আধুনিক যান্ত্রিক সভ্যতার সকল আবিষ্কার ও প্রযুক্তির মূল চালিকাশক্তি হলো বিদ্যুৎ । বিদ্যুৎ-কে বাদ দিয়ে এক মূহুর্ত কল্পনা করা যায় না ।বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ, কৃষিক্ষেত্রে, স্কুল, কলেজ, দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুতের গুরুত্ব অপরিসীম । এমনকি আপনি যেটা ব্যবহার করে লেখাটি পড়ছেন তাতেও বিদ্যুৎ এর অবদান রয়েছে । অতএব এই বিদ্যুতের আবিষ্কার মানব জীবন ও সভ্যতার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে ।
যুগান্তকারী এই আবিষ্কার পৃথিবীর জন্য আশির্বাদ । সতের শতকের শুরুতে ইংরেজ বিজ্ঞানী উইলিয়াম গিলবার্ট তাঁর দে ম্যাগনেতে বইতে প্রথমবারের মতো ‘Electricus’ (ইলেকট্রিকাস) শব্দটি ব্যবহার করেন। গিলবার্ট ও ব্রাউনের কাজের ওপর ভিত্তি করে জার্মান বিজ্ঞানী অটো ভন গুয়েরিক জটিল কোনো যন্ত্র ছাড়াই উৎপাদন করেন স্থির বিদ্যুৎ। নিজের হাত দিয়ে ঘূর্ণমান সালফারের বল ঘষে তিনি এ বিদ্যুৎ তৈরি করেন ।
অনেক বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বিদ্যুৎ আবিষ্কার হয়েছে । এই আবিষ্কার কারোর একার নয় । বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, উইলিয়াম গিলবার্ট, মাইকেল ফ্যারাডে, টমাস আলভা এডিসনসহ অনেকের নাম পাওয়া যাবে । তবে Benjamin Franklin এর নাম বেশি পাওয়া যায় । হাতে-কলমে পরীক্ষণের উদ্দেশ্যে বজ্রঝড়ের সময় ঘুড়িতে তার বেঁধে উড়িয়ে দেন। তাতে দেখতে পান, বজ্রের মাঝে আছে বিদ্যুতের উপস্থিতি ।