১০০টি বেলুন ফুলিয়ে, ক্লাসের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর হাতে ১টি করে দিলেন শিক্ষক। বললেন─ "বেলুনে নিজ-নিজ নাম লিখে, ফেরত দাও।"
নাম সম্বলিত বেলুনগুলো নিয়ে, ক্লাসের মাঝখানে স্তুপ করে রাখলেন তিনি মিশিয়ে। তারপর বললেন─
**এবার এখান থেকে সবাই নিজের নামের বেলুনটি বেছে নাও।"
এতোগুলো বেলুন থেকে নিজের নামের বেলুনটি বেছে নিতে গিয়ে গলদঘর্ম অবস্থা প্রত্যেকেরই। সময় গড়াতে লাগলো,
দু'য়েকজন খুঁজে পেলো নিজের বেলুনটি, বাকিরা হাতড়াতে লাগলোই, হতোদ্যম।
শিক্ষক বললেন─ "এক কাজ করো তাহলে; প্রত্যেকেই নিজের ঠিক সামনের বেলুনটি নাও, ওটায় তোমার যে-বন্ধুর নাম লিখা আছে তার হাতে তুলে দাও ওটা।"
এবার দেখা গেলো─ খুব অল্প সময়েই যার বেলুন তার কাছে পৌঁছে গেলো।
বেলুন হাতে বসে থাকা তাঁর সন্তানসম হাস্যোজ্জ্বল ছাত্রছাত্রীদের দিকে তাকালেন শিক্ষক। তাঁর চোখে আনন্দাশ্রু চিকচিক করছে।
প্রিয় বাবারা, পৃথিবীতে সুখ ছড়িয়ে আছে, ঠিক ওই বেলুনগুলোর মতোই।
খুঁজে নাও। কিন্তু, নিজের জন্য নয়; অন্যের জন্য খোঁজো সুখ, তাকে তোমার অর্জিত সুখের ভাগ দাও; সেও তোমাকে তার সুখের─ সমস্তটা না-পারলেও─ ভাগটুকু দেবে। মা রে, তোমরা মিলেমিশে বেঁচে থাকো সারাটা জীবন, থইথই সুখের ভাগাভাগিতে।"
জীবন মানে প্রতিযোগিতা নয়
জীবন মানে সহযোগিতা। এই শিক্ষা আমরা ও আমাদের ভবিষ্যতে প্রজম্মকে দিতে হবে তাহলেই পৃথিবী সুন্দর হবে।
ছ