বড় ও বয়স্কদের সম্মান করা সকলকে আচরণে তুষ্ট করা সবার সঙ্গে প্রীতিময় সম্পর্ক গড়ে তোলায়মানবিক বৈশিষ্ট। মার্জিত রুচি ও সুন্দর মনের পরিচয় দিতে হলে কথাবার্তায় ও আচার-আচরণে আমাদের হওয়া উচিত নম্র অভিনয়। শিষ্টাচার ও সৌজন্যে সামাজিক মানুষের এক দুর্লভ সম্পদ তার সৌন্দর্য তার অলংকার। এটা দীর্ঘ জীবন সাধনার পরিণত ফল তার সিদ্ধি। বহু যত্নে আহিতো ১-২ লাখ ঐশ্বর্য। একে আয়ত্ত করে মানুষের গর্ভ তার অহংকার তার গৌর। যে মানুষ এই সম্পদের অধিকারই সে মানুষের ভদ্র অভিন। যে সমাজ এক সাদরে গ্রহণ করেছে সে সমাজ সেই পরিমাণে সভ। তার লোক ব্যবহারেও তত মার্জিত সম্ভবমূলক। একে নির্বাসন দিয়ে মানব সভ্যতার অগ্রগতি সম্ভব। উন্নত সভ্যতা তো। এই শিষ্টাচার ও সৌজন্য কোন অর্থ বা ঐশ্বর্য দিয়েই কেনা যায় না।
দেহের সৌন্দর্য অলংকার কিন্তু আত্মার সৌন্দর্য শিষ্টাচার। অলংকার বাইরের সামগ্রী আর শিষ্টাচার অন্তরের। মানুষ যতদিন অরণ্য জারি ছিল ততদিন সে শিষ্টাচার বা সৌজন্যবোধ প্রকাশের প্রয়োজন বোধ করেনি। যখন থেকে মানুষ সমাজবদ্ধ হলো তখন থেকে শিষ্টাচার ও ভদ্রতা বোধের প্রয়োজন অনুভূত হলো। শুধু আমাদের ব্যক্তি জীবনের সৌন্দর্য নয় আমাদের সমাজ জীবনের ও গৌরব জনক আবরণ। শিষ্টাচার এর গুনাই মানুষের সঙ্গে মানুষের যে কোন সম্পর্ক রাখা সম্ভব পর হয়