ও মা,, কই গেলা,,,
মা:কি হয়েছে,কি এতো চেচাইতাছোস কেনো,
আমি:মা তুমি বুজনা কেনো চেচাই, সবারি বাইক আছে আমার নাই কেনো।আমাকে বাইক কিনে দাও না
মা:আমার সোনার টুকরা তোমার বাইক লাগবে আমাকে আগে বলবানা,
আমি:আমি তো সেই কবে থেকেই তোমাকে বলছি আমার বাইক লাগবে কিন্তু তুমি আর বাবা কিনেই দাও না,
মা:কি বাইক নিবা তুমি কতো টাকার মধ্যে বাইক নিবা,
আমি:একি আজকে মা আমাকে বাইক কিনে দিতে চাচ্ছে কারন টা কি,আবার ভালো মতো কথা বলতেছে মনে মনে
মা:কি বাবা বলো তোমার কতো টাকার মধ্যে বাইক লাগবে
আমি:বেশি না মা, Yamaha Fz Version 3 হলেই হবে,
মা : কতো টাকা লাগবে এই বাইক টার জন্য,
আমি:বেশি না মা ৫ লাখ ৭০ হাজার হলেই হবে,
মা:আসো বাবা তোমার বাইক কিনার টাকা টা দিতেছি।
আমি:কি ব্যাপার মা তুমি বাজাকাটা গরম করতেছো কেনো টাকা টা নিয়ে আসো,
মা:এটাই তো দিবো তোমাকে
আমি:তুমি তোমার ২ মাত্র ছেলেকে এটা করতে পারবা,
মা:হারাম জাদা তোর ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার বাইক কিনা দিবো তুই ভাবলি কেমন করে আর যেখানে আছিস সেখানেই দাড়িয়ে থাক নরবি না
আমি:মা আমি না তোমার সোনার টুকরা ছেলে তাই না মা
মা: হ বাবা তুমি আমার সোনার টুকরা ছেলে একটু দাড়াও আমি আসতেছি,
মা গরম বাজাকাটা টা হাতে নিয়ে এগিয়ে আসতেছে,
আমি:মা আমি না তোমার সব কথা শুনি কিন্তু এই কথা টা শুনতে পারলাম না, এটা বলে দিলাম খিচ্ছে এক দৌড়
মা:তোকে আজকে ধরতে পারলে না বাইক কিনার শক মিটিয়ে দিতাম,এই গরম বাজাকাটা দিয়ে না বুজিয়ে দিতাম,
আমি:সেই জন্যই তো মা তোমার থেকে পালাইলাম,
এটা বলে সোজা দৌড় দিয়ে চলে আসি,
কতো করে মাকে বলি যে মা আমি তো অনেক বড় হয়েছি বাইক আমার লাগবেই, কিন্তু কপাল বাইক কিনা তো দু্রের কথা, বাইক এর নাম টা শুনলে এমনো দৌড়ানি দেয়,।
আমি রোহান,,
Inter 2n Year এ পড়ি
২ ভাই ১ বোন,
আমি সবার ছোট,,
কিন্তু এই ছোট হওয়াতেই বড় একটা আপসোস, বাইক কিনে দেয় না,।
আর সেটা হলো,আমার বড় ভাই এর জন্য,
সে নাকি বড় ধরনের একসিডেন্ট করছিলো,বাইক দিয়ে তাই তো আমাকে কিনা দেয় না
এখন সে অস্টেলিয়া পড়ালেখা করে আমাকে বাঁশ খিলাইয়া গেছে।
মা এর দৌড়ানি তে দিছিলাম যে জোরেএকটা
কারো সাথে খেলাম একটা দাক্কা
ওই তুই চোখের কি মাথা খাইছোস হ্যা, আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলি কেনো,
আমি:আপু আপনি না শুধু আমার দূঃখটা বারিয়ে দেন
অবন্তিঃ আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে আবার বলে কিনা দূঃখ বাড়িয়ে দেই চল আন্টির কাছে,আর বাইরে
কি সারাক্ষন চল আমার সাথে তোর বাসাতেই যামু এখন,
আমিঃ নেহি নেহি আপু বাড়িতে গেলে আমাকে গরম বাজাকাটার ছেক দিবে মা,
অবন্তি বুজেছি আবার তুই আন্টির কাছে বাইক চাইছিস,আজ দেখ বাছা কি করি তুই যাতে বাইক না পাস তার সবচেয়ে ভালো একটা ব্যবস্থা করবো,
আমিঃ তোমার জন্যই আমার আজ বাইক নাই আচ্ছা আপু তুমি একবার ভেবে দেখো,তুমি যদি মাকে বুজিয়ে আমার বাইক এর ব্যবস্থা করে দাও তাহলে তোমাকে আর রিকশা দিয়ে ভার্সিটি যেতে হবে না,,আমার বাইক দিয়া যেতে পারবা প্রতিদিন, আমি তোমাকে নিয়ে যেতে পারবো,
