এক সাদাসিধে নারী ও পুরুষ বিয়ে করে সংসার শুরু করলো। বিয়ের প্রথম বছর দারুণ কেটে গেলো, দুজনের কেউই টের পেলো না দিন মাস বছর কখন কিভাবে চলে গেছে।
এভাবে দ্বিতীয় বছরও পার হলো তবে ছেলেটার বুদ্ধি বেশী হওয়ায় সে মাঝে মাঝে টের পেলো দিন পেরোনোর বিষয়।
একদিন দুজনে খেতে বসেছে। স্ত্রী রান্না করেছে স্বামীর প্রিয় আইটেম। স্বামী নীরবে খেয়ে যাচ্ছে, হুঁ হাঁ কিছু বলছে না, স্ত্রী জিজ্ঞেস করলো,
স্ত্রী : কি গো, ডাল খেতে কেমন হয়েছে বলছো না যে!
স্বামী: ভালো হয়েছে তবে,
- কি তবে? লবন কম হয়েছে?
- না, লবন ঠিক আছে। আমার মায়ের রান্নার মত হয়নি।
স্ত্রী: তাই কি কখনও হয়? তুমি যখন আমায় কাছে ডেকে আদর করো, সেই আদরতো আমার বাবার আদরের মত লাগে না।
- আসতাগফিরুল্লা! কি কও এসব। স্বামী কি বাবা নাকি যে স্বামীর আদর বাবার আদরের মত হবে?
- স্বামী বাবা না, তাহলে স্ত্রী কি মা নাকি যে স্ত্রীর রান্না মায়ের রান্নার মত হবে?
১০ বছর পেরিয়ে গেছে, স্বামী স্ত্রী দুজনেই টের পেয়েছে কত দিনে কত মাসে দশ বছর পেরিয়েছে। খাওয়ার টেবিলে কেউ আর আগের মত রান্নার স্বাদ গুণ বিচার করেনা।
একদিন খেতে বসে স্বামীই মুখ খুলল,
স্বামী: দিনা ভাবীর চিকেন কোর্মাটা কিন্তু দারুণ হয় খেতে। তুমি একদিন দিনা ভাবীর কাছ থেকে জেনে নিও চিকেন কোর্মার রেসিপি।
স্ত্রী: তা জেনে নেবো। কিন্তু ভাইতো বলল অন্য কথা। সেদিন আমি হেঁটে ফিরছিলাম, দেখি ভাই উদাস দৃষ্টি মেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।
পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমি হেলো দিতেই ভাই এমনভাবে চমকানোর ভংগি করলো যে আমার বুঝতে বাকী রইলোনা উনি আমার ডাক শোনার জন্যই আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাব নিচ্ছিল।
স্বামী: এসব কি বলছো? মিন্টু ভাই কেন ঘরে সুন্দরী বউ রেখে অন্যের বউয়ের ডাক শুনতে চাইবে?
স্ত্রী: ঐ যে তোমার মত স্বভাব। রসুনের কোয়ার তো একটাই গোড়া থাকে। দিনা ভাবীই আমার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে চিকেন কোর্মা রান্না শিখলো, এখন তুমি আমাকে বলছো দিনা ভাবীর কাছে চিকেন কোর্মার রেসিপি নিতে।
স্ত্রীর কথা শুনে স্বামী চোখ গোল করে ফেলেছে। স্ত্রী বলল,
কথা শেষ হয়নি আমার। ভাই আমাকে গনি মিয়ার চায়ের দোকানে নিয়ে বসালো, চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বলল, ভাবী, দুলাল ভাইকে দেখে বড্ড হিংসে হয়। আপনার মত রূপে গুণে অনন্যা এক বউ পেয়েছে।
আমি বললাম, কেন, আপনিই বা কম কিসে! আমার বর তো দিনা ভাবীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ!
ভাই তখন বলল, না, ইয়ে মানে দিনার সব ভালো, কিন্তু রান্