আজ শুক্রবার ছুটির দিন তাই বেশি ঘুমাচ্ছিলাম কিন্তু কে এসে- ঘুমের বারোটা বাজাতে সুরু করলো।
আজিজুল এই আজিজুল উঠতে।
আর একটু ঘুমায়ি নি ,,,,, এখন জাওতো।
তাড়াতাড়ি উঠ।
ওহ্ যাও তো আম্মু।
আমি সুমাইয়া,, তোর আম্মু না।?♥️Sanyasis Azizul Hakim♥️?
?♥️ছন্দা সাঁতরা♥️?
তাড়াতাড়ি চোখ মেলে দেখলাম সত্যি সত্যি সুমু(সংক্ষেপে) আপু।দেখি হাতে কিসের কাপড়।
তোমার হাতে কিসের কাপড়,আর তুমি আমার রুমে এতো সকাল সকাল কেনো?
সুমু:এটা তোর লুঙ্গি নিচে পড়ে ছিল।
কি ইইইইইইই ,,,,, আ্যঁ আ্যঁ আ্যঁ আ্যঁ।
সুমু: চিল্লাচিস কেনো?
আমার মান ইজ্জত সব শেষ হয়ে গেল। আমার বউ এর জন্য কিছু থাকলো না।
হি হি হি হি হি হি হি হি হি হি হি,,,
কি ব্যাপার আপু হাসছে কেনো। পরে মনে পড়লো আমি তো কম্বল পারে আছি। শালা এই জন্য লুঙ্গি পরে ঘুমায় না,ভালো যেন কম্বল পারে ছিলাম না হলে তো,,ছি ছি ছি ছি নাহলে মান ইজ্জত গাছের আগালে ঝুলতো।?♥️Sanyasis Azizul Hakim♥️?
?♥️ছন্দা সাঁতরা♥️?
এই নে লুঙ্গি, পড়ে নিচে ফ্রেশ হয়ে আয় চাচী ডাকছে ।
আপু হাসতে হাসতে চলে গেল। আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে এলাম। হ্যাঁ আম্মু কিছু বলছিলা।
আর এই দিকে তো সুমু আপু আমাকে দেখে মুচকি মুচকি হাসছে। খুব লজ্জা লাগছে।
আম্মু:সুমু এর সাথে তোর বড়ো আব্বুর বাসায় যা তো।
একটু খুশি হলাম ,,,,, কারণ বড়ো আব্বুর বাসার ওখানে একটা মেয়ে থেকে। দেখতে সেই। নাম তার লামিয়া আমার সাথেই পড়ে।সুমু আপুর থেকে কম না আবার বেশি সুন্দর না। দেখতে সুমু আপুর মতো দেখতে সুন্দরী। কিন্তু সুমু আপুর টোল পড়া হাসি , মায়াবী চোখ সবথেকে আমার ভালো লাগে। আমি সুমু আপুর হাসির উপর ক্রাশ খেয়ে বসে আছি। সুমু আপু কে অনেক ভালোবাসি , অনেক বার বলেছিলাম তো প্রথম বার কান ম্লান খেয়েছি আর দ্বিতীয় বার থেকে দৌড়ানি আর আর মনে পড়ছে না। আমি যাওয়ার জন্য এক পায়ে খাড়া তাও বললাম-
যেতে পারবো না ,,,,,,, আজ খেলা আছে। দেখলাম সুমু আপু চোখ রাঙিয়ে তাকালো।
আম্মু: তোর খেলা বের করছি ,,,,, তাড়াতাড়ি খেয়ে যা।
ফানদে পেড়ে বোকা কাঁন্দেরে ,,,,, অগত্যা ।
আমি তো আম্মুর ঝাড়ি শুনে শেষ তাই আমতা আমতা করে বললাম,,, আচ্ছা যাচ্ছি।
মা তো নয় যেন হিটলার।
আমার আইডি লিংক যারা গল্প পড়তে ভালোবাসেন তারা এড দিবে।সাথে একটা ছোট মেসেজ
https://www.facebook.com/profile.php?id=100064207094207
আম্মু:কি বললি আমি হিটলার।যা তোর সকালের খাওয়া বন্ধ না খেয়ে যা।
আচ্ছা যাচ্ছি যাচ্ছি ,,,,, চলো( আপু উদ্দেশ্য করে বললাম)
সুমু:চল ?
