গল্প:বড় আপুর ক্রাশ

কলেজে আজকে প্রথম আসলাম। SSC পরিক্ষা দিয়ে আমরা তিন টা ফ্রেন্ড একি কলেজে ভর্তি হই। মনে তো একটু খানি আনন্দ আছে নতুন ?

কলেজে আজকে প্রথম আসলাম। SSC পরিক্ষা দিয়ে আমরা তিন টা ফ্রেন্ড একি কলেজে ভর্তি হই। মনে তো একটু খানি আনন্দ আছে নতুন কলেজে আসছি ।

 

হটাৎ করে দেখি আমার একটা ফ্রেন্ড এর,পেন্ট এর গেইট খোলা ? তার গেইট দিয়ে আমি একটা কলম দিয়ে দি। আমায় এমন জোরে ধাক্কা দেয়। আমি পিছনে গিয়ে একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খাই।

 

Sorry আপু আমি ইচ্ছে করে দি নাই। রাকিবে ধাক্কা দিছে আপু। এ যে আপু আপনার বিশ্বাস না হলে আপনি মেহেদী কে জিগ্গেস করতে পারেন! আরে পুরো কলেজের সবাই এভাবে তাকাই রইলো কেন। এ যে আপু কি হলো। হুম!

 

বড় আপু: এ যে স্ট্রবেরি তুমি কি কলেজে নতুন নাকি!

আমি: দোস্ত স্ট্রবেরি কাকে বলছে আপু?

 

রাকিব মেহেদী দুইজনে একসঙ্গে বললো আমরা তো জানি না!

 

বড় আপু: ভুত কে বলছি।

আমি:ওহ আচ্ছা আপু আমরা গেলাম।

বড় আপু:ওই এদিকে আয়।

আমি:না আপু আমি ভুত ভয় পাই।?

 

একথা বলে এক দৌড় দিয়ে ক্লাসে চলে যাই।

 

পরে জানতে পারি আমাদের কলেজে নাকি এমন একটা ছেলে ও নাই যে তার হাতের মাইর খায় নাই! এবং তার বাবার নাকি অনেক ক্ষমতা। তার বাবা সে এলাকার চেয়ারম্যান। আবার আমাদের কলেজের সভাপতি। এগুলো শুনে তো আমি ভয়ে শেষ। রাকিব আর মেহেদী এসে বলতেছে দোস্ত মনে হয় আর আমাদের এ কলেজে পড়তে হবে না।

 

আমি:দুর বেটা সব রাকিবের জন‍্য হইছে!

রাকিব: তুই দোড় দিলি কেন খাইলে কয়টা থাপ্পড় খাইতি সেখানে সমাধান করে আসতি।

আমি:দেখলি মেহেদী এটা আমার বন্ধু নাকি আমার শত্রু। আমারে একটা মেয়ের হাতে মাইর খাওয়া তে চায়।

 

মেহেদী :চল আজকে আমরা বসায় চলে যাই।আজকে কলেজে থাকলে একটা ঝামেলা হবে।

রাকিব:দুর বেটা আজকে প্রথম কলেজে আসলাম ক্লাস না করে আজকে বাসায় চলে যাবো।

আমি:মেহেদী ঠিকই বলছে আজকে বাসায় চলে যাই।

 

পরে তিন জনে মিলে অনেক কষ্ট করে বাসা চলে আসলাম।

 

মা:কিরে তুই বাসায় চলে আসলি কেন?

আমি:আর বলো না তোমার কথা অনেক বেশি অনেক মনে পড়চিলো তাই চলে আসছি।

মা:ফাইজলামি করার আর জায়গা পাচনা কি করচত কলেজে বল সত্যি করে।

আমি:আরে মা তেমন কিছু না।রাকিবে ধাক্কা দিছি লো পরে একটা মেয়ের গায়ে পড়চিলাম। মেয়েটা আমারে ডাক দেয় আমি তার কথা না শুনে ক্লাসে চলে যাই। সমস্যা হলো মা মেয়েটার বাবা কলেজের সভাপতি।

মা:প্রথম দিন কলেজে যেতে না যেতে এরকম করচত। এবার বুঝ ঠেলা আমি কিছু জানি না।

আমি:তুমি কাছু জানতে হবে না যাও তো আমি একটু রেস্ট করি।

 

রাতে ঘুম আসে না। পরে মেহেদী কে কল দিলাম।

 

আমি:কিরে কালকে কি করবি?

