গতকাল যমুনা টিভির রাজনীতি নামক টকশো অনুষ্ঠানটি আমার ধারণা অনেকেই দেখেছেন।
লাউ ও কদুর মধ্যে পার্থক্য কি শিরোনামের পর্বে উপস্থাপিকা রোকসানা আনজুমান নিকোল।
আমন্ত্রিতদের একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

সঞ্চালিকার প্রথম প্রশ্ন, হাসনাত লুঙ্গি ড্যান্স কোন সিনেমার গান। বাহ! চমৎকার! অতি বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন বটে!

শুরু থেকেই তিনি কোনো এক কারণে অতি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে প্রশ্ন করে গেলেন হাসনাতকে। বেচারা ঠিকঠাক কথা শেষই করতে পারছিলো না তার আগেই আরেকটা উদ্ভট প্রশ্ন! একের পর এক! ভীষণ তাড়া উনার!

এক পর্যায়ে হাসনাতকে থামাতে তিনি রীতিমতো চিৎকার করে ওঠেন, হাসনাত! আমি চমকে ওঠি! এ কিরকম অভদ্রতা রে বাপ!

এই ছেলেগুলা আমার বয়সী। এরা দুদিন আগে জান বাজি রেখে এক স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে।
১০ দিন হয়নি এর মাঝে রব ওঠেছে এদের হটাও।
ভাইরে, এত অধৈর্য কেন আপনারা।
এত অমানুষ কেন?
ধানমন্ডি ৩২ এ যেসব ছেলেপেলে মারপিট করেছে এরা একটাও আন্দোলনে ছিল কিনা আমার সন্দেহ।

হাসনাতকে তুলোধুনো করে দুইটা হাততালি উনি পেয়েছেন বটে, তবে এই গলার জোর আওয়ামী লীগের সময় তো উনার ছিল না। তবে এখন কেন এই হম্বিতম্বি?
মানুষ হন, মানুষ।

নিকোল থাকেন, কিড হয়েন না।
– Aynun Nahar Esha.