স্বামী বিদেশে, স্ত্রী দেশে। বছরের পর পর বছর কেটে যায় এভাবে। এখানে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে টাকার বন্ধন ছাড়া আর কী আছে বলুন! পরিবার যখন বছরের পর বছর টাকা ছাড়া আর কিছুই পায় না, তারা নিজেদের অজান্তেই প্রবাসীকে টাকার মেশিন মনে করতে শুরু করে

ভাইরে ভাই! বৌ-পোলামায়া রাইখ্যা বিদেশ যাইয়েন না। যদি কখনো এমন হয়, বিদেশ না গেলে না খেয়ে মরছেন, তখন না হয় যেয়েন। তার আগ পর্যন্ত পরিবার রেখে বিদেশ যাইয়েন না। গেলেও অন্তত চার মাস অন্তর অন্তর দেশে আইসেন।

আপনার অনুপস্থিতি স্ত্রীর কাছে আপনাকে প্রিয়জন থেকে প্রয়োজনের কাতারে নামিয়ে আনে। সন্তানের কাছে আপনি শুধুই টাকা কামানোর মেশিন। প্রবাসীর পরিবার যেন এক অস্থিতিশীলতার চিত্র। ব্যতিক্রম কি নেই? আছে। তবে তা সামান্য।

-------
সৌদি যেতে ইচ্ছুক জনগণের দিনের পর দিন বসুন্ধরার সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার প্রতিচিত্র দেখে লেখাটা লিখতে বাধ্য হলাম। সৌদি সরকার আমাদের দেশের জনগণকে যেন কুকুর-বিড়াল মনে করে। তা নাহলে একটা বায়োমেট্রিকের জন্য এভাবে চার/পাঁচ দিন লাইনে দাঁড়াতে হবে কেন?

ওরা আমাদের দেশের শ্রমিকদেরকে রাত-দিন খাটিয়ে হাড্ডি সদৃশ কয়েকটা রিয়াল দেয়। টাকার বিপরীতে শ্রমিক জনতা এটিকেই অসাধারণ এনাম গোণ্য করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে। এ দেশের রেমিটেন্স গ্রহীতা সরকারও সুস্পষ্টভাবে তাদের অধিকারের বিষয়ে নিরব। আহ খেটে খাওয়া রোদে পোড়া প্রবাসীর জীবন! আসলেই কি জীবন!