অপেক্ষা কত ভয়ানক

অপেক্ষা জিনিস টা আমার ধৈর্য কোলায় না।মনে হয় একটা ভয়ানক যন্ত্রণার নাম অপেক্ষা।

তিন্নি আপু আমার কলিজার টুকরো ছিলেন। কখনো বলার সাহস হয়নি। উনি যখন ভার্সিটিতে পড়েন, আমি কেবল কলেজে পা দিয়েছি। আমার থেকে ছয় বছরের বড় একটা মেয়েকে এক দেখায় ভালোবেসে ফেলাটা ওই বয়সে ডালভাত ব্যাপার হয়তো। বাট সময় যত গড়িয়েছে, ভালোবাসাটা তত গভীর হয়েছে। একপাক্ষীক ভালোবাসায় যখন নিজেকে তার সমান যোগ্যতায় আবিস্কার করলাম ততদিনে আমার চারিপাশে কেবল টাকা আর টাকা। কোন দিক থেকেই নিজেকে তার অযোগ্য মনে হয়নি। কপালে থাকলে স্কুল বেলার ক্রাশের সাথে প্রফেশনাল লাইফে এসেও চুটিয়ে প্রেম করা যায় সেটার প্রমান আমি নিজেই। তবে, সে প্রেমটাও কিছুটা একতরফা আবার কোনসময় দুদিকের আচরনের প্রকাশ পেতো।

 

তিন্নি আপু মাঝে মাঝে এমন আচরণ করতেন যেন আমিই তার স্বামী হতে যাচ্ছি। আবার হুট করে বোঝাতো যে, আমার প্রতি ভালোলাগার কমতি নেই তার, তবে বিয়েটা করা হবেনা আমাকে। তখন কলিজা দুমড়ে মুচড়ে একাকার হয়ে যেতো আমার। আবার কদিন বাদেই ওসব ভুলে আবার প্রেমিক প্রেমিকার মত দিন কাটতো দুজনের। তাকে আমি ভালোবাসি সেই পুচকেবেলা থেকে সেটা জানাবার পর একা থাকলে তার নাম ধরে ডাকতাম। আর মানুষের সামনে আপু করেই সম্বোধন করতাম। দুজনের কাছেই ব্যাপারটা নরমাল ছিলো। একটা সময় দুজনের পরিবারও বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলো। কিন্তু, ভাগ্যের লিখন, না যায় খন্ডন।

 

আপু সদ্য সরকারি চাকুরি পাওয়া তার সমবয়সী এক ছেলের প্রেমে কয়েকমাস ধরে ডুবে জল খাচ্ছিলেন। আমি যখন জানলাম তখন তাকে প্রকাশ্যে বিয়ে করার প্রস্তাব পাটাবার কোন সুজোগই ছিলোনা। তিন্নি আপুর জন্য দশ বছরের সব জল্পনা কল্পনা মরিচিকার মতো গায়েব হয়ে গেলো। বাস্তবতায় তখন তিনি আর আমি দারুন বন্ধু হলেও, আমাকে বিয়ে করার হৃদয়টা তার নেই। ছয় বছরের বড় একটা নারী এখনো বিয়ে করেননি, তাকে আমি আমার ভালোবাসার কথা জানিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছি, সাথে কয়েকবছর চুটিয়ে প্রেম প্রেম খেলে ফেলেছি তাই তো ভাগ্য বলতে হবে হয়তো।

 

হটাৎ করে তিন্নি আপু এক্সিডেন্ট করলো। হাসপাতালে ভর্তি ছিলো দেড়মাস প্রায়। পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারনে হাসপাতালের একটা সিংেল কেবিনেই পুরো সময়টা কাটাতে হয়েছিলো তাকে। আমি প্রায়ই যেতাম দেখতে। আর তাকে হারাতে যাচ্ছি সেই কষ্টটা আমার চোখ দেখে বুঝে ফেলতো তিন্নি। ও নিজেই একদিন বল্লো

- এই শোন!!!! তুই একটা রাত আমার এটেন্ডেন্ট হয়ে হাসপাতালে থাকবি?? 

