করোনার সময়

১৯ শের জয় করোনা কালীন সময় বিয়ে মানেই কত ঝড়-ঝাপটা ,, তারপর ও কোনো রকম ভাবে বিয়ে টা হয়েই যায় করোনার সময় ১৯শের জয়।

ভাউন্ডেলে মেয়ে,,মৌ

বিয়ের নাম শুনলেই তেলে জ্বলে জ্বসলে ওঠে..

হঠাৎ একদিন বৃদ্ধ এক মহিলা আসলো মীমকে দেখতে.মীম তো বুঝতে পেরেছে মহিলা বিয়ের কোনো গান তুলবে তাই.চুপ করে ঘরের বাহিরে গিয়ে পলাতক.৩০ মিনিট মহিলা বসে রইলো মীমের খোজ নেই.তারপর মহিলা চলে গেলে মীম ও নাচতে নাচতে ওর চাচা তো বইন রুপা আপির ঘরে যায় খুশির আমেজে..কিন্তু হঠাৎ

দরজায় তাকাতেই দেখলো পাশের বাড়ির আন্টি, সাথে আম্মু আর এক অচেনা মহিলা আম্মু চোখের ইশারায় বুঝালো মাথায় ঘোমটা দিতে মীম রাজী না হলেও রুপা আপি ঠিক দিয়ে দিছে যখনি মীম রুমের বাহিরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করবে তখনি রুপা আপি লুকুচুরি মীমের হাত ধরে নেই

তার পর সে অচেনা মহিলা নাম জিজ্ঞাস করলো কোন ক্লাস আর মীম চুপচাপ উওর দিলো..মহিলা যাওয়ার পর শুরু হলো হট্টোগোল..মীম তো রেগে মেগে শেষ কেন বাড়িতে মানুষ আসে...মীম একটু র্সোট তাই ভাবলো মহিলা হয়তো তাকে পছন্দ করেনি..

কিন্তু না হলো তার উল্টো ২ দিন পর মহিলা আবার এলো তার সাথে আর একজন মহিলা জানতে পারলাম ওনি ভাবি হয় আর মহিলা টা খালামনি..ভাবি মীমকে দেখে আর ছবি তুলে নেয় মীম বুঝতে পারতে ছিলো না কি হতে যাচ্ছে ও কি ভাবে কি করবে..এসব কিছুর মাঝে মীমের একটা বন্ধুত্ব মহল ছিলো,,ওইটায় মীমের সুখের রাজ্যে হাসি খেলা মজায় ওর দিন কাটটো তাদের সাথে.

ওরা শুনে তো মজায় লাফায়তে ছিলো আর মীম ছিলো মহা টেনশনে;;;;;

 

 

মীম তো আছে মহা টেনশনে..খালা মনি ভাবি দেখে যাওয়ার পর ছেলের আসার পালা ছেলে মীম দেখতে আসবে কাজটা সম্পূন্ন মামার কাজ যেনো এ সুযোগে ছেলে মেয়ে দুজন দুজনকে দেখে নেয় /

#২/৭/১৯ মীমের প্রথম কম্পিউটার ক্লাস করার কথা সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় ক্লাস আর ওই দিনই ছেলের খালা মনি ছেলের বোন ভাই আসে..মীম তো রেগে আগুন তার মাঝে আজ প্রথম ক্লাস মিস যাচ্ছে মীমের মামা মীমকে বললো আজ ক্লাস যায়তে হবে না..৭:২০ এ সবাই আসলো মীম কে রুমে আসতে বললো মীম রুমে এসে মাথা নিচু করে সালাম দিলো ছেলে কোন পাশে তা যেনো না দেখতে হয় তাই মাথা নিচু করে ছিলো মামার ডাকে মামার পাশে গিয়ে বসলো মীম.. ছেলের পুচকো একটা ভাই ছিলো সে হঠাৎ ভাবী বলে উঠলো মীম তো লজ্জা পেয়ে মাথা নিচের দিকেই দিয়ে রাখলো...

ছেলের ডাক নাম জয় প্রোফেশনাল ভাবে মোস্তাকিম..

