নিজের বোন, কাজিন বা বান্ধবী এই প্রতিটি নারী থেকে নিজ স্বামীকে দূরে রাখবেন। আপনার আপন মায়ের পেটের বোনের সাথেও যেন অপ্রয়োজনীয় কোনো কথা না বলে এবং বান্ধবীদেরকে তো সে চিনবেই না। হাসি তামাশা ঠাট্টা মশকরা করা তো বহু দূরের ব্যাপার।

দুলাভাই দেবর ভাসুর একজন মহিলার জন্য ননমাহরাম। এখানে হেসে কুটিকুটি হয়ে কথা বলার কিছু নাই, অর্ধেক ঘরওয়ালী হবারও কিছু নাই। দেবর কিংবা ভাসুরকে খেদমত করার জন্য কোনো মহিলা বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে যায়না।তেমনি দুলাভাই বেড়াতে আসলে খেদমতের জন্য তার নিজের স্ত্রীই যথেষ্ট!

কেউ স্বামীর প্রতি অগাধ বিশ্বাস কিংবা দুলাভাইকে, ভাসুরকে বড় ভাই বানিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসতে পারেন, বলতে পারেন জাস্ট ভাই বোনের সম্পর্ককে এত বিশ্রীভাবে কেন বলছি! তবে আমি বলবো একমাত্র রবই তার বান্দার যাবতীয় কিছু জানেন। হাদিসে স্পষ্টভাবে দেবর ভাসুর দুলাভাই শালী এই সম্পর্কগুলোতে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে এবং এতটাই ভয়ংকর যে সোজা মৃত্যু সমতুল্য বলেছে। মৃত্যুর কথা শুনলে, মনে করলে আত্মা যেমন কেঁপে ওঠে, আদৌ কি আমরা ততটা দূরত্ব রাখি?

ঘুরতে যাওয়া, একসাথে বদ্ধ ঘরে বসে গল্প করা, গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা, উচ্চস্বরে হাসা এগুলো তো দ্বীনহীন সমাজে একদম সাধারন একটি বিষয়। কোনো লজ্জা ছাড়াই এটা স্বাভাবিক নিয়ম! স্ত্রীরাও এটা দেখে, মেনে নেয়, কিছু মনেই করেনা, ভেবে নেয় যেন এটাই হবার ছিলো! অথচ কত সংসার ভেঙে যায়, বিচ্ছেদ হয়, কতজনে নীরবে হ্যারাস হয়! কেউ কি জানে!

কিছু জিনিস আছে যা একান্তই আমার। জরুরী নয় যে বান্ধবীর সাথে আপনার স্বামীর হেসে দুটো কথা বলতে হবে।তার সাথের সম্পর্ক আপনি পর্যন্তই যথেষ্ট। এমনও না যে কাজিনদের সাথে ঠাট্টা মশকরা না করলে জাত মান চলে যাবে কিংবা বোনের সাথে দূরত্ব রাখলে আপনাদের সম্মান ডুবে যাবে। যদি সম্মান, জাত মান চলে যায় তবে যেতে দিন। লাভ ছাড়া কোনো ক্ষতি ইন শা আল্লাহ হবেনা।

স্বামী ব্যাপারটা মানেই হলো নিজের জিনিস। আপনার এই আপন মানুষটার চরিত্র হেফাজতের দায়িত্ব কিছুটা না হয় আপনিও নিন!
#মীম