-আমি সানন্দে রাজি হলাম।

- বল্লো, নেক্সট সপ্তাহের শুরুতে রিলিজ করে দেবে হয়তো। তুই বৃহস্পতিবার রাতে আমার সাথে হাসপাতালে থাকিস। আমি সব ব্যাবস্থা করে রাখবো। সেদিন বাসার থেকে কেউই আসবে না। আর তাই অনায়াসে তুই এটেন্ডেন্ট হিসাবে আমার কাছেই থাকতে পারবি।

 আমি ওর দিকে তাকিয়ে কেদেই ফেলবো ভাব। 

ধমক দিলো, এই ছ্যামড়া এত আবেগ কেনোরে তোর? অল্পতেই ঠোট বাকিয়ে চোখ ভরে ওঠে তোর!! ব্যাটা মানুষ ব্যাটা মানুষের মত শক্ত থাকবি। আর শোন, আমি চাইনা ইস্যুটা আর কেউ জানুক। তোর বাসায় কেউ জানলে আমার বাসাতেও জানবে ভুল নেই। বুঝলিরে পিচ্চিইই!!! 

মাথা নেড়ে হ্যা বললাম। 

-এবার যা আজকের মতো। দুদিন বাদেই বৃহস্পতিবার। তুই চলে আসিস কিন্তু। ভুল করলে আমার সাথে একরাত গল্প করে কাটাবার সুজোগ এই জীবনে আর পাবিনা। 

 

আমি ওর দিকে একবার তাকিয়ে কেবিন থেকে বের হলাম। হাসপাতাল ছেড়ে রাস্তায় নেমে কোন এক অজানা ভালোলাগা জেকে ধরলো আমাকে। হাটতে খুব ভালো লাগছিলো কেন জানি….।

 

অধরা সেই বৃহস্পতিবারে সন্ধ্যার কিছু পরে আমি ওর হাসপাতালে গেলাম। দুই হাতে দুইটা ব্যাগ ছিলো আমার। কেবিনে ঢুকতেই জিজ্ঞেস করলো

- কিরে? দুহাতে দুইটা ব্যাগ ঝুলাতে ঝুলাতে এলি যে? আমার জন্য খাবার দাবার এনেছিস নাকি?

 

 উত্তর দিলাম- নাহহহ, তেমন কিছু নাই ব্যাগে। তোমার পছন্দের স্ট্রবেরী আছে, আর চকলেট এনেছি তোমার জন্য। আমার একটা ট্রাউজার আছে একটা ব্যাগে। 

 

সে আবার প্রশ্ন করলো- তাইলে আরেকটা নতুন ব্যাগে কি আনলি দেখা?? 

 

বল্লাম- পরে দেখবে না হয়? ব্যাগ নিয়ে তো পালিয়ে যাচ্ছিনা আমি। তোমার কাছেই তো আসা তাই না। ডাক্তার রাউন্ড দিয়ে যাবার পরে না হয় ব্যাগ খুলে দেখবো একসাথে। 

 

একগাল হাসি দিয়ে বল্লো- আচ্ছা, তুই না দেখালেও আমি নিজেই দেখে নেবো একফাকে।

 

আমিও হেসে বল্লাম – তাহলে তো আমার কস্ট কমেই গেলো তাই না। দুজনেই হাসতে লাগলাম। গল্প গুজব করতে করতে দরজায় নক হলো, নার্স এসেছে। বল্লো- প্রফেসর স্যার একটু পরেই রাঊন্ডে আসবেন। তারপর রাতের খাবার দিয়ে যাবে কেবিনে। জিজ্ঞেস করলো- এটেন্ডেন্ট এর জন্য ডিনার কি ক্যাফেটেরিয়া থেকে আনিয়ে দেবে কিনা? 

 

আমি বল্লাম- লাগবে না, আমি খাবার নিয়ে এসেছি। নার্স চলে যাবার মিনিট দশেকের ভিতর প্রফেসর সাহেব তার তিন চারটা জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে কেবিনে ঢুকলেন। গতানুগতিক কাগজপত্র দেখে বল্লেন- আগামী সপ্তাহেই আপনি বাসায় যেতে পারবেন ম্যাডাম। আপনি সেরে উঠেছেন। আপাতত ভারি কাজ বা শরীরের উপর প্রেশার পড়ে এমন কিছুই করবেন না। ফ্রাকচারগুলো জোড়া লেগেছে সবগুলোই। এখন মজবুত হতে সময় দেবেন, ওকে। আমরা দুজনেই মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললাম। রাউন্ড শেষ করে সবাই বেরিতেই পেশেন্টের রাতের খাবার দিয়ে গেলো নার্স। ঘড়িতে তখন ৯ টার কাছাকাছি বাজে। 