ছেলে মীমকে দেখে পছন্দ করলো কিন্তু মীম তো ছেলেকে দেখেইনি আর সে বিয়ে করবে না আগেই মানা করছে তাও কেন তারা ওর কথা শুনছে না ও বন্ধুদের কাছে অভিযোগ জানায় যে ও বিয়ে করবে না কিন্তু বন্ধুরাও ওর কথা শুনে না বিয়েতে রাজী হতে বলে.কিন্তু মীমের যে সংসারের মাঝে কোনো স্বপ্ন নেয় কারন ও র্সোট ছোট থেকে হাজারো কমেন্টের মাঝে বড় হয়েছে সবাই মজা নেয় ওর র্সোট নিয়ে তাই সে বিয়ে নিয়ে স্বপ্ন দেখতো না..কিন্তু তার পরিবার তার ছেলের পরিবার তো ওকে বিয়ে করতে বাধ্য করে দিচ্ছে..মীম খুব রাগী কিন্তু রাগ দেখানো ও কমাচ্ছে না সব সময় বলে যাচ্ছে সে বিয়ে করবে না..পরে তার মামা অভিযোগ জানতে চাইলো কেনো বিয়ে করবে না মীম বললো সে ছেলেকে দেখেনি আগে ছেলে দেখবে তারপর ও ভেবে দেখবে; 

৬/৭/১৯ প্রথম ছেলে দেখে মীম মামার বাড়িতে দেখার পর ও মীম বিয়ে করবে না বলে দেয়..

৯/৭/১৯ মীম প্রথমবার জয়ের সাথে ফোনে কথা বলে..তারপর কথা চলতেই থাকে কিন্তু মীমের কথা বলতে ভালো লাগে না..তাই তাকে বলে আর একবার দেখা করার ডিসিশন নেয় কিন্তু ১২ তারিখ আসার কথা বলে আসতে পারেনা কাজের চাপে...তাই মীমের খুব রাগ হয়...

এসব কিছুর মাঝে মীম বিয়ে রাজী না হওয়া সত্তেও মীমের পরিবার ছেলের বাড়ি যশোর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এসবের জন্য মীম ও খুব রেগে তাই পরিবারের সাথে খুব রাগ দেখায়..এ রাগের কারনে মীমের বাবার স্টক করে খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে..

 

 

মীমের আব্বুর এট্যাকের জন্য মীমকে দায়ী করা হলো তাও মীম বিয়েতে রাজী নই..মীমের পরিবার যশোরের জন্য রওনা হলো...সারাটা রাত মীম কান্না করে কাটিয়ে দিলো...সকালে মীমরের আব্বু কল দিয়ে বললো ছেলের বাড়ি আমাদের এলাকার মতো টাউন সিস্টেম.আমার থাকতে কষ্ট হবে না ওখানে.কিন্তু মীমের মন যে শায় দিচ্ছে না এ বিয়েতে..

বাড়িতে সবাই ফিরে আসলো বিয়ের দিন তারিখ পড়লো ১২/৯/১৯গায়ে হলুদ ১৩/৯/১০ বিয়ে... সব কিছু জানার পর ও ১১/৯/১৯ শে সব কিছু নিয়ে একটা ঝামেলার উৎপত্তি হলো আর মীমের বিয়েটাও ভেঙ্গে যায়..মীম তো মহা খুশি. ওর আনন্দ যে ধরে না আর মনে?

 

তার ১/২ মাস পর শুনতে পেলো মীম তারই কাকা তো ছোট বোনের সাথে নাকি তার বিয়ে হবে কথা টা শুনে লজ্জা ও করতে ছিলো মীমের আবার হাসতেও ছিলো যে.যাকে ওর স্বামী বানাতে এততো জোর জবর দস্তি সে ও কাকী নিজের মেয়ে সেদে তুলে দিতে চাই তার কাছে..পরপর ২ দিন ছোট বোনকে নিয়ে তার সাথে হুজুর ডেকে বিয়ে দিতে বলে কিন্তু জয়ের মনে যে মীম আছে ও কিভাবে ওর বোনকে বিয়ে করবে তাই মানা করে দেয় কিন্তু খালামনি আবার কাকীর বন্ধু তাই সে রাজী জয়কে ও বুঝাতে থাকে কিন্তু জয় বিয়ে করেনি..আমাদের দিন গুলো আমাদের মতো কাটটে থাকলো, তার মাঝে মীম অন্য কাউকে ভালোবেসে ফেললো বিয়ের সময়কালীন ওর কোনো রিলেশনশিপ ছিলো না কিন্তু বিয়ে ভাংগার ২ মাসের মাথায় ও অন্য কাউকে ভালোবাসলো বেষ্ট ফ্রেন্ডের মায়ায় আসক্ত হয়ে যায় কারন সে যে ওকে ভালোবাসতো এমনটা বুঝায়..নতুন ভাবে তার সাথে রাত জাগা কথা বলা... তার মাঝে মীমের আম্মুকে জয়ের আম্মু কল দিয়ে বলে ছিলো জয় ভালো নেই..রাগ দেখায় মীমকে বল্ক ও দেয় জয়..