মেহেদী:বুঝতেছি না।

আমি:হুম আমি নিজেও কিছু বুঝতেছি না।অনেক টেনশনে আছি রে দোস্ত।

মেহেদী:আচ্ছা হৃদয় স‍্যারে কি তোকে কল দিছে?

আমি:না কই দেয় নাই তো?

মেহেদী:আচ্ছা রাকিব কে কল দিছে স‍্যারে?

আমি:আমি তো জানি না। তুই কল দিয়ে জিগ্গেস করে নেয় তো।

মেহেদী :আচ্ছা আমি কল দিয়ে খবর নিতেছি।

আমি:হুম তাড়াতাড়ি দেয়।

 

(চলবে)গল্প:বড় আপুর ক্রাশ?

 

পর্ব:2য়

 

লেখক:হৃদয়

 

মেহেদী পরে রাকিব কে কল দেয়। পরে আমায় কল দেয়।

 

মেহেদী :দোস্ত টেনশনের কিছু নাই।

আমি:মানি কি বলচ তুই এগুলো। টেনশন না করতে!

মেহেদী:আরে স‍্যার তোকে ও কল দেয় নাই রাকিব কেও কল দেয় নাই তার মানে মেয়েটা স‍্যারের কাছে বিচার দেয় নাই।

আমি:হুম সেটাও ঠিক বলচত। কিন্তু কালকে যদি মেয়েটা তার বাবা কে কালকে কলেজে নিয়ে আসে তখন কি হবে।

মেহেদী:আচ্ছা চিন্তা করিচ না এখন ঘুমা কালকের টা কালকে দেখা যাবে।

আমি:আচ্ছা বায় ঘুমা।

 

আমার কি চোখে ঘুম আসে। পুরা রাত টেনশনে চিলাম। সকাল হতে না হতে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ার জন‍্য মসজিদে চলে গেলাম। নামাজ শেষে আল্লাহ্ কাছে দোয়া করলাম আল্লাহ্ যাতে আজকে মেয়ে টার সাথে কোনো ভাবে আমার সাথে দেখা না হয়। এবং তার বাবা কে যাতে কলেজে না আনে। তারপর স‍্যার দের কাছে ও যাতে বিচার না দেয়। অনেক চিন্তা টেনশন নিয়ে আবার বাসা আসলাম। মা আমার দিকে তাকাই কথা ও বলে না। কারণ কলেজের প্রথম দিনে ক্লাস না করে উল্টা একটা সমস্যা করে বাসায় আসলাম মা আমার উপর রেগে আছে। মা নাস্তা রেডি করে আমায় ডাক দিলো নাস্তা খাওয়া জন‍্য।

 

মা: আজকে কি কলেজে যাইবেন না কি?

আমি:হুম যাবো তো মা।

মা:আপনি তো সব সময় জান।কিন্তু ক্লাস টাই শুধু করেন না।

আমি:মা ক্লাস শুরু হলো মাত্র একদিন তার মধ্য একটা সমস্যা হইছে এজন্য এতো আমি বাসা চলে আসলাম।আজকে থেকে ঠিক মতো ক্লাস করবো।

মা:আচ্ছা নাস্তা কর আর রেডি হও কলেজের সময় হয়ে যাচ্ছে।

 

মোটামুটি কষ্ট করে নাস্তা টা খেয়ে নিলাম। ভিতরে ভিতরে তো আমি টেনশনে শেষ আজকে জানি কি হয় আল্লাহ্ ভালো জানে। রাকিব কে কল দিলাম।

 

আমি:রাকিব কই তুই?