এবার পরিচয় টা দিয়ে নি ,,,,,,,,,,
আমি আজিজুল হাকিম তবে ছোট না আজু ,, এবার ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে,, বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান।।।। আর সুমু ও আমার চাচাতো বোন একবছরের সিনিয়র এবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে দেখতে বেশ সুন্দর যে দেখবে সেই ক্রাশ খাবে, দিনে যতবার দেখি হয় আমি ততবার ক্রাশ খাই । আপু মেজো আব্বুর মেয়ে। ও বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে। আমার আব্বু আর মেজো আব্বু পাশাপাশি বাসায় থাকে। আমার যাচ্ছি আমরা বড়ো আব্বুর বাসায় ,,,, কি জন্য যাচ্ছি মুঝে মালুম নেহি। বড়ো আব্বু কিছু দূরে থাকে হেঁটে গেলে দশ মিনিট লাগে।আমরা হেঁটেই যাচ্ছি। আমার মনে তো লাড্ডু ফুটছে লামিয়া কে দেখতে পাবো বলে। আমাকে খুশি দেখে আপু বললো-
সুমু:কিরে বেহায়া সকালে চাচীর কাছে বকা+না খেয়ে আসলি তাও তোর হাঁসি পাচ্ছে।
ও তুমি বুঝবে না ,,,,,,,,,
সুমু: কি এমন ব্যাপার যে আমি বুঝবো না।
কথা বলতে বলতে বড়ো আব্বুর বাসায় চলে আসলাম,,,, আপু বাসার কলিং বেল চাপ দিলো। সাদিয়া আপু এসে দরজা খুলে দিল।
জান্নত আপু :ও তোরা এসে?
সুমু: হুম,,,,
আমি কোন কথা না বলে বড়ো আম্মুর কাছে গিয়ে বললাম--
তাড়াতাড়ি খেতে দাও পেটে ইঁদুর দৌড়াচ্ছে।
বড়ো আম্মু: বস আমি খাবার দিচ্ছি।
বড়ো আম্মু খাবার নিয়ে আসলো। আমি তাড়াহুড়ো করে খেতে লাগলাম তখন আপু আর জান্নাত আপু আমার দিকে দেখে হাসছে। ওদের ব্যাপার কি আমাকে দেখে হাসছে কেনো?ও বলতে তো ভুলেই গেছি নাম ,জান্নাত আপু অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে।একজনের নাম সাজু ,সাজু ভাই বিদেশে থাকেন আর ছোটার নাম সুমন এবার অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ে, সুমন ভাই পড়া লেখার জন্য ঢাকায় থাকে।
আমি খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাইরে গেলাম লামিয়া কে দেখার জন্য। মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। বাইরে যেতে দেখি লামিয়া ফুলের গাছে পানি দিচ্ছে।
চলবে ???????
?♥️♥️সিনিয়র চাচাতো বোন যখন বউ ?????????
♥️??
꧁༺❤সন্ন্যাসী আজিজুল হাকিম ❤♥‿♥
Part:0️⃣2️⃣
⬇️
আমি খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাইরে গেলাম লামিয়া কে দেখার জন্য। মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। বাইরে যেতে দেখি লামিয়া ফুলের গাছে পানি দিচ্ছে। লামিয়ার কাছে গিয়ে-
হাই ,,,
লামিয়া: হ্যালো!
কেমন আছো?
লামিয়া: ভালো, তুমি?
আলহামদুলিল্লাহ ভালো ,,,,,, গোলাপ গুলো কত সুন্দর হয়ে ফুটে আছে। এগুলো কি ফুল?
লামিয়া: ডালিয়া,,,
ও,,আর এগুলো,,,
লামিয়া: চন্দ্র মল্লিকা,,,,
ও,, সকালে খেয়েছো?
লামিয়া: হুম তুমি?
হুম ,,,,,,, আমার দিকে কেমন করে তাকিয়ে বলল।
লামিয়া: আচ্ছা যাই।
এই শুনো ,,,,
লামিয়া: না আমার কাজ আছে।
দেখিতে আমার পিছনে কি আছে,,,,যে লামিয়া এভাবে দেখলো। পিছনে ঘুরে দেখি সুমু আপু,,,,,
সুমু:কিরে এখনে কি করছিস?
