বৈশ্বিক আর্থিক সংকট সাধারণত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিভিন্ন দুর্বলতা ও অসামঞ্জস্যের ফলে ঘটে। প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ঋণগ্রহণ, ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা, এবং আর্থিক নীতি ও নিয়ন্ত্রণের অভাব উল্লেখযোগ্য।
প্রথমত, অতিরিক্ত ঋণগ্রহণ আর্থিক সংকটের একটি প্রধান কারণ। ব্যক্তিগত ও কর্পোরেট ঋণের পরিমাণ অত্যধিক বেড়ে গেলে অর্থনীতি বিপর্যস্ত হতে পারে। ঋণগ্রহীতারা সময়মতো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ব্যাংকগুলো মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়, যা আর্থিক খাতে ধস নামাতে পারে।
দ্বিতীয়ত, ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা আর্থিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে। ব্যাংকগুলো যদি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করে বা পর্যাপ্ত মূলধন ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ব্যাংকিং খাতে আস্থা হারানোর কারণে জনগণ তাদের আমানত তুলে নিতে শুরু করে। এটি ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করে তুলতে পারে।
অন্যদিকে, আর্থিক নীতি ও নিয়ন্ত্রণের অভাব বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটকে আরও তীব্র করতে পারে। যথাযথ নিয়ন্ত্রক নীতিমালা না থাকলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করতে পারে, যা অর্থনীতির অস্থিতিশীলতা বাড়ায়।
সুতরাং, বৈশ্বিক আর্থিক সংকট এড়াতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঠিক নিয়ন্ত্রণ, ঋণের পরিমিত ব্যবহার এবং ব্যাংকিং খাতের শক্তিশালী কাঠামো জরুরি।