আমি তিন্নিকে বল্লাম- ১০ মিনিটের জন্য একটু বাইরে থেকে আসি প্লিজ!? ও উত্তর দিলো- আমার কাছে আসতে না আসতেই সিগারেটের নেশা উঠে গেলো তোর?? মৃদু হাসলাম। বল্লো- যা, একবারে কয়েকটা ফুকে আয়। আমি ঘুমানোর পর ছাড়া তুই আর সিগারেট টানতে পারবিনা কিন্তু।

- আচ্ছা, ঠিকাছে। সিগারেট টানার সময়ি মেন্টালি প্রিপারেশন নিয়ে ফেলবো, এবার যাই একটু প্লিজ। 

 

উত্তরে বল্লো, দূর হ, দূর হ এখন। পরক্ষনে ওর হাসির শব্দে পুরো রুমেই যেন অনুরনন ছড়াতে লাগলো।

 

একটার পর একটা টানা চারটা সিগারেট ফুকে, কয়েক কাপ চা শেষ করে ওর কেবিনে ফিরলাম। জিজ্ঞেস করলো, সিগারেট টানতে কি একেবারে সিগারেটের ফ্যাকটরিতেই চলে গেছিলি নাকি? এত সময় কি করলি বাইরে? খালি সিগারেটই টেনেছিস, নাকি কেউ মদের বোতল নিয়ে আশেপাশেই ছিলো, কয়েকঢোক মেরে আসলি??? 

 

ওকে অসহায় চোখে বল্লাম- নারে, খালি চারটা সিগারেট আর কয়েককাপ চাই খেয়েছি। হাসপাতালে এসে মদ খাবো কেনো? 

-হইছে হইছে৷ থাক। এই শোন!! মিনারেল ওয়াটার শেষ হয়ে গেছেরে। আমি তো ডিনার করার সময় খেয়াল করলাম। তোকে ফোন করে জানাবো, তখনই তুই চলে এলি।

 

- আচ্ছা, এখনই নিয়ে আসছি। পুরো এক কেস মিনারেল ওয়াটার এনে ওর খাটের তলায় রাখলাম। দুটো আবার ফ্রিজে রেখে দিলাম। আপাতত কাজ কর্ম শেষ। হয় গল্প করো নতুবা ঘুমানোর এন্তেজাম করো।

 

এটেন্ডেন্টের জন্য যে সোফাটা সেটাই আসলে একটা বেড হয়ে যায়। কেবল সেটিং বদলে নিলেই হলো। আমি আর তিন্নি আপু রাজ্যের কতশত কথা, গল্প, ব্যাথা, নিয়ে বকবক করেই যাচ্ছি। এমন সময় বল্লো- ব্যাগের ভিতর এত দামী শাড়ি কার জন্য কিনেছিস? কার বিয়ের শাড়ি এটা? 

 

আমি সহাস্যে বল্লাম- আচ্ছা দেখে ফেলেছেন আপনি?? 

-কার জন্য কিনেছিস সেইটা বল?

 উত্তর দিলাম- আপু আপনাকে তো আমার নিজের করে পাওয়ার ইচ্ছে ছিলো, আমার চাওয়াতে খাদ ছিলোনা। আপনাকে বিয়ে করলে আমি যেমন শাড়ি বিয়ের দিন পরার জন্য আপনার জন্য কিনতাম, তেমন পছন্দ করেই শাড়িটা কেনা। আর হ্যা, শাড়িটা আপনার জন্য। আপনার বিয়েতে তো আমার যাওয়া হবে না, তাই কাছে পেতেই আপনার জিনিস আপনাকে বুঝিয়ে দেবার সুজোগ হাতছাড়া করলাম না। 

তিন্নি আপু একটু থ মেরে রইলেন। তারপর জিজ্ঞেস করলেন- পাগলামির দাম কত নিলো? প্লিজ, জানতে হবেনা আপনার, খুব শখ হলে সুস্থ হয়ে দোকানে যেয়ে জেনে আসবেন। আমাকে বল্লো- তুই আর কখনোই বদলাবিনা বুঝে গেছি। সাথে সাথে উত্তর দিলাম- তাতে কি, তুমি তো বদলেছ অন্তত, সেটাই আমার বদলে যাবার শুরু না হয়। 

-আচ্ছা, এখন ঘুমাবি তুই?

 -না আমি ঘুমাবো না। আপনার ঘুম পেলে বলেন- মাথায় হাত বুলিয়ে দেই, পা নেড়ে দেই তবে!!

