এক জীবনে ঠিক কতো সহস্র নীরবতাকে পুষে রাখা যায়? হৃদয় যেন জীবনানন্দ--- জীবনের সমুদ্র সফেনের মাঝে ক্লান্ত, তবু হাজার বছর ধরে পথ হেঁটে চলেছে। যেভাবে চলে যায় বন্ধ জানালার ধারে চারুলতা বা নীরুর স্যাঁতস্যাঁতে একাকী দিনগুলো। ফলাফলহীন।
কখনো ছাই নীল রং ধরা বৃষ্টি , কখনো চন্দনের মতো গলে পড়া বিকেল। আমি খুঁজে চলি হৃত্বিক ঘটকের সেই নীল পাহাড়ের সুবর্ণরেখাকে। মাগরিবের পর দরুদ শরীফ গুনগুনিয়ে প্যাস্টেল রংএর হিজাব জড়িয়ে আম্মা বারান্দায় দাঁড়ায়। শান্ত কণ্ঠে অনুরোধ জানায় মৃত্যুর পর তাঁর কবরে একটা কামিনী ফুলের গাছ লাগাতে। আমি চোখ বুজে কামিনীকে কল্পনা করি। কানে বাজা ভাষ্তি বুনায়ানের মোমের মতো কণ্ঠ কেন যেন আম্মার জন্য একটা সানফ্লাওয়ার জীবনের আফসোস জাগায়। আফসোসকে স্বাধীন করে দিতে পারে শুধু 'সময়', যে সময়কে বারবার উপেক্ষা করার অনুরোধ কাফকা জানিয়েছিলো মিলেনাকে। অপারগ কাফকা কি জেনেছে মানুষ বাঁচেই আফসোসের ওমে?
দুঃখ ভালোবেসে কবিতা পড়ি। কবিতা ভালোবেসে নীরবতা খুঁজি। নীরবতা পুষে মানুষ খুঁজি। হেরে যাই। হেলাল হাফিজের মৃত হৃদয় চিৎকার দিয়ে বলে,
"নিউট্রন বোমা বোঝ, মানুষ বোঝ না।"
🥹🥹🥹💝
JHuma771
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?