মানবরূপে ঈশ্বরের কৃপায় আমরা সবাই সৎ কাজ করতে এসেছি। আমরা কি করছি সে বিষয়ে ঈশ্বর যত্নশীল। তিনি প্রকাশ্যে কি করছেন তা গোপন রেখেছেন। আকাশে সূর্য যেমন রাতের কালো মুছে দেয়, সদ্য জেগে ওঠা কিশোর সকাল যেমন ধরনিকে রাঙ্গিয়ে দেয়, ঘাসের ডগায় ঝুলে থাকা শিশির বিন্দু সকালকে স্নিগ্ধ করে।
ঈশ্বর মানুষকে প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তা দিয়েছেন। সেই বুদ্ধি কিছু দায়িত্বের দাবি রাখে। একজন মানুষ যত বেশি বুদ্ধিমান, তাকে তত বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। সে নারী বা পুরুষ, যাই হোক না কেন।
বিশ্বের জনগণ এবং তাদের শাসকরা যদি কুরআনের আলোকে নিজেদের জীবন পরিচালিত করতেন তবে তারা আল্লাহর রহমত ব্যতীত থাকত না। এর প্রতিকারের জন্য আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন।
ইবাদত-বন্দেগিতে সারা দিন, মাস ও বছর অতিবাহিত করা গেলেও নফল নামাজ, রোজা, জিকির-আসকার তাসবীহ-তাহলিল মুরাকাবা মুশাহাদা দান-খয়রাত, মানবকল্যাণ ইত্যাদি মাধ্যমে মানুষ সুন্দর এবং চমৎকার জীবন ব্যবস্থা গড়তে পারে।
যারা ঈশ্বরের কথার সত্যতা এবং পরকালে তাঁর কাছে জবাবদিহিতা স্বীকার করতে অস্বীকার করে তারা ঈশ্বরের ক্ষমা ও করুণা থেকে নিরাশ হবে। তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি অপেক্ষা করছে।