ATTOHOTTAR GOLPo

Akta hasi khusi manus o hut kore hariye jety pare Osavabik vabe.

যারা ডিপ্রেশন বা হতাশার কারণে মারা যান আমরা অনেক সময়ই তাদের গালি দেই বা বোকা ভাবি কিন্তু আপনারা যারা তাদের গালি আর বেকুব বলে গালি দিচ্ছেন তারা কি কখনো এইটা নিয়ে ভেবেছেন যে একটা সুস্থসবল মানুষ কিভাবে পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দিতে পারে?

বা একটা হাসিখুশি ছেলে কিভাবে বিষ খাবার সাহস পায়? বা অথৈ পানিতে ঝাপ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়? কিংবা ট্রেনের নিচে মাথা দেয়? ভাবলে অবশ্যই এর উত্তর "না" আসতো কারণ আপনি আমি আমরা কেউ পাঁচ তলা থেকে নিচের দিক তাকালেই আমাদের হাতের তালু আর পায়ের নিচে ঘেমে যায় ঝাপ দেয়ারতো প্রশ্নই উঠে না! 

 

আসলে আমরা অনেকটা মন গড়া টাইপের মানুষ মানে মুখে যা আসলো বলে দিলাম! পঁচানোর দরকার পঁচালাম! এটা বুঝলাম না যে যার সাথে আমি এই ফাইজলামিটা করলাম তার কি খারাপ লাগলো?

সে এইটাকে কিভাবে নিলো? ফাইজলামিটা করার পরবর্তী ঘটনা কি ঘটতে পারে?আমরা ভাবি না কারণ আমাদের কাছে সামনে মানুষটা ছোট করাটাই মজার একটা অংশ হয়ে যায় মানে ব্যপারটা এমন যে "ও মরলে মরুক পঁচাইতে পারসি এইটাই মজা"

নাও আই এ্যাম আ কুল কিড ইয়ো! সেটা হোক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা ক্যাম্পের আড্ডায়! আমার এই পোস্ট যারা পড়বেন বিশেষ করে যাদের সো কল্ড "পঁচানোর অভ্যাস" আছে তারা মাথায় ঢুকান! ডিপ্রেশন একটা এমন জিনিস যা মানুষের বাঁচবার ইচ্ছাকে শেষ করে দেয়!

আমি ডাক্তার না তবে যতটা শুনেছি যারা ডিপ্রেশনের রোগী তাদের মস্তিষ্কের কোন একটা নার্ভ যেটা দিয়ে মানুষ ভুল আর ঠিক নির্ধারণ করে সেটা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই কারণে তাদের জীবন তারা যখন শেষ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাদের মধ্যে কোন বোধ শক্তি কাজ করে না! মানুষ অনেক কারণেই ডিপ্রেশনে পরে যায় কেউ সম্পর্ক ভাঙার কারণে,

কেউ ব্যবসার ক্ষতি হবার কারণে কেউ বা পারিবারিক কারণে আর কেউ বা বুলিং বা সাইবার বুলিং এর কারণে! আমাদের দেশে সম্পর্ক ভাঙা, পারিবারিক কারণ আর বুলিং এর জন্য ডিপ্রেশন হয়! পরিনতি আত্মহত্যা হয়!

 

 তাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ আপনার যে বন্ধু বা বান্ধুবী যে মানুষটা সবসময় হাসিখুশি থাকে তাকেও অন্তত পক্ষে একটাবার সময় দিন তাকে আজকে একটু বেশী হাসান,

জিজ্ঞেস করুন কেমন যাচ্ছে তার দিনকাল! সবাই মিলে যদি এইটা বন্টন করেন গ্রুপের কেউ ডিপ্রেশনে পড়লেও এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না আর হ্যাঁ যারা আমার মত ইন্ট্রভার্ট তাদের এমন মনে করার দরকার নাই যে তারা আপনার সাথে ভাব মারতেসে যেমনটা আমার সাথে হরহামেশাই হয়! আমার চেহারা দেখেই অনেকে জাজ করে ফেলে যে আমার ভাব বেশী!

