সিনিয়র_খালাত_বোন_যখন_বউ

নাকে গলায় কানে অল্প অল্প করে চুমু দিচ্ছি,, সে আমার আদরের ছোয়া পেয়ে চোখ বন্ধ করে আছে,,, জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলত?

আমি ঈশিতাকে ছাদ থেকে কোলে করে এনে বিছানায় শুয়ে দিলাম,, তারপর আমি তার উপরে শুয়ে পড়লাম,,,

 

তার নাকে গলায় কানে অল্প অল্প করে চুমু দিচ্ছি,, সে আমার আদরের ছোয়া পেয়ে চোখ বন্ধ করে আছে,,, জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলতে লাগল,,,, আমি যখন তার গোলাপী ঠোট জোড়া সাথে আমার ঠোট জোড়া মিলিয়ে ভালবাসার পরশ দিচ্ছি,,, সে তার দুই হাত দিয়ে আমার মাথার চুল শক্ত করে খামচে ধরেছে,,,,

 

আমি যখন ঠোঁট ছেড়ে একটু নিচে নামতে যাব,, তখন সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল তারপর আমার উপরে উঠে,, তার ঠোটজোড়া আমার ঠোট যার কাছে এনে বলতে লাগলো,,,,

 

আমি একটা কথা বলতে চাই।

বল কি কথা বলবে?

আগে আমাকে কথা দিতে হবে,,, আমি যা বলব তাই শুনবি ।।

 

আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যা বলবে তাই শুনবো।

 

আমরা দুজনের তো এখনো পড়ালেখা শেষ হয় নাই,,, আমার আরো এক বছর লাগবে,,, আর তোর আরও আড়াই বছর

তাই আমরা পড়ালেখা শেষ না করার আগে অন্য কিছু চিন্তা করবো না ?

 

অন্যকিছু মানে।

যাহ আমি মুখে বলতে পারবো না

 

মুখে না বললে কি ভাবে বঝবো

 

আমি বেবির কথা বলছি। (((একথা বলে লজ্জায় মুখ লাল করে ফেলেছে।)))

 

তুমি কি পাগল হয়েছো পড়ালেখার সাথে বেবির কি সম্পর্ক, আমি এখনই বেবি নিতে চাই,।

 

তুই কিন্তু আমাকে কথা দিয়েছিস আমি যা বলব তা শুনবি,,, তাছাড়া আমরা যদি এরকম প্ল্যান করি,, তাহলে আমাদের আর পড়ালেখা হবে না,, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবো না, আর আমার খালুজান মানে তোর আব্বু একা ব্যবসা সামলাচ্ছে,,, তোর পড়ালেখা শেষ না হলে তোর আব্বুর সাথে ব্যবসায় সাহায্য করতে পারবি না,, তাই আমরা এখন এরকম প্লান করা ঠিক হবে না?

 

তাহলে আপনারা বিয়ে করেছি কেন,,, পড়ালেখা শেষ করে বিয়ে করতাম,,,,

 

আমি এতকিছু জানি না আমি যা বলছি তাই হবে,,,

 

তার মানে এই দুই বছর তোমাকে আমি নিজের করে পারবো না।

 

না?

কি বলছো তুমি পাগল পেয়েছো,,, বিয়ের পরে বউকে নিজের করে পাব না,,, আদর করতে পারবো না এ কথা বললেই হলো,, মানি না আমি তুমি আমার বিয়ে করা বউ আমি যা বলব তা শুনতে হবে।

 

কি বলছিস তুই,,, আমাকে কথা দিয়েছিস আমি যা বলব তাই শুনবি,,

 

কিন্তু এতদিন তোমাকে কাছে না পেয়ে থাকতে পারবো।।

 

কে বলল আমাকে কাছে পাবিনা,,, আমি তো সব সময় তোর সাথেই থাকব।

 

সাথে থাকলেই কি হবে তোমাকে নিজের করে না পেলে।

 

