বাজপাখি হতাম তাহলে আমার জীবনে কোন দুঃখ থাকতো না আমারও কোন সমস্যা থাকত না আর যখন ওই লোকটি দুই

এখন সারাদিন আকাশে উড়তে থাকে আর এভাবে আকাশে উড়তে গিয়ে সন্ধ্যে হয়ে যায় তখন ওই বাজপাখি টা ভাবে আমার তো থাকার জন্য একটি জায়গার প্রয়োজন আমার নিজের একটি ঘর থাকা দরকার যেখানে আমি রাতে বিশ্রাম করতে পারব আর এটা ভেবেই ওই বাজপাখি কিছু ছোট ডালের টুকরো জোগাড় করে একটি উঁচু গাছে নিজের বাসা তৈরি করে আর রাতে ওই বাসাতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে আর চিন্তা করে যে সকালে ঘুম থেকে উঠেই শিকার করে নেব আর বাকি সম্পূর্ণ দিন আনন্দের সঙ্গে কাটাবো সকাল হবার পরেই বাজ শিকারের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে আকাশে গিয়ে দেখার চেষ্টা করে যে কোন শিকার দেখা যায় কিনা কিন্তু কোন রকমের শিকার সে দেখতে পায়নি অনেকটা সময় পার হয়ে যায় এই শিকার খুঁজতে গিয়ে কিন্তু সে এখনো কোনো স্বীকার খুজে পায়নি এরপরে ওই বাজ পাশে থাকে একটি জঙ্গলের দিকে চলে যায় এটা ভেবে যে হতে পারে এই জঙ্গলের মধ্যে আমার জন্য ভালো কোন স্বীকার অপেক্ষা করছে জঙ্গলের উপর থেকে কিছুক্ষণ স্বীকার খোঁজার চেষ্টা করে কিন্তু এই বাজ সেখানেও কোন রকমের শিকার খুঁজে পায়নি এদিকে সন্ধের সময় চলে আসে আর নিরাশ হয়ে ওই বাজ নিজের বাসার দিকে ফিরে আসে আর রাস্তাতে ক্লান্ত হয়ে একটি গাছের উপরে বসে পড়ে আর যখন ওই বাজ ওই গাছের উপরে বসে ছিল তখন সে একটি অসুস্থ পাখি দেখতে পাই যে পাখিটা আঘাত লেগেছে বাজ দ্র

কাল সকালে আমি একটি ভালো শিকার ধরে নেব পরের দিন সকালে বাজ নতুন শিকারের জন্য বেরিয়ে পড়ে কিন্তু আজও কোনো স্বীকার ওই বাজ খুঁজে পাইনি অনেকটা সময় পার হয়ে যায় কিন্তু এখনো পর্যন্ত বাজ কোন শিকার পাইনি তাই পুনরায় বাজ সেই জঙ্গলে চলে যায় যে জঙ্গলে সে আগে শিকার পেয়েছিল কিন্তু আজ ওই জঙ্গলে কোন শিকার পায়নি আর এভাবে যখন সন্ধ্যা হয়ে যায় তখন নিরাশ হয়ে বাজ ফিরে চলে আসে আর রাস্তার ওই গাছের উপরে এসে বসে পড়ে আর ভাবে আজও হয়তো পুনরায় কোন একটি অসুস্থ পাখি আমি পেয়ে যাব কিন্তু প্রতিবার ভাগ্য সঙ্গ দেয় না সবশেষে ওই বাজ ক্লান্ত হয়ে নিজের বাসাতে ফিরে যায় আর খালি পেটেই বসাতে শুয়ে পড়ে আর রাতে ভয়ানক ঝড় চলে আসে আর এই ঝড় এত বেশি ছিল যে বাজপাখির বাসাটা গাছ থেকে নিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় ফেলে দেয় আর বাজপাখি টা অন্য জায়গায় গিয়ে পড়ে সেখানে ওই বাজে পায়ে আঘাত লাগে ঝড় থেমে যাওয়ার পরে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় বাজ কোন রকম ভাবে গাছের নিচে লুকিয়ে বসে থাকে অনেক কষ্টের সঙ্গে সে রাত পার করে আর যখন সকাল হয় বৃষ্টিটা থেমে যায় বৃষ্টি বন্ধ হবার পরেই চারিদিকে খুশি ছড়িয়ে পড়ে নদী এবং ঝরনা পুনরায় বয়ে চলা শুরু করে সবকিছু আগের মত হয়ে যায় কিন্তু এই বাজ এখন আর আগের মত নেই কারণ বাজে পায়ে আঘাত লেগে ক্ষত হয়ে গেছে আর আপনারা জানেন বাজ পায়ে করেই তার শিকার করে থাকে আর এখন যেহেতু এই বাজপাখির পায়ে আঘাত লেগেছে তাই আগামী

অনিকুল সিপাহী এসে পাহাড়টিকে চারিদিক থেকে ঘেরাও করে দরবেশের এবাদত খানা সে ডাকাতদের কাছে ছিল সেপাইরা সমস্ত চোরদেরকে গ্রেফতার করল আর সেই আল্লাহওয়ালা বুজুর্গকে সে চোরদের সঙ্গে মনে করে গ্রেফতার করে নেয়া হলো

কোথাও যাবার সময় পেয়ারার একটি গাছ দেখতে পেলেন যার ডালগুলি হাওয়ায় দুলিল বড় বড় পেয়ারা সেই গাছের ডালে ঝোল ছিল দরবেশ সেখানে দাঁড়িয়ে অনেক আস্বাদ দৃষ্টিতে সে পেয়ারা গুলি দেখতে শুরু করল