ফলটি আকারের দিক থেকে সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বড়। কাঁঠাল পুষ্টি ও স্বাদে অতুলনীয়। এই বিশাল ফলের কোনো অংশ ফেলনা নয়। এটি অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেক সস্তা। তাই কাঁঠালকে 'গরিবের ফল' বলা হয়। কাঁঠালের কোষ তিন প্রকার। দোর্সা বা আদরসা, গালা ও খাজা বা চাউলা।
প্রতিটি মৌসুমি ফল শরীরে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব মেটাতে সাহায্য করে। আর আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালেরও রয়েছে অনেক গুণ। কাঁঠাল একটি সুস্বাদু রসালো ফল। এর অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। দামের চেয়ে এত বেশি পুষ্টি অন্য কোনো ফলের নেই। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে এবং পাকা কাঁঠাল ফল হিসেবে খাওয়া যায়। এছাড়া কাঁঠালের বীজ ময়দা ও তরকারি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কাঁঠালের পাতা ছাগলের প্রিয় খাবার। কাঁঠালের ভুসি গরুর প্রিয় খাবার। এছাড়া কাঁঠালের কাঠ দিয়ে উন্নতমানের আসবাবপত্র তৈরি করা হয়। তাই কাঁঠালের চাহিদা প্রায় সারা বছরই থাকে।
কাঁঠালে 4-5 কোয়াতে 100 কিলোক্যালরি খাদ্য শক্তি রয়েছে। এর হলুদ কোষ ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। 2-3 কোয়া কাঁঠাল আমাদের প্রতিদিনের ভিটামিন এ-এর চাহিদা পূরণ করে। তাই অপুষ্টি এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধে কাঁঠাল খুবই উপকারী একটি ফল।
কাঁঠালে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এটি আমাদের সর্দি-কাশি থেকেও রক্ষা করে। টেনশন ও নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল বেশ কার্যকর। কাঁঠাল বদহজম প্রতিরোধ করে। কাঁঠাল গাছের শিকড় হাঁপানি উপশম করে। শিকড় সিদ্ধ করলে যে চমৎকার পুষ্টি উপাদানগুলো বের করা হয় তা হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। কাঁঠালের মূল চর্মরোগ সমাধানেও কার্যকর। কাঁঠালের মূল জ্বর ও ডায়রিয়া নিরাময় করে।
shohidul22 19 w
Nice