আরে পাগল আমি তো সব সময় তোরই থাকবো। আর আমি তো আমাদের ভালোর জন্যই বলছি।

 

আমার রাগ উঠে গেলো,,, দু'বছর কিভাবে থাকবো,,, লাগবে না সব সময় তোমাকে আমার,, আমি ধাক্কা দিয়ে উপর থেকে নামিয়ে বিছানার একপাশে শুয়ে পরলাম।

 

আমার বাবুটা দেখি খুব রাগ করেছে দেখি বাবু এদিকে আসো,, এ কথা বলে আমাকে কাছে টেনে নিল,,, তারপর আমার দু গালে কয়েকটা পাপ্পি দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরল,,,

 

আমি তার জড়িয়ে ধরার কোন রেসপন্স দিচ্ছি না,,, কি হলো জড়িয়ে ধর আমাকে,,

 

জড়িয়ে ধরে কি হবে,,,

 

আমি বলছি জড়িয়ে ধরে,,, নাহলে কিন্তু আমি রুম থেকে চলে যাব।

 

কি আর করা বাধ্য হয়ে মেনে নিতে হলো,,, তা না হলে শাকচুন্নির রুম থেকে বাহির হয়ে যাবে,, আর বাসর রাতে বউ রুম থেকে বাহির হওয়া মানে একটা গন্ডগোল লাগা

 

আমি আর কিছু না বলে জড়িয়ে ধরলাম সাথে সাথে আমার বুকে এসে শুয়ে পড়লো,,, আমি কপালে একটা চুমু দিয়ে তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম,,,

 

সকালে কারোর চুলের পানি দিয়ে আমার ঘুম ভাঙলো,, তাকিয়ে দেখি আমার শাকচুন্নি,,, কিছুক্ষণ আগে মনে হয় শাওয়ার নিয়েছে,,, পরনে আকাশী কালার একটা শাড়ি,, চুল গুলো থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছে,, সে পানি মনে হয় আমার মুখের দিয়েছিল,,,

 

সে তার রেশমি কালো চুল গুলো ঘারের এক সাইড করে তোয়ালে দিয়ে চুল গুলো মুচছে,, তার উন্মুক্ত পিঠে পানির ফোটা জমে আছে,, কোমরের এক সাইডে শাড়িটা উপরে তোলা নাভি টা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে,,, হায় আল্লাহ এভাবে যদি আমার সামনে তাকে,,, তাহলে একবছর কেন,, একদিন নিজেকে কন্ট্রোল রাখা আমার পক্ষে অসম্ভব হবে।

 

আমি আস্তে আস্তে উঠে পিছন থেকে তার কোমরে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম সে একটু কেঁপে উঠল। এই কি করছিস।

 

আমি আর কোন কথা না বলে তাকে কোমর ধরে টেনে এনে খাটে আমার কোলে বসিয়ে দিলাম,,, সে ছাড় ছাড় বলে চিল্লাতে লাগলো,, সে নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে না,, দিব্য আমার কোলে বসে আছে,,, আমি তার হাত থেকে তোয়ালেটা নিয়ে তার ভেজা চুলগুলো মুছতে লাগলাম।

 

কি শুরু করে দিয়েছিস সকালবেলা,,, আমাকে নিচে যেতে হবে,, সব মেহমানরা আছে নাস্তা মাস্তা তৈরি করতে হবে না।

 

চুপ একদম চুপ নতুন বউয়েরা প্রথম দিন কোন কাজকর্ম করে না,,,

 

কে বললো তোকে এ কথা,,, আর আমি নতুন বউ হয়েছি তো কি হয়েছে,,, এটাতো আমার খালামণির বাড়ি,।

 

চুপ কর কোন কাজকর্ম করতে হবে না,, তুমি শুধু আমার কাজ করবা,,,

 

আরে নতুন বউ সকালে নিচে না গেলে সবাই কি বলবে।

কিচ্ছু বলবে না,,

 

আমি তার চুল গুলো মুছে,,তার গলায় কানে চুমু দিতে লাগলাম,,, সে শিহরিতলো উঠলো,,

 