মাছ ধরছি ,,,,,, ধরবে নাকি?
সুমু:এখানে মাছ ধরছিস ?(রেগে গিয়ে)
দেখতে পাচ্ছো তো বললা কেনো?
সুমু:কি এতো গল্প করছিলি?
তোমাকে বলতে হবে,,,
ঠাসসসসস ঠাসসসসস
উু হু মারলা কেনো? গাল টা ব্যাথা হয়ে গেল।
সুমু:তুই আমার মুখের উপর কথা বলছিস কেনো তাই ।
তুই বলে এই অধম পিচ্চি কিউট পোলা টাকে মারবা।
সুমু: এভাবে মুখের উপর কথা বললে এভাবেই মারবো।
জান্নাত:কিরে তোর কি হয়েছে?
সুমু: কিছু না আপু।
: তোর গাল লাল কিভাবে হলো?
সুমু আপু আমাকে মারলো।
জান্নাত:কিরে সুমু আমার আদরের ভাই টা মারলি কেন?
সুমু:ও কেনো লামিয়া ………?
বলে জ্বিভে কামড় দিলো ,,,বলতে গিয়ে ও বললো না।
ও আমার মুখের উপর কথা বলেছে তাই।
জান্নাত: না তুই তো লামিয়া বলে কী যেন বলছিলি।
সুমু: কিছু না,,, এমনি বললাম,,,, চলে শপিং এ যাবা তো।
জান্নাত:হুম চল।
তারপর,,, গাড়িতে উঠলাম সুমু জান্নাত আপু পিছনে বসলো ,,,,, আমি সামনে উঠতে যাবো তখন আপু বলল -
জান্নাত আপু: আজু তুই আমার পাশে বস।
না আপু থাক ,,,,,,,,,,,
না তুই আমার পাশে এসে বস।মনে মনে বললাম এতো করে যখন বলছে যাই , যতোই হোক বড় আপু। গিয়ে জান্নাত আপুর পাশে বসলাম। সুমু কে দেখলাম আমার দিকে কেমন করে তাকাচ্ছে আর বিড়বিড় করে কি যেন বলছে।
সুমু মনে হয় জ্বলছে তাই আর একটু জ্বালানোর জন্য ,,,,,,জান্নাত আপুর কাঁধে মাথা রাখলাম আর বললাম কি কি শপিং করবা আর আমাকে নিয়ে আসলে কেনো?
আপু:ভাবছি,,,, আমার সোনা টা কে শপিং করে দিবো ,,,,,,,,,, আর তোর হবু দুলাভাইয়ের সাথে দেখা করাবো।(আমার গাল টেনে বললো?
মাথা তুলে বললাম দুলাভাই মনে?
আপু:কেনো তুই জানিস না আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে আর কাল আমার এঙ্গেজমেন্ট ।
কি বলো ? আমি তো কিছু জানিনা।
আপু:কেনো তোকে চাচী কিছু বলেনি?
না,,,,,
আপু:ওহ্ ,,,
আচ্ছা আপু তোমার ননদ আছে।
সুমু এর দিকে তাকিয়ে দেখি আমার দিকে বড়ো বড়ো চোখ করে তাকাচ্ছে। আমি তখন একটা চোখ টিপ দিলাম তাতে সুমু আরো রেগে গেলে।
আপু :কেনো?
বলো না,,,
আপু: হুম আছে ,, তবে ছোট ক্লাস নাইনে পড়ে।
ওহ্ তাই বলো ,,,,,,,,, ।
সুমু: তোর এতে খুশি হওয়ার কি এলো?
কিছু না,,,,
শপিং মল চলে এলাম ,,,,,,, গাড়ি থেকে নামলাম তখন একটা ছেলে আমাদের দিকে আসছে ,,,,, মনে হয় এটাই আমাদের দুলাভাই,,,, দুলাভাই এর নাম সালমান ।
সালমান:হাই কেমন আছে?
আপু: ভালো ,,,,,, তুমি?
সালমান: ভালো, এদের তো চিনলাম না ,,,,?
জান্নাত আপু :এ আমার মেজো চাচার মেয়ে,,, সুমু।এ আমার জানু ছোট চাচার ছেলে আজিজুল।
সালমান:ও,, চলো আগ রেস্টুরেন্টে ।