'কোরআন শরীফ' নামে একটা হিন্দি কবিতা লিখেছিলেন কবি শঙ্কর দয়াল শর্মা। ইনিই সেই লোক, যিনি ছিলেন ভা র তের নবম রাষ্ট্রপতি। কবিতাটা পড়ে বিশাল এক ভাবনার খোরাক জাগলো। সবার বোঝার সুবিধার্তে বাংলা অনুবাদও যুক্ত করে দিলাম সাথে।
কোরআন শরীফ
আমল কি কিতাব থি,
দুয়া কি কিতাব বনা দিয়া।
( বাংলা অনুবাদ: আমল করার কিতাব ছিলো,
দোয়ার কিতাব বানিয়ে দিয়েছো )
সমঝ্নে কি কিতাব থি,
পড়নে কা কিতাব বনা দিয়া।
(অনুধাবন করার কিতাব ছিলো,
পাঠের কিতাব বানিয়ে দিয়েছো )
জিন্দাওঁ কা দস্তুর থা,
মুর্দাওঁ কা মনশুর বনা দিয়া।
(জীবিতদের জীবনবিধান ছিলো,
মৃতদের ইশতেহার বানিয়ে দিয়েছো )
জো ইলম্ কি কিতাব থি
উসে লা-ইলমোঁ কে হাথ থমা দিয়া।
( যেটা ছিলো জ্ঞানের কিতাব,
মূর্খদের হাতে ছেড়ে দিয়েছো )
তশখীর-এ-কয়েনাৎ কা দর্স দেনে আয়ি থি,
সির্ফ মদ্রাসোঁ কা নিসাব বনা দিয়া।
(সৃষ্টির জ্ঞান দিতে এসেছিলো এটা,
স্রেফ মাদ্রাসার পাঠ্য বানিয়ে দিয়েছো )
মুর্দা কওমোঁ কো জিন্দা করনে আয়ি থি,
মুর্দোঁ কো বখশ্ওয়ানে পের লগা দিয়া।
(মৃত জাতিদের বাঁচিয়ে তুলতে এসেছিলো এটা,
মৃতের জন্যে দোয়ার কাজে লাগিয়ে দিয়েছো )
অয় মুসলমানোঁ, ইয়ে তুম নে ক্যা কিয়া?
(হে মুসলমানেরা, এ তোমরা কী করেছো?)
উনি অন্যধর্মের মানুষ হয়েও পবিত্র কোরআনকে নিয়ে যে উপলব্ধি অর্জন করতে পেরেছিলেন, সেটা আমরা মুসলমান হয়েও কতজন করতে পারছি?