কি করছিস আমার কেমন জানি লাগছ

কেমন লাগছে বল।

না ছাড় বলছি আমাকে,, জোরাজুরি শুরু করে দিল,,, ছাড়বো না তার আগে পাপ্পি দাও।

 

কেন রাতে না অনেকগুলকো দিয়েছে, এখন আবার কেন

রাতে দিয়েছে তো কি হয়েছে,, দিনে বিশটা করে পাপ্পি দিতে হবে,,,তার একটা কম হলে আমার টা আমি আদায় করে নিব।

 

যাহ দিনে এতগুলো পাপ্পি দিতে পারব না।

 

দিতে পারবে না তো সমস্যা নাই অন্য কারো কাছ থেকে নিয়ে নেব।

কিই,,,

না কিছু না।

অন্য কারো কাছ থেকে নিয়ে নিবি মানে।

বললাম তো কিছু না।

একথা যদি দ্বিতীয়বার কোন সময় মুখে শুনি, তাহলে একটা বারি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলবো।

হায় হায় কি বলো মাথা ফাটিয়ে ফেললে তো আমি মারা যাব,, আর তুমি বিধবা হয়ে যাবে।

 

বিধবা হলে হব তারপরও কোন মেয়ের কথা যেন তোর মুখে না শুনি।

আচ্ছা ঠিক আছে শুনবা না,, এখন পাপ্পি দাও।

না দিব না।

আচ্ছা ঠিক আছে না দিলে যাও গা লাগবে না তোমার পাপ্পি।

লুচ্চা ছেলে চোখ বন্ধ কর।

চোখ বন্ধ করবো কেনো।

চোখ বন্ধ না করলে দেব না বলে দিলাম।

 

আমি চোখ বন্ধ করলাম সাথে সাথে আমার দু গালে কয়েকটা পাপ্পি দিয়ে দৌড়ে চলে গেল,,, আমি ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম,,,

 

সাথে সাথে নানা ভাই আমাকে একটা সোফায় বসিয়ে দিল,,, তারপর নানান কথা জিজ্ঞাসা করতে শুরু করল,,, আমি নানা ভাইয়ের কথা শুনে হাসতে হাসতে শেষ,, বউকে কতক্ষন আদর করেছি,, বউকে মন ভরে আদর করেছে কিনা,,, কিছুদিন পরে খুশির সংবাদ পাবে কিনা,,, আরো নানান কথা,,, আমিও বানিয়ে বানিয়ে সব মিথ্যা কথা বলেছি।

 

সকালের নাস্তা করে,, শাকচুন্নি কে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে রওনা দিলাম,, হায়রে আপ্পায়ন,,, এতদিন ছিল খালার বাড়ি,, এখন হলো শ্বশুর বাড়ি,,, দুনোটা একজাস্ট হয়ে গিয়েছে,,, মনে হয় খাওয়াতে খাওয়াতে মেরে ফেলবে,,, এত আপ্যায়ন আর সম্মান দেখে তো মনে মনে ভাবলাম আরো বছর খানেক আগে বিয়ে করলাম না কেন,, এক রাত শ্বশুরবাড়িতে থেকে আবার আমার শাকচুন্নি কে নিয়ে নিজের বাড়িতে আসলাম,,, তারপর থেকে চলতে লাগল আমাদের দিন,, শাকচুন্নি এত কাজ করতে পারে আমি কল্পনাও করতে পারিনি,,, আম্মুর কোন কাজ করতে হয় না সব কাজ শাকচুন্নিই করে।

 

সাথে আমার কাপড় ধোয়া কাপড় ইস্তারি দাওয়া যাবতীয় যা কাজ আছে বাড়ির সবই করে।

 