আরে ভাই জীবনে আমার সাথে কথা বলসেন? জানেন? তাইলে শুধু শুধু সেপাশ থেকে আমাকে জাজ করার কি দরকার? আসেন কথা বলি,এক কাপ চা খাই,সুখ দূখের গল্প মিশলেই বের হয়ে যাবে! কিন্তু না আমাকে বার বারই এইটা বলা হয় যে "পোলার ভাব বেশী" "বক্কল"

"মাথা মোটা" ইত্যাদি! আমি যদি আমার ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলি তাহলে আমি বলবো যে আমার জীবনে আমার দুইটা জিনিস নিয়ে আমি বেশী বুলিং হই একটা আমার গায়ের রং আরেকটা আমার হাত কাপে( ভুল ট্রিটমেন্ট এর জন্যই এই হাত কাপা যদিও এইটার চিকিৎসা চলছে) এমন একটা দিন ছিলো না যেদিন আমি স্কুল,কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে গায়ের রঙ আর হাত কাপার জন্য "কাল্লু" "কাইল্লা" আর "প্রতিবন্ধী"

এই কথাগুলা শুনি নাই! একেক সময় মায়ের কাছে এসে অনেক কান্নাকাটি করতাম কারণ আমি ইন্ট্রভার্ট আর আমার গায়ের রং কালো দেখে আমাকে দূর থেকে সবার ছোট করতে হবে! ভাই আমার ভালো লাগে না অতিরিক্ত আড্ডা আমি আমার আলাদা একটা দুনিয়াতে থাকি সেটাকে আপনি দূর থেকে জাজ করতে পারেন না!

সেই অধিকার আপনার নাই! আর প্রকৃতির কি নিয়ম দেখেন আজকে সেইসব গালমন্দ করা মানুষগুলো ঘাপটি মেরে আমার তোলা ছবি দেখে সেই কাইল্লার ছবি দেখে সেই প্রতিবন্ধীর কাপা হাতের ছবি দেখে! আমি আমার নিজেকে এমন ভাবে প্র্যাকটিসে রেখেছি যে আমি কখনো স্ট্যবেলাইজড লেন্স বা ক্যামেরা ব্যবহার করি নাই আর এখন আমার কোন সমস্যা হয় না!

কিন্তু ভাই আর বোন বিশ্বাস করেন আমার মত এমন অনেক বান্দা আছে যারা এই ব্যপারগুলো নিতে না পেরে হাতাশায় ভুগে ভাবে যে আমার মধ্যে আসলেই কোন কমতি আছে! আর ফলাফলটা সব থেকে বাজে পরিনতি "আত্মহত্যা" দিয়ে শেষ হয়! সেই মানুষটা বোকা ছিলো না শুধু মাত্র আপনার কারণে আপনার ছোট করার কারণে একটা মানুষের জীবন চলে গেসে! তাই দয়া করে নিজের বন্ধুবান্ধব যে যেরকম তার সাথে সেরকম আচরণ করুন আপনার যে আড্ডাবাজ বন্ধু/বান্ধুবী তাকেও ভালবাসুন আর যে একটু ইন্ট্রোভার্ট তাকেও সমপরিমাণ ভালবাসুন! কে কেমন আছে সেই খবর ২৪/৭ না নিলেও টাচের ভেতরে থাকুন!

সবাই যদি এইভাবে চলেন ভাই বিশ্বাস করেন না কেউ পরবে হাতাশায় আর না কেউ করবে আত্মহত্যা! আমরা সব পারি তাই এইটা করাও কোন অসম্ভব কাজ না! আপনি যদি কারো হাসির কারণ হতে পারেন ভাই বিশ্বাস করেন....আপনি ঈশ্বরের আর্শীবাদে কোনদিন খারাপ থাকবেন না!

আমার ডাক্তার আমাকে পরামর্শ দিয়েছে যেনো আমি ঘৃণা বা আক্রমণাত্মক কমেন্টগুলো গায়ে না লাগাই দেখেও না দেখার ভান করি নয়তো আমি নাকি মার্ডারার হয়ে যাবো! যদিও কথাটা শুনে আমি প্রথমিক ভাবে হেসেছিলাম কলকাতা গিয়ে কিন্তু আমি জানি এইটার সত্যতাটা! আমিও গভীর চিন্তায় আছি আমাকে নিয়ে! যাক যদি কেউ ভাবেন যে আপনার কথা বলার ইচ্ছে করছে পারছেন না আমাকে বলবেন! আমি যদি ফ্রী থাকি অবশ্যই সময় দিবো তবে চ্যাটিং এ না,ফোন কলে!

জিজ্ঞেস করে নিবেন! আর মা বাবা এর কথায় হতাশ না হবার চেষ্টা করবেন হ্যাঁ জানি উনারা মাঝে মধ্যে বুঝতে চায় না আপনাকে কিন্তু মনে রাখবেন উনারা আপনার মা বাবা আপনার ভালোই চায় দিন শেষে ❤

 

STOP CYBER BULLYING

STOP JUDGEMENT

STOP TAUNTING

MAKE SOMEONE SMILE


Salma Akter

233 Blog posts

Comments