রাকিব:এতো রেডি হচ্ছি।

আমি:আচ্ছা রেডি হয়ে মেহেদী কে নিয়ে আমাদের বাসা চলে আয় এক সাথে যাবো।

রাকিব:আচ্ছা আমি মেহেদী কে কল দিতেছি।

আমি:হুম তাড়াতাড়ি আয়। এমনি টেনশনে আছি।

রাকিব: আচ্ছা আসতেছি।আর টেনশন করিচ না।

আমি:তাড়াতাড়ি আয়। কলেজে তাড়াতাড়ি ডুকতে হবে।

 

তারা দুইজনে প্রায় আধা ঘন্টা পরে আসে।

 

কলেজের দিকে রওনা হলাম। অনেক টেনশন নিয়ে কলেজের গেটে এসে পুচলাম।......

 

কলেজে ডুকে চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম কোথাও দেখা যায় কি না। চারপাশে তিনজনে মিলে ভালো করে দেখলাম। কোনো দিকে দেখা যাচ্ছে না। ভয়ে ভয়ে ক্লাসে চলে গেলাম। প্রথম ক্লাসের টিচার আসে। আমি একটু ভয়ে চিলাম কারণ আবার যদি ডাক দেয়। স‍্যার এসে ক্লাস শুরু করলো যাক কিছু বলে নাই। একবার যে ক্লাসে ডুকছি আর ক্লাস থেকে বাহির ও হয় নাই ভয়ে। সব গুলো ক্লাস শেষ টেনশন একটু কমলো।

 

ক্লাস থেকে বাহির হতে না হতে দেখি মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে।

 

(চলবে)গল্প:বড় আপুর ক্রাশ?

 

পর্ব:৩য়

 

লেখক:হৃদয়

 

আমরা আস্তে করে ঘুরে পিচন দিকে হাটতে শুরু করি।

 

বড় আপু:ওই স্ট্রবেরি এদিকে আয়।

আমি:আপু আমাকে ডাক দিছেন।

বড় আপু:হুম। এদিকে আয়।

 

আমি ভয়ে ভয়ে সামনে এসে দাঁড়ালাম।

 

আমি:আপু কালকের কাহিনীর জন‍্য আমি sorry l আপু বিশ্বাস করেন আমি ইচ্ছে করে কিছু করি নাই। রাকিব এর ও দোষ নাই আমরা ফাইজলামি করতে করতে সে ধাক্কা দেয় আর আমি আপনার উপর পড়ে যাই।

 

বড় আপু মেহেদী আর রাকিব কে ডাক দিয়ে বলতেছে তোমরা বাসায় চলে যাও।

 

আমি:আপু এরা বাসা চলে যাবে কেন।

বড় আপু:আমি বলছি তাই।

আমি:না তারা যাবে না।

বড় আপু:আচ্ছা আমি প্রিন্সিপাল স‍্যারের কাছে বিচার নিয়ে যাই।

আমি:আরে না আপু এরা চলে যাবে। আচ্ছা দোস্ত তোরা চলে যা।

 

পরে মেহেদী আর রাকিব বাসা চলে যায়।

 

বড় আপু:ওই কালকে আমি যে তোকে ডাক দিচি তখন দোঁড় দিলি কেন।

আমি:আপু আসলে আমি একটু ভূত কে ভয় পাইতো তাই।

বড় আপু:ওই আমি তো শয়তানি করছি।

আমি:ওহ আচ্ছা আপু আগে বলবেন না।

বড় আপু:স্ট্রবেরি তুই এতো বোকা কেন?

আমি:আরে আপু আমিতো এমনি। আচ্ছা আপু আপনি আমাকে স্ট্রবেরি বলেন কেন?

বড় আপু:এমনি আমার ইচ্ছে হইছে তাই।

আমি:না আপনার যা ইচ্ছে হবে তাই বলতে পারবেন না। আমার একটা সুন্দর নাম আছে হৃদয়।

বড় আপু:আচ্ছা তাহলে আমি প্রিন্সিপাল স‍্যারের কাছে যাই।

আমি: আরে না আপু আপনার যা ইচ্ছে তাই বলে ডাকেন সমস্যা নাই। আমি তো মজা করচিলাম।

বড় আপু:ওহ আচ্ছা মজা করচত?

