#বই সাপেক্ষে কিছু কথোপকথন
আলোচনাঃ
বইটি নিয়ে খুব বেশি কিছু বলার নেই তবে অনেক কিছু শিখেছি। সেখান থেকেই ২/১ টা বিষয় তুলে ধরে আলোচনা করছি। সময়ের কাজ সময়ে না করলে পর পস্তাতে হয়। এই বইয়েও তাই হয়েছে।আমার মনে হয় আমাদের সকলের সময়ের কাজ টা ফেলে না রেখে সময়ে করে ফেলা উচিত।
অনন্ত পরে আফসোস করতে হবে না। আমরা জীবনে যত দুঃখ-কষ্ট অর্জন করি তার বেশিরভাগ বোধহয় প্রিয় মানুষদের থেকেই পাই।
পিছন থেকে ছু*রিটা সেইসব প্রিয় মানুষ গুলোই মা*রে যাদের আমরা আপন ভাবি।
এই বইটা পড়ার পর আমার বার বার মনে হয় কারোর প্রতি এতোটাও ভরসা বা কাউকে এতোটাও প্রিয় করার প্রয়োজন বা সুযোগ না দেওয়া উচিত
। যাতে ভবিষ্যতে বিপদ থেকে সামান্য হলেও রক্ষা পাওয়া যায়।
লোকে বলে জীবন নাকি গল্প, উপন্যাস নয়। অথচ জীবন থেকে নেওয়া কিছু ঘটনা নিয়েই গল্প উপন্যাস রচিত। এই বইটায় যা ঘটনা ঘটেছে তা রোজ আমাদের চারপাশেই ঘটে চলেছে।
সম্পর্কে পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
"কোথাও কেউ নেই" উপন্যাস টি 'হুমায়ুন আহমেদ' এর একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। উপন্যাস টি দিয়ে একটি নাটক ও করা হয়েছে যা সকলের নিকট জনপ্রিয়।
এফবিতে এর কয়েকটি ছোট ছোট লাইন এবং নাটকের চরিত্র নিয়ে বিশ্লেষণ দেখেই উপন্যাস টি পড়ার আগ্রহ জাগে।
ছোট ছোট লাইন গুলো দেখে মনে প্রশ্ন উকি দিতো এটা ভেবে যে, সত্যিই কি সেই সময়ের লেখা এই উপন্যাসের পাতায় এতো এতো বাস্তব ঘটনার চিত্র রয়েছে।
উপন্যাস টি পড়ার পর আমারও একটাই কথা মনে এসেছে এবং ভেবেছি আমরা মানুষেরা বোধহয় ভুল মানুষকেই ভালোবাসি। চোখের সামনে সঠিক মানুষের আনাগোনা থাকলেও সেই ভুল মানুষকেই আমরা মূল্য দিয়ে সঠিক মানুষ টাকে অবহেলা করে যাই।
উপন্যাসের কিছু জায়গায় নিজেকে বসিয়ে ভেবেছি সেই ঘটনা যদি আমার সাথেও ঘটতো সেই সময়টায় আমি কি করতে পারতাম? কিছু কিছু জায়গায় খারাপ লাগলেও পুরো উপন্যাসে এমন কিছু দৃশ্য রয়েছে যার জন্য সেই খারাপ লাগা টা বেশি সময় থাকে নি।
এই বইটা পড়ার পর আমি আবারও ভেবেছি বন্ধু যাদের আমরা এতো আপন ভাবি তার প্রকৃত রুপ এমন হয়। সত্যি বলতে কি বাস্তবতায় ঘেরা এই বইটা আমাকে এমন অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিক্ষা দিয়েছে যা আমি আজীবন মনে রাখতে চেষ্টা করব। যারা এখনো উপন্যাস টি পড়েন নি পড়ে দেখবেন। আশা করি ভালো লাগবে।
নামকরণে সার্থকতাঃ
হুমায়ুন আহমেদ স্যারের লেখা বইয়ের নাম গুলো সত্যি ভিন্ন ধরনের। নাম গুলো কেমন করে যানি বই পড়ায় আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। একবার শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত ভালো লাগে না। নাম গুলোই আকর্ষণ করে সবচেয়ে বেশি।
প্লট নির্বাচনঃ
বইটির নাম যেমন প্লট টাও ছিলো নামের সাথে একদম পরিপূর্ন। বইটি গভীর ভাবে পড়লে নামের সাথে প্লটের মিল ধরতে পারবে। আমার মনে হয় এই প্লটের সাথে এই নামটাই যথার্থ।
চরিত্রে নামঃ
মুনা, বাকের, বাবু, মামুন, বকুল, লতিফা, শওকত, পাল বাবু ইত্যাদি।
প্রিয় চরিত্র সম্পর্কে মন্তব্যঃ
উপন্যাস টিতে অনেক চরিত্র থাকলেও আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বাঁকের চরিত্র টা। ওনার মতো ভালোবাসতে সবাই পারে না।
চরিত্র উপস্থাপনঃ
বইটি অনেক চরিত্রের আনাগোনা দেখা যায়। প্রতিটি চরিত্র ছিলো সাধারণ এবং সাবলীল। কিন্তু উপস্থাপন ছিলো অসাধারণ।
বই থেকে নেওয়া কিছু লাইনঃ
▪️বেশি হওয়াটা খারাপ। বেশি কোনোটাই ভালো না।
▪️সব কথার জবাব দেওয়া ঠিক না। এতে মানুষের কাছে পাতলা হয়ে যেতে হয়।
▪️সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যে বলতে পারে না।
বইয়ের_নাম : কোথাও কেউ নেই
লেখকের_নাম: হুমায়ুন আহমেদ
জনরা: সমকালীন উপন্যাস