- না থাক, ঘুম আসছে না আজ। আয় টিভি দেখি দুইজন চুপচাপ। 

-আচ্ছা দেখেন। আমি তাহলে প্যান্ট বদলে ট্রাইজার পরে আসি বাথরুম থেকে। তিন্নি আপু টিভিতে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেল দেখতে লাগলেন।

 

আমি ফ্রেশ হয়ে ট্রাউজার পরে বের হলাম। সোফায় বসে জিজ্ঞেস করলাম, শব্দছাড়া টিভি দেখতে ভালো লাগে?

 - হাসপাতালের টিভি শব্দছাড়াই হয় জানিসনা গাধা?

- ও আচ্ছা। 

তারপর আপু হাতে কি একটা ড্রেস নিয়ে বাথরুমে গেলেন। আমি এত অল্পসময়ে কিভাবে শাওয়ার নিলাম তাও জিজ্ঞেস করলেন। বললাম, শাওয়ার না, কাকভেজা হলাম আর কি। নতুবা সারারাত অস্বস্তি লাগবে। অভ্যাস হয়ে গেছে আমার। টিভি দেখ। আমি চেঞ্জ করে নেই।

 

অনেকক্ষণ পর আপু যখন বের হলেন, দেখি একটা স্কার্ট পরা আর গায়ে ভি কাট একটা পাতলা গেঞ্জি পরে আছেন। তার ভরাট স্ত/নদুটো হালকা ঝুলে বুঝিয়ে দিচ্ছে তিনি ব্র পরেননি। অবশ্য ঘুমাবার সময় সেটার দরকার নেই। আর ডিপ ব্লু স্কা/র্টটায় আপুর কোমরটা আরো চওড়া মনে হচ্ছিলো যেন। আমার পাশদিয়ে হেটে কেবিনের দরজাটা লক করে দিলেন, তারপর লাইট নিভিয়ে দিলেন। কেবল বাথরুমের দরজা গলে যেটুকু আলোর রেখে পড়ছিলো রুমে সেটা দারুন আলো ছায়ার আবেশ দিতে যথেস্ট। পাশদিয়ে হেটে যাবার সময় তিন্নি আপুর পা/ছার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ঢোলা স্কার্টের জন্য পা/ছাটাকে আরো সুডোউল আর স্ফীত দেখাচ্ছিলো। আপু লাইটা অফ করে তার বেডের কাছে যাবার আগে আমার সোফায় এসে একটু বসলেন। তারপর জিজ্ঞেস করলেন- আমাকে জিজ্ঞেস না করে তুই মাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলি তাই না? আমি মাথা নিচু করে বসে রইলাম।

 

তারপর বল্লেন, আমার জন্য তোর যেমন আবেগ, তোর জন্যেও তেমন আবেগ আমার। কিন্তূ শোন! মাঝে মাঝে বাস্তবটা বেছে নিতে হয়, পারলে আমাকে মাফ করে দিস তুই। আমাকে অনেক পাগলের মতো চেয়েছিলি তুই, আফসোস তোর হবার সুজোগ নেই আমার। তিনি উঠে দাড়ালেন, আমিও দাড়ালাম।

- কি, কিছু বলবি? আমি জবাব না দিয়ে তিন্নি আপুর দু গাল শক্ত করে ধরে তার ঠোটের ভেতর ঠোট পুরে দিয়ে ভেজা চুমু খেতেই থাকলাম। তিনি হতচকিত হয়ে বাধা দিতে চাইলেন। আমার শক্তির কাছে পেরে উঠলেন না। আমি তার চুয়াল, চোখ, নাক, মুখ, গাল, থুতনিতে চুমু খেতে খেতে তার গলার কলার বোনে চুমু খাচ্ছিলাম। তিনি কি করছিস তুই কি করছিস বলতে লাগলেন। কর্নপাত না করে তার চুলের ভিতর হাত দিয়ে তার মাথা আমার কাধের সাথে চেপে ধরলাম বাম হাত দিয়ে। আর ততক্ষণে ডান হাত তার ডান স্ত/নের উপর আলতো করে চেপে ধরেছে। আপু একটা ঝাকি খেলেন যেন