আমি:হুম আপু। আচ্ছা আপু আমি বাসায় যাই এখন?

বড় আপু:কই যাবি?

আমি:বাসায় আপু। আম্মা টেনশন করবে।

বড় আপু:আচ্ছা আন্টির নাম্বার টা দেয় আমি ফোন দিয়ে বলে দিতেছি।

আমি:না থাক আপনি ফোন দিয়ে বলার থেকে আম্মা টেনশন করুক সেটাই ভালো।

বড় আপু:ওই নাম্বার দিতে বলছি না নাম্বার টা দেয়।

আমি:না দিবো না।

বড় আপু:আচ্ছা থাক দিতে হবে না। আমি প্রিন্সিপাল স‍্যারের কাছে যাই।

আমি:আরে আপু দিতেছি। দুর জীবন টাই শেষ।

 

সত্যি কল দিয়ে বলতেছে। হ‍্যালো আন্টি আপনার চিলো আমার সাথে আছে কোনো টেনশন করবেন না।.......!

 

আমি:আপু আপনি এটা কি করলেন।

|

বড় আপু:যা করছি ভালো করছি।চল আমার সাথে।

আমি:কই যাবো আপনার সাথে?

বড় আপু: জাহান্নামে যাবো যাবি তুই?

আমি:না তুমি যাও আমি যাবো না আপু।

বড় আপু:ওই চল বলছি।

একথা বলে আমার হাতটা ধরে নিছে নিয়ে যায়। পরে গেইট এর বাহিরে নিয়ে গিয়ে বলতেছে রিকশা ডাক দিতে।

আমি:আমি পারবো না রিকশা ডাক দিতে।

বড় আপু:আচ্ছা তোকে পারতে হবে না আমি ডাক দিতেছি রিকশা।

.

.

.

একথা বলে আপু রিকশা ডাক দিতে যায়। আর আমি এদিক দিয়ে এক দোড় দি।

বড় আপু:ওই তুই কই যাচ?

আমি:বাসায় যাই বায় বায় আপু( দোড়াতে দোড়াতে)

 

(চলবে)গল্প:বড় আপুর ক্রাশ?

 

পর্ব:4

 

লেখক:হৃদয়

 

বাসা এসে গেইট দিয়ে রুমে ডুকবো এমন সময় মা এসে হাজির। ওই আমারে কে ফোন দিছে। আরে মা কালকে তোমায় বললাম না একটা মেয়ের কথা সেই। আজকে আমাকে ধরছে। পরে অনেক কষ্ট করে ছুটে চলে আসলাম।

মা:ওহ আচ্ছা।

আমি:হুম মা।

রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে মেহেদী কি ফোন দিলাম।

মেহেদী :হ‍্যালো.আজকে কি হলো পরে।

আমি:আরে বলিচ না। আমি আজকে ও দোড় দিয়ে চলে আসছি।

মেহেদী:আরে কি করলি তুই এটা আজকে আবার।

আমি:আরে টেনশন করিচ না। চিল মামা। আর কালকে আমার বাসা চলে আসিচ এক সাথে কলেজে যাবো।

মেহেদী:আচ্ছা ঠিক আছে বায়।

 

সকাল বেলায় রেডি হয়ে কলেজে চলে আসলাম। তিন বন্ধু একসঙ্গে। রিকশা থেকে নেমে। কলেজের গেইট দিয়ে ডুকবো এমন সময় কেও একজন আমাকে পিছন থেকে টেনে ধরে।

আমি:ওই কে?(এটা বলে পিছন দিকে তাকালাম )

 

বড় আপু:তোর আজরাইল।

 

আমি:ও আপু আপনি?

 

বড় আপু:আচ্ছা রাকিব মেহেদী তোমরা দুইজন ক্লাসে


Md bablu

26 Blog posts

Comments