এক সপ্তাহ পরে ভার্সিটিতে যাওয়া শুরু করলাম,, একই সাথে ভার্সিটিতে রিস্কা করে যাওয়া,,, আবার ভার্সিটির শেষ করে একই সাথে রিসকা দিয়ে আসা,,, আমার ক্লাস অবশ্যই তার ক্লাসের এক ঘণ্টা আগে শেষ হয়ে যায়,,, তার ক্লাস 1 ঘন্টা পরে শেষ হয়,,, আর 1 ঘন্টা আমি তার জন্য অপেক্ষা করতে হয়,,, অপেক্ষা না করে যদি চলে যায়,,, তাহলে আমার সাথে রাগ করে তিন দিন কথা বলবে না,, আগে তো কথা না শুনলে থাপ্পর মারত,,, কিন্তু বিয়ের পর থেকে আমাকে থাপ্পর দেয় না,,, আমি কোন কিছু বললে আবার কোন কিছু করলে,,, রাগ করে অভিমান করে বসে থাকবে,,, রাতে সোফায় ঘুমাবে,,, আমাকে স্পর্শ করতে ও দিবে না। তাই আমিও তার কথামতো বাধ্য হয়ে চলি,,,

 

প্রতিদিন রাতে আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার বুকে মাথা রেখে ছোট বাচ্চার মত ঘুমাবে,, আমিও তাকে ভালোবাসার স্পর্শ জড়িয়ে নেই,,, ভালোই চলতে লাগলো দিন কাল,, আজকের তিন মাস হয়ে গেছে এখনো তাকে নিজের করে পাইনি,,, রাতে 4 পাপ্পি দিনের 4 পাপ্পি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। আমি মাঝে মাঝে জোর খাটিয়ে তাকে একটু ভালোবাসা দেয়?

 

একদিন রাতে ল্যাপটপে এক বন্ধুর সাথে চ্যাট করতেছিলাম,,, হঠাৎ একটা ইমেইল চোখে পড়ল, ইমেইল টা আসছে আজ থেকে 5 দিন আগে,, অনেকদিন ধরে অনলাইনে থাকি না তাই ইমেইলটা চোখে পড়েনি,,, ইমেইল টা পরে যা বুঝলাম,,, লন্ডন একটা ইউনিভার্সিটি তে এপ্লাই করেছিলাম,,, তারা আমাকে সিলেক্ট করেছে,,, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে,, আগামী 27 তারিখে আমাকে লন্ডন যেতে হবে,, এবং সব কাগজপত্র ফিলাপ করতে হবে,, 1 তারিখ থেকে আমার ক্লাস শুরু হবে,,, তারমানে আর 15 দিন,,,

 

এখন চিন্তায় পড়ে গেলাম,,, আব্বু আম্মু কি রাজি হবে,,, বিশেষ করে আমার শাকচুন্নি কে কি বলবো,,, আমি কি শাকচুন্নি কে ছাড়া থাকতে পারব,,, কেউই হইত রাজি হবে না,,, কারণ এখন আমি একটা পাবলিক ভার্সিটিতে লেখাপড়া করেছি,,, তাহলে বিদেশ যাওয়ার দরকার কি,,, সবার সামর্থ্য বা মেধা থাকে না,, পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ার,,, আমার সাথে আমার তিন বন্ধু ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিল কিন্তু ওরা চান্স পায়নি,,, আমি পেয়ে গেলাম,,, আবার মনে মনে ভাবলাম,, আব্বু একা ব্যবসা সামলাচ্ছে,,, আর ঈশিতা যেহেতু আমাকে শর্ত দিয়েছে,, লেখাপড়া শেষ না করার আগে আমাদের ভবিষ্যত ফিউচার নিয়ে ভাবা যাবে না,,, তাহলে দেশে থেকে কী করব,,, বন্ধু বান্ধবের আড্ডায় উড্ডায় আরো লেখাপড়ার ক্ষতি হবে,,, ভাবলাম রাতে খাওয়ার সময় আব্বু আম্মুকে কথাটা বলব।

 

কিছুক্ষণ পরে নিচে খেতে গেলাম,,, আমার শাকচুন্নির


Md bablu

26 Blog posts

Comments