আমার অত্যন্ত প্রিয় একটা কবিতা ছোটবেলায় আম্মুর মুখ থেকে শুনতাম।
কখনোই কবিতা লেখকের নাম জানতে পারিনি। কবিতাটি নিচে দিলাম

সফদার ডাক্তার

সফদার ডাক্তার
মাথা ভরা টাক তার
খিদে পেলেপানি খায় চিবিয়ে।

চেয়ারেতে রাত দিন
বসে গুনে দুই তিন
পড়ে বইআলোটারে নিভিয়ে।

ইয়া বড় গোফ তার
নাই তার জুড়ি দার
শুলে তারভুড়ি ঠেকে আকাশে।

নুন দিয়ে খায় পান
সারাক্ষন গায় গান
বুদ্ধিতেঅতি বড় পাকা সে।

রোগী এলে ঘরে তার
খুশিতে সে চার বার
কষে দেয় ডন আর কুস্তি।

তার পর রোগীটারে
গোটা দুই চাটি মারে
যেন তার সাথে কত দোস্তি।

ম্যালেরিয়া রোগী এলে
তার নাই নিস্তার
ধরে তারে দেয় কেচো গিলিয়ে।

আমাশার রোগী এলে
ই হাতে কান ধরে
পেটটারে ঠিক করে কিলিয়ে।

কলেরার রোগী এলে
দুপুরের রোদে ফেলে
দেয় তারে কুইনিন খাইয়ে।

তারপরে দুই টিন
পচা জলে তারপিন
ঢেলে তারে দেয় শুধু নাইয়ে।

ডাক্তার সফদার
নামডাক খুব তার
নামে গাও থরথরি কম্প,
নাম শুনে রোগীসব
করে জোরে কলরব
পিঠটান দেয় দিয়ে লম্ফ।

একদিন সক্ কাল
ঘটল কী জঞ্জাল
ডাক্তারে ধরে এসে পুলিশে,

হাত কড়া দিয়ে হাতে
নিয়ে গেল থানাতে
তারিখটা আষাঢ়ের উনিশে।