 

 

জয় মীমকে বল্ক করে দেয়.

মীম আর জয়ের সমাপ্ত হয় কেউ কারো সাথে কথা বলে না/ দিন থেকে রাত ;;রাত থেকে দিন রাতে তারার মেলা আর মীমের জীবনে নতুন অধ্যায়ের ভালোবাসা ও আছে সাথো কেয়ারিং..দিন গুলো খুব ভালো কাটছি মীমের ভালোবাসা যেনো ওর কাছেই ছিলো হাত ধরে হাটা.রাত জেগে কথা বলা.. ভোরের সকালে তার হাত ধরে হাটা..এতো কিছুর মাঝে হঠাৎ আকাশে মেঘ গর্জন করলো বৃষ্টি আসবে আর ও নাকি সে বৃষ্টিকেও ভালোবাসে.;

মানো মীম আর বৃষ্টি তার ভালোবাসার জালে আটকা..কিন্তু এভাবে তো চলতে দেওয়া যায়না..তাই মীম বৃষ্টি প্রেলেনিং করলো ওকে তো সবার সামনে আনতে হয় যে কোনো ভাবে..যা ভাবনা তাই কাজ করার উদ্দেশ্যয় মীম বৃষ্টি..এসব কিছুর মাঝে হঠাৎ অচেনা এক নাম্বার থেকে কল আসলো মীম রিসিভ করতে পারিনি তাই মেসেজ এ বললো কে আপনি. সাথে সাথে রিপলায় আমি কে জানতে হবে না কেমন আছো তুমি. মীম পরিচয় টা দিলে ভালো হয়..উওরে রিপলায় আসলো আমি তোমার কঙ্কাল;

মীম তো আকাছ থেকে পড়লো যে এততো দিন পর হঠাৎ কি মনে করে... মীম যাকে ভালোবাসলো সে তাকে ঠকালো এদিকে জয় তো ওকে ভালোইবাসে তাহলে কেনো এতো অবহেলা/ মীম জয়ের সাথে কথা বলতে শুরু করলো আর ওর মামার কাছে আসতে বললো জয় রাজী ও হলো কিন্তু একটা ভয় যদি মামা রেগে যায় তাই আমাকে প্রথম বার কথা দিয়েও আসেনি মামার কাছে..আবার ও এক মাসের মতো কথা বন্ধ তার পর ২৭/২/২০ কল দিয়ে আমাকে হাজারো কথা বলে তার পর ২৫/৩/২০ এ রাত ১০:৩৫ কল মীম রিসিভ করে জয় চেয়েছিলো রাত জাগা কথা বলতে কিন্তু মীম বলে দেয় পরে কথা হবে সকালে..জয় ঠিক তাই করলো সকালে কল আবার কথা বলা নতুন করে গল্প সাজানো মীম তখনো মামাকে টানে কথার মাঝে এবার জয় সত্যি জয়ের মতই কাজ করলো মামার কাছে এসে নতুন ভাবে বিয়ের প্রস্তাব আর অবশেষে কোনো এক ১৯ তারিখ বিয়ে হয়ে যায় মীম জয়ের...মীম জয়কে মজার ছলে বলে ওঠে তুমি ও খুব ধরনের একটা কুফা আর সাথে আমিও..

কারন ১৯সালে ছিলো বিয়ের সময় গলা কাটার গুজব..

আর ২০সালের বিয়েতে আল্লাহর আজাব করোনা..সব কিছুর মাঝে ১৯ covid✌

 ১৯..১৯....১৯ শের জয় এর জন্যই সব কিছুকে হার মানিয়ে জয় ১৯কে জয় করে নিলো??


Akhi Mustakim

6 Blog posts

Comments