অবন্তিঃ আমাকে বাইকে করে ভার্সিটি নিয়ে যাবি, দেখ কেমন লাগে
আমিঃও মা গো আমার কান টা ছাড়ো ব্যাথা পাইতেছি,
অবন্তি:সারাদিন খচ্চর পোলাপান দের সাথে ঘুরবি আরো বাইক কিনে দিতে বলবি আন্টি কে,
আমিঃ জিবনে ও না আমি আর বাইক এর নাম মুখেও আনবো না
অবন্তিঃ এইবার ছেরে দিলাম,কিন্তু আজ আন্টি কে ভালো করে বলমু যাতে তোরে বাইক তো দূরের কথা সাইকেল ও না কিনে দেয়,
হন হন করে অবন্তি আপু চলে গেলো,
আমিঃ ভাইয়ের থেকে বড় শত্রু এই যে অবন্তি আপু,আমার থেকে ২ বছর এর বড়ো,আম্মার বান্ধবির একমাত্র মেয়ে,খুব খুব খুব রাগি একটা মেয়ে,যখন রাগ ওঠে তখন কি যে করে নিজেও জানেনা,
অবন্তি আপু যদি এখনি বলে মাকে বাইক কিনে দেওয়ার কথা, তাহলে এখনি কিনে দিবে,কিন্তু না অবন্তি মাকে না করে আমাকে বাইক কিনে যাতে না দেয়,এই দূঃখ টা কাকে বলি।
এই সালা তোকে কখন থেকে ডাকতেছি।
আমিঃকি কবি ক
মাছুম,,বাইক তো পাবি না খালি বড় বড় কথা কস আয় আমার সাথে বাইক দিয়ে ঘুরি
আমিঃমজা লস আমার সাথে তুই দেখে নিস ৫ দিন এর মধ্যে বাইক কিনমু
আবিরঃতোর মোরদ জানা আছে,আয় তার চেয়ে আমার টা দিয়েই গুরি,
আমিঃসালা ৩ টাকার বাইক দিয়া আমার সাথে টক্কর দেস
আবিরঃ৩ লাখ টাকার বাইক এটা, যা তোর সাথে ঝগরা করতে আসি নাই,চল ঘুরে আসি
আমিঃআমি চালাবো কিন্তু
আবিরঃআয় তুই চালবি,কিন্তু ৬০ এর ওপর টান তোলা যাবে না,,
আমিঃদুর ৮০থেকে ১০০ টান যদি না তুলি তাহলে বাইক চালিয়ে লাভ কি।
আবিরঃ যখন নিজের টা হবে তখন টান তুলিশ,
আমিঃ যা শালা তোর টা আর চালামু না,একবারে কিনেই তার পর চালামু তুই যা সালা একবারে বাইক কিনে তারপর তোর সামনে আসমু,
এটা বলে চলে আসলাম,।
মনে মনে অবন্তি কে গালি দেই,, আমার বাইক কিনা দেয় না অবন্তির জন্য,,কিছু বলতেও পারি না, আমার ২ বছর সিনিয়র,
আজ আমাকে একটা কিছু বাহির করতেই হবে,,বাইক আমার চাই চাই যে করেই হোক,
পাইছি বুদ্ধি একটা, এটা আর বিফলে যাবে না,
এইবার দেখি, মা তুমি বাইক আমাকে না কিনে দিয়ে কই যাও,অবন্তি এর কথায়, শুনে আমাকে বাইক কিনে দাও না,,এইবার কিনে দেওয়া লাগবেই,,দৌড় দিয়া বাসাই যাই,,।
কলিং বেল চাপ দেই,
দরজা খুলে অবন্তি,
অবন্তিঃ কই গিয়াছিলি,
আমিঃকোথাও না,
অবন্তিঃ আসেক ভিতরে,,
আমি ভিতরে গেলাম
মাঃবাবা কই গিয়েছিলা,
আমিঃমা তোমার কথার কোন মানেই বুজিনা,এই ভালো আবার এই তুমি রাগে ফায়ার,
মাঃচুপ কর যা পড়তে বস রুমে গিয়ে।
আমি চুপ করে আমার রুমে গেলাম,
গিয়া ল্যাপটপ টা অন করে গান শুনতে থাকি,
অবন্তিঃ এই জন্যই তো খালি,রেজাল্ট খারাপ করিস,পড়তে না বসে, তিনি ল্যাপটপ এ গান দেখতেছে,ছো মেরে নিয়ে নিলো ল্যাপটা টা,
আমিঃ আমার বন্ধুদের সবারি বাইক আছে আছে,শুধু আমার নাই, এটা কষ্টের না,,
অবন্তিঃএই এই ন্যাকা কান্না করবি না,,।
আমিঃযদি আমাকে বাইক কিনে দেয় তাহলে তোমারি তো ভালো, তুমি কেনো মাকে আজাইরা বুদ্ধি দাও,,পাম দিয়ে
অবন্তিঃআহারে,কতো ভাবে আমাকে নিয়ে,
