সিটি ড্রাইভিং এবং হাইওয়ে ড্রাইভিং উভয়ের মধ্যে কিছু স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে, যা প্রতিটি ক্ষেত্রে ভিন্ন অভিজ্ঞতা তৈরি করে।
সিটি ড্রাইভিংয়ে চালকদের সাধারণত ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে হয়, কারণ শহরের রাস্তাগুলোতে অনেক ট্রাফিক সিগনাল, যানজট এবং পথচারী থাকে। চালকদের নিয়মিতভাবে ব্রেক কষতে হয় এবং রাস্তার সংকীর্ণতা, পার্কিং এর অভাব এবং অন্যান্য গাড়ির ঘনত্বের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে হয়। শহরের মধ্যে ড্রাইভিং করার সময় চালকদের দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং সাবধানতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে, হাইওয়ে ড্রাইভিং একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অভিজ্ঞতা। এখানে রাস্তা অনেক খোলামেলা এবং স্পিড লিমিটও তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। ফলে চালকদের দীর্ঘসময় ধরে একটানা বেশি গতিতে গাড়ি চালানোর সুযোগ থাকে। হাইওয়েতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম হলেও, যেকোনো দুর্ঘটনা মারাত্মক হতে পারে কারণ গাড়িগুলোর গতি সাধারণত বেশি থাকে। হাইওয়েতে মূলত চালকদের রাস্তার নিয়ম মানা এবং লেন পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্ক থাকা জরুরি।
সিটি ড্রাইভিং মনোযোগ ও দ্রুত প্রতিক্রিয়া দাবি করে, যেখানে হাইওয়ে ড্রাইভিংয়ে দীর্ঘমেয়াদে মনোযোগ ধরে রাখা এবং নিয়ন্ত্রিত গতি বজায় রাখা জরুরি।