….তোর এতবড় সাহস তুইই….এ পর্জন্ত বলতেই আপুর ঠোটের উপর আমার গাল চেপে ধরে বল্লাম- ১০ বছরের অপেক্ষায় কখনো আমি তোমাকে এভাবে চাইনি। আমি পাগলের মত বউ হিসাবে পেতে চেয়েছি তোমাকে। এত বছর দুজনের আবেগের গভীরতায় ১০ কয়েকশবার বিছানায় যেতে পারতাম আমরা। আনি অন্তত তোমার কাছ থেকে জোর করে হলেও সুখ নিয়ে ছাড়তাম। আজ আমার এক যুগ অপেক্ষার অবসান না হলে আজীবন আক্ষেপের আগুনে পুড়বো আমি। তাই সাহস দেখাচ্ছি।

 

কোনরকমে বল্লেন- ছাড় আমাকে। তোর থেকে কত সিনিয়র আমি। আর তুই আমার বুকে হাত দিচ্ছিস। কি অসভ্য তুই? এমন বেয়াদবি করবি চিন্তাও করিনি, বলেই- ঠাস করে আমার গালে একটা চড় কষে দিলেন। আমি তাকে তার বেডে বসালাম। তার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের গালে নিজেই আরো জোরে আরেকটা চড় মেরে বল্লাম- তোমার চড়টায় খুব ব্যাথা পাইনি। এটায় ব্যাথা পেয়েছি, দেখো গাল গরম হয়ে গেছে আমার…..আপু সাথে সাথে আমার গালে হাত দিয়ে বললেন, পাগলামি করিসনা প্লিজ।

 আমি বললাম, তিন্নি আপু, তোমার চড়টা আমার কলিজায় লেগেছে…। আমি তোমার কলিজা ভিজিয়ে দেব আজ। তিনি হতচকিত হবার আগেই তাকে তার বেডে শুইয়ে দিলাম। তারপর তার সামনে থেকে গেঞ্জিটা হুট করে গলা পর্জন্ত তুলে ফেলল্লাম। আপু হতভম্ব হয়ে যাচ্ছেন। আর তখনই আমি আপুর বাম স্ত/নের নিপ/লটা আমার মুখে পুরে আলতো করে চূশে দিতে লাগলাম। আর ডান হাতে আরেকটা স্ত/ন মুঠোয় নিয়ে টিপ্তে লাগলাম। ধীরলয়ে টেপা বলে যাকে। তিন্নি আপু উৎকন্ঠা নিয়ে বলছেন- প্লিজ এসব করিস না, এসব করিস না, প্লিজ এসব খারাপ হচ্ছে খুব। আমি আমার আপুর দু/ধ চুষে আর টি/পেই যাচ্ছি। আপু নিজেই একসময় শরীর ছেড়ে দিলেন। আমি তার স্ত/ন থেকে মুখ উঠিয়ে বল্লাম- আপু, আজ আপনার পায়ে পড়ছি, আমাকে আটকায়েন না, আপনার খারাপ লাগলেও আমাকে করতে দেন?? উনি আচমকা জিজ্ঞেস করলেন- মানে কি? কি করতে দেব? তার কানের কাছে আমি ফিসফিস করে বল্লাম- আদর করতে দেন আপনাকে। জবাব দিলেন, ওতক্ষন তাহলে কি করলি অসুভ্য ছেলে?? আমি ডানহাত তার গু/দের উপর চেপে ধরে বল্লাম- একযুগ আগলে রেখেছি আমি, আমার সুখ নেবার অধিকার আছে। আপু, আহহহহ হাত সরা । আমি হাত সরালাম। বাট গু/দ থেকে হাত সরিয়ে স্কা/র্ট কোমরের উপর তুলে ফেলেছি। আপু ততক্ষণে – সর্বনাশ, কি করছিস তুই এসব?? আমি কোন কথা না বলে তার গু/দের উপর মুখ ডুবিয়ে দিলাম। আপু কয়েকবার আমার মাথা পায়ের মাঝখান থেকে সরাতে চাইলেন, বাট কেমন যেন হালকা মনে হলো তার ইচ্ছাশক্তি। আর ততক্ষনে আমার ইচ্ছশক্তি তিন্নি আপুকে অন্তত বুঝিয়ে দিয়েছে যে- আজ হাসপাতালের এই কেবিনে প্যাশেন্টের বেডে শুয়েই তাকে আমার ধো/ন তার গু/দে নিতে হচ্ছে, ভুল নেই। সময়ের অপেক্ষা কেবল। কোথা থেকে কানে এলো- , আচ্ছা বাবা শোন, এই দস্যিছেলে শোননা প্লিজ!! তোর শাড়িটা অন্তত পরতে দে!!?। আমি ভুল শুনলাম নাকি…..?????

 


Akhi Akter Mim

313 Blog posts

Comments