আমিঃতুমি আমার আম্মুর বান্ধবির একমাত্র মেয়ে,, তাই তো ভাবি,আমি না ভাবলে কে তোমাকে নিয়ে ভাববে,,
অবন্তিঃআমাকে নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না,তুই তোর নিজের টা নিয়ে ভাবেক,
আমিঃআমি ছারা আর তোমার কে আছে যে ভাববে,,হুম,মাকে বলে কিনে দাও না বাইক,
অবন্তুিঃতুই যদি ভালো রেজাল্ট করতে পারিস তাহলে ভেবে দেখতাম, কিন্তু না, টাইনা টুইনা পাশ করিস,
আমিঃআমি কি মেয়ে নাকি হুম সারাদিন ঘরে বসে খালি পড়বো,
অবন্তিঃভালো একটা সুযোগ দিয়েছিলাম তোকে কিন্তু তুই,,শুনলি না,,যা আমি দেখি তুই কেমনে,বাইক পাশ আমি দেখিবো,,।
আমিঃনা এই কাজ টা একেবারে কইরো না,,তুমি বুজনা কেনো,আমার দূঃখটা,
অবন্তিঃযা কুত্তা তুই যাই কর বাইক পাবি না এটা বলে অবন্তি আমার রুম থেকে চলে গেলো,,।সালার কি মেয়ে রে বাবা আমার কষ্ট টা একটুও বুজে না,, কুত্তা কেউ এতোদিন বুজাইলে কুত্তা বুজতো, কিন্তু এরা বোজে না,, কপাল আমার,,।
মাঃখাবার খেতে আয় রোহান ,
আমিঃআসতেছি নিচে গিয়ে দেখি,অবন্তি খাচ্ছে,,
আমাকে দেখে,সুন্দর একটা হাসি দিলো,,।
আমি মুখটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে, বসে পড়লাম খাইতে,,।
খাওয়া শেষে অবন্তি মাকে বলে চলে গেলো,,।
আমি সোফায় বসে,,টিভি দেখি,,।
আমিঃমা তোমার সাথে কথা আছে,,
মাঃযদি বাইক এর নাম সেটা হয় তাহলে মনে রাখিস এই যে ঝাটা এটার বারি একটাও মাটিতে পড়বে না,,
আমিঃআমি কি তোমার নিজের ছেলে নাকি আমাকে কুরিয়ে নিয়ে আসছো,
মাঃ চুপ যা, যেটা দেখতেছিস সেটা দেখ,
কিছুক্ষন পর
আমিঃমা কিনে দাও না,বন্ধুদের সবার আছে আমার নাই,
মাঃআবার শুরু করলি,বাইক এর ভুত কেমন করে, নামাতে হয় আমার জানা আছে,,
আমিঃশুধু বাইক টাই তো চাইছি,,অন্য কিছু তো চাইনি,
মাঃএখনি যেই ভাবে ঘুরে বেড়াস, না জানি বাইক দিলে কি করবি তোকে একমাত্র অবন্তির জন্য একটু সোজা করতে পারছি, অবন্তি না থাকলে কিছুই পারতাম না,,
আমিঃতুমি আমার মা হয়ে ওই অবন্তির কথা শুনো কেনো
মাঃতোর থেকে যদি অবন্তি আমার মেয়ে হতো তাও বাচতাম।
দূর তুমি না,, রাগ দেখিয়ে বাইরে চলে আসলাম,,
সোজা আবুসাইদ চাচার দোকানে গেলাম।
গিয়ে দেখি সব হারামি বন্ধু গুলা সবাই এখানে,,
বন্ধুরাঃকিরে মন খারাপ কেনো
আমিঃএমনি রে মাকে কিছুতেই রাজি করাতে পারিলাম না,,বাইক কেনার জন্য,
বন্ধরাঃআহারে, চাচা রোহানকে করা করে কফি দাও,,
আমিঃএমনিই মন খারাপ, তার মধ্যে সালা তোরা মজা লস,,
বন্ধুঃযা আর নিমু না,,বস কফি খা।
আমিঃহুম,
বন্ধুঃএই তুই অবন্তি কে রাজি করা তাহলে তো হয়,
আমিঃবাদ রাখি নাই অবন্তি তো মাকে মানা করে,,
বন্ধুঃসুন্দর একটা বুদ্ধি দেই তোকে দেখবি বাইক পাবি তুই ১০০০% সিয়র,
আমিঃসালা তোদের বুন্ধি মানে বাঁশ খাওয়া,
বন্ধুঃতুই দেখে নিস বাইক তোকে কিনে দিবেই,,না হলে আমার টা নিয়ে নিবি যা,,
আমিঃসালার পুত তারাতারি তাহলে বল,
বন্ধুঃআয় তা হলে কানে কানে বলি,না হলে সবাই শুনে নিবে,
---------
আমিঃ সালা তোর বুদ্ধির তুলনা হয় না,, আজি গিয়ে বলমু এই কথা,, দেখি, মা এইবার কি করে,,,
বন্ধু ঃ যা সালা তাহলে ট্রিট কই, ট্রিট দে এখনি।