সাহিদ বাবা উঠ।আর কতো ঘুমাবি। কলেজে যাবি না।আজকে তো তোর কলেজের প্রথম দিন।

আমিঃ ওমমম,,, আম্মু তুমি যাও। আমি ফ্রেশ হয়ে আসতেছি।( ঘুম ঘুম চোখে)

এবার পরিচয় দেই, আমি হলাম সাহিদ হাসান সাহি। এবার অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে। বাবা মায়ের দ্বিতীয় সন্তান। আমার বড় ভাই আছে নাম হচ্ছে সাইম আহম্মেদ। আমার বাবা হলেন এদেশের টপ বিজনেসম্যান দের একজন। বাবা আর ভাইয়া মিলে আমাদের বিজনেস দেখা শুনা করেন।

আর একটু আগে যিনি আমার ঘুম ভাঙানো তিনি হলেন আমার কলিজার টুকরা আম্মু এবং বেস্ট ফ্রেন্ড।

ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে গেলাম। খাবার টেবিলে বসতেই আম্মু এসে খাবার বেড়ে দিল।আমি আম্মুকে

জিজ্ঞাসা করলামঃ আম্মু ভাইয়া আর আব্বু কে তো দেখতেছি না।

আম্মুঃ তোর আব্বু আর ভাইয়া অফিসে গেছে।আজকে নাকি জরুরী মিটিং আছে তাই সকালে গেছে।

আমিঃ ওহহ।

নাস্তা শেষ করে আম্মুকে বলে কলেজে যাওয়ার জন্য বের হলাম। বাসা থেকে বের হয়ে আমার বন্ধু রাফিকে ফোন দিলাম,,,,

আমিঃহ্যালো, কোথায় আছিস?

রাফিঃ বাসা থেকে বের হয়েছি। তুই কোথায়?

আমিঃ আমি রাস্তায় আছি।

রাফিঃ আচ্ছা ওয়েট কর।

আমিঃ তাড়াতাড়ি আসিস।

এরপর সিফাত কে ফোন দিয়ে আসতে বললাম।

সিফাত রাফি এবং আমি এই তিন জন হলাম বেস্ট ফ্রেন্ড। ফ্রেন্ড বললে ভুল হবে আমরা তিনজন হলাম একেঅপরের ভাইয়ের মতো।

আমাদের তিনজনের মধ্যে যদি কারো সমস্যা হয় তাহলে আমরা তিনজন মিলে সমাধান করি।

এছাড়া আমাদের তিনজনের একটি সংগঠন আছে। যেটার মাধ্যমে গরিব,এতিম, ভিক্ষুক দের সাহায্য করি।

যাইহোক, তিনজন একত্রে হওয়ার পর একটা রিকশা ডাকলাম। রিকশায় তিনজন ধরবেনা। এজন্য সিফাত আমাকে কোলে নিলো।

তাদের তুলনায় আমার ওজন কম হওয়াতে আমি আর না করিনি। আমাদের বাসা থেকে কলেজ বেশি দুরে নয়।

রিকশা করে আসলে আধাঘণ্টা সময়ের মধ্যে আসা যায়।

কলেজের গেটের সামনে রিকশা দাঁড় করালো। আমি নামিয়ে ভাড়া দিলাম। কলেজে ঢুকে দেখলাম বেশ ভালোই কলেজ।

যাজ্ঞে, আমরা এখানে লেখাপড়া করতে এসেছি। কলেজে দেখতে নয়।

তিনজন মিলে ক্লাসে গেলাম।যাইয়ে সামনের একটি বেঞ্চে বসে পড়লাম। আসলে আমার প্রথম বেঞ্চ ছাড়া ভালো লাগেনা।

একটু পর স্যার আসলেন। স্যার এসে সবার সাথে পরিচিত হয়ে আমাদেরও পরিচয় নিলেন।এভাবে প্রতিটা স্যারের সাথে পরিচিত হওয়ার পর ক্লাস থেকে বের হয়ে ক্যান্টিনে গেলাম কিছু খাওয়ার জন্য।অতঃপর তিনজন কলেজ থেকে বাসায় আসলাম।

বাসায় আসার পর,,,,,