দেশের একমাত্র জংশন ফুলতলা যেখানে কোনো আন্ত:নগর ট্রেন থামেনা! এমনকি ১ টা মাত্র লোকাল ট্রেন থামে। ভেবেছিলাম জংশনে রূপান্তরিত হওয়ার পর হয়তো কয়েকটা আন্ত:নগর এবং লোকাল ট্রেনও দাঁড়াবে কিন্ত আগের মতোই অবস্থা।

এমনকি দৌলতপুর স্টেশনেও একটা মাত্র আন্ত:নগর ট্রেন দাঁড়ায়। অথচ দৌলতপুরেই আছে দক্ষিনবঙ্গের সবচেয়ে বড় কলেজ বিএল কলেজ, দৌলতপুর থেকে ২ কিলো দূরে অবস্থিত কুয়েট, খুলনার অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা দৌলতপুর। এখান থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়, অথচ স্টপেজ মাত্র ১ টা আন্ত:নগর ট্রেনের। শিরোমণি স্টেশন সে তো অনেক আগেই বন্ধ করে দিয়েছে।

এখন শিরোমনির কেউ ট্রেনে উঠে যদি কোথাও যেতে চায়, তাহলে তাকে হয় যেতে ৪০ টাকা ভাড়া দিয়ে খুলনা নাহয় নওয়াপাড়া যেতে হবে প্রথমে

এর চেয়ে বাসে যাওয়া হাজারগুন ভালো বাড়ির সামনে থেকে। রেলওয়ে লাভের মুখ দেখবে কিভাবে?

খুলনা-যশোর-কুষ্টিয়া রূটে যাত্রীর চাপ এতো তারপরও কোনো লোকাল ট্রেন দিচ্ছেনা। খুলনা থেকে ঢাকার আন্ত:নগর ট্রেন মাত্র ২ টা..!

অথচ রাজশাহী থেকে ঢাকায় ৫ টা ট্রেন যায়, যার মধ্যে একটা ননস্টপ ট্রেনও আছে। অথচ রাজশাহীর চেয়ে দক্ষিনবঙ্গে যাত্রী চাপ কয়েকগুন বেশি। নড়াইল-ভাঙ্গা হয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলে যাত্রীর চাপ আরো বাড়বে।

রেলওয়ে পশ্চিমের সদরদপ্তর যেহেতু রাজশাহীতে এজন্য তারা রাজশাহীকেই প্রাধান্য দিচ্ছে, দক্ষিনবঙ্গের জেলাগুলো নিয়ে তাদের ভাবার সময় নেই।

সময় হয়েছে এখনই দাবি তোলার রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলকে বিভক্ত করে দক্ষিনাঞ্চল করার এবং দক্ষিনাঞ্চলের সদরদপ্তর হতে হবে খুলনাতেই

image