কাল্পনিক স্বপ্নে বুনা গল্পকার,,,
'আমি তো তোমায় ছেড়ে যেতে পারি নি নীলাম্বরী! তুমি আমায় হারিয়েছো ঠিকই। বহুরার চলে যেতে বলেছো তোমার এই জীবন থেকে।তবু আমি পিছু নিয়েছি তোমার। মাইল খানেকেের পথ পাশাপাশি হেঁটেছি অবহেলায়,শুধু তোমার ঐ আঙুল ছোঁবো বলে।
.
ছুঁটে গেছি বার বার.. মুখোমুখি দাঁড়াতে'ও চেয়েছি
একবার,শাড়ীর আঁচল চেপে বলতে চেয়েছি,ঝড়ে
পড়তে চেয়েছি সমস্ত অভিমান নিয়ে।ধ্বংস করতে
চেয়েছি তোমার অবহেলার পাহাড়..! কালবৈশাখী
হয়ে আছড়ে পড়তে চেয়েছি.. মিশে যেতে চেয়েছি তোমার নিঃশ্বাসে।
.
আমরাও একদিন ভালবাসা কুরিয়েছি এ শরীরের ভাঁজে,শিউলি গন্ধ ছিলো তাতে। প্রথম বৃষ্টির জল চুইয়ে পড়েছে আয়ু রেখায়..!! কৃষ্ণচূড়ার বিছানা পেতেছি এই খোলা আকাশের নিচে। আমি জেনে
ছিলাম তোমার প্রিয় ফুলের নাম, তুমি এঁকে ছিলে আমার প্রিয় রঙের ছবি..!!
.
কিছুটা রং তুমি মাখিয়ে দিয়ে ছিলে- ঘারে, গলায়, চরণে..! তোমার বুকে মাথা দিয়ে কেঁটেছিলো এক একটা মন কেমনের রাত... তুমিও তো কান পেতে
ছিলে,মন দিয়ে শুনেছিলে তোমার নামের স্পন্দন।
.
রাতের পর রাত জেগে স্বপ্ন বুনেছি প্রাণ-পন। ক্লান্ত চোখ দুটো রেখছি একে অপরের চোখে।ভালবাসা ঢেলেছি আপ্রাণ..!!! আমার চোখের কালোয় রাত নেমেছে তোমার। পশমে পশমে মিলন উৎসব।
.
আজও আমার এই শরীরে গন্ধরাজ ফোটে নিয়ম করে.. শুধু তুমি ছুঁয়ে দেখ না আর তাদের। তারাও নিজেকে বিলিয়ে,কিনে এনেছে অবহেলা। শিরায় শিরায় ঢেলেছি বিষ, নিঃশ্বাসে পুষেছি মৃত্যু।
.
কবে ফিরবে তুমি?পেতে দেবে কৃষ্ণচূড়ার বিছানা? কনক নুপুর পরবে সেদিন পায়ে। রাঙা সিদুঁরে নয়, শিয়রে থেকো বসে, রৌদ্দুর এনে দিবো...!!