আমরা দুজন নারীকে বাসা থেকে বের হতে দেখে তিনি চিন্তিত হয়ে গেলেন এবং তিনি জিজ্ঞাসা করলেন তোমরা এই সময় কোথায় যাচ্ছআবহাওয়া অনেক ভালো ছিল তবে আমাদের মাথায় এই ভালো আবহাওয়া অনুভব করার চিন্তা ধারে কাছে ছিল না আমাদেরমনে হচ্ছিল যে কেউ ধীরে ধীরে কান্না করছে আম্মা হাজিরা নজর অনেক দুর্বল ছিল তবে কান একদম সঠিক ছিল তিনি বলতে লাগলেন আমি আমার মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনতে পারছি এখানেই থামো এবং টর্চ দ্বারা এদিক-ওদিক ভালো করে দেখোএটি দেখার পর আম্মা হাজিরা চিৎকার করতে শুরু করলেন এবং বলতে লাগলেন হায় কে আমার বাচ্চার এমন অবস্থা করেছে আমি কোথায় যাব আমার যুবতী মেয়েকে নিয়ে কার কাছে হিসাব চাইবো আমাকে সত্য করে বল মা কে তোমার এই অবস্থা করেছেকি করবো চাচা সাজাদ গ্রাম থেকে কিছু মানুষ ডেকে আনলেন এবং একটি খাটিয়া নিয়ে আসলেন এবং আমার মেয়ে মহাকাশে খাটিয়াতে করে বাসায় নিয়ে যাওয়া হলো আমি চিন্তা করেছিলাম যে মহার চিকিৎসা করা যাবে তবে সে তো রাস্তার মধ্যেই দম ছেড়ে দেয় যখন বাসায় নিয়ে আসার পর তারা লাশকে হাত লাগানো হলো তখন তার শরীর ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল আম্মা হাজিরা কান্না করতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন আমি কতই না দুর্ভাগ্যবান মা আমার মেয়ের সাথে এত বড় একটি জুলুম হয়ে গেল এবং আমি কিছুইকোন গুনাহ করেছে কেউ না কেউ কিছু না কিছু বলেই যাচ্ছিল তবে সত্য ঘটনা তো অন্য কিছুই ছিল আম্মা হাজিরার কান্না করতে করতে খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছিল তিনি আমাকে বলতে লাগলেন মা আমার মনের মধ্যে একটি কথা আছে যা আমি তোমাকে বলতে চাই এবং সেটি আমার মেয়ের শেষ ইচ্ছা ছিল আমি জানতাম না যে আমার মেয়ে এত দ্রুত এই দুনিয়া ত্যাগ করে চলে যাবে যদি জানতাম তাহলে আমি তার সঙ্গে ভালো আচরণ করতাম আমি তো তাকে অযথা গালি দিতাম তাই তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে চাই আর যদিআমি আমার মেয়েকে কাফনে নয় বরং তার কুর্তা পরিধান করিয়ে তাকে দাফন করবো আম্মা হাজিরা একটি ফাটা কুর্তা আমাকে বের করে দিল আমি বললাম এটি কি আম্মাতথ্য লুকিয়ে থাকবে না কেননা যখন আম্মা হাজিরার মেয়েকে কবরে দাফন করার জন্য নিয়ে যাওয়া হলো তখন যতই কবর খনন করা হোক না কেন সে কবর থেকে সাপ বেরিয়ে আসতো মানুষজন যেমন তেমন করে আম্মা হাজিরার মেয়েকে সেই কবরের মধ্যে দাফন করে দেয় যার মধ্যে সব ছিল এবং তাকে সাপের সঙ্গেই দাফন করে দেওয়া হয়েছিল