সোলাইমান আঃ

সোলাইমান আঃ এর বিশাল সিংহাসনের কাহিনী বর্নণা।

প্রাচীন কালে উড়ন্ত সিংহাসন মানেই অলৌকিক ঘটনা হিসাবি বিবেচিত করা হতো,,

 

কিন্তু বর্তমান আধুনিক বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির যুগে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি উড়োজাহাজ,মহাআকাশযান,জেট প্লেন,

প্রমান করে যে আধুনিক মানুষদের বাতাসের সাথে উড়তে বেড়ানো তেমন কঠিন কিছু নই।

 

কিন্তু হাজার হাজার বছর আগে

আল্লাহর নবী হযরত সুলাইমান আঃ কে আল্লাহ তা'আলা এমন একটি উড়ন্ত সিংহাসন দিয়ে ছিলেন,,

 

যা এখানকার আধুনিক উড়োজাহাজ প্লেনের থেকে

 

অনেক বেশী গতি সম্পন্ন ছিলো।

 

এবং এর এমন সব বৈশিষ্ট্য ছিলো যে

 

আধুনিক যুগের বিমান ও উড়োজাহাজ সে সিংহাসনের ১০ ভাগের এক ভাগ ও পৌঁছে পারিনি।

 

হযরত সুলাইমান আঃ আল্লাহর এমন একজন মনোনিত নবী ছিলেন

 

যাকে আল্লাহ তা'আলা নবুয়তের পাশাপাশি এ পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ রাজত্ব ও ক্ষমতা দিয়ে ধন্য করেছেন।

 

হযরত সুলাইমান আঃ ৭০০ বছরের বেশি সময় ধরে পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সমস্ত মাকলুকদের ওপর রাজত্ব ও শাসন করেছে।

 

এসব বিশাল রাজত্ব ছিলো হযরত সুলাইমান আঃ দোয়ার ফলস্বরূপ

 

যা তিনি আল্লাহ তা'আলা দরবারে করে ছিলেন।

 

হযরত সুলাইমান আঃ আল্লার দরবারে দয়া করি ছিলেন

 

৷৷ ৷৷৷৷৷ #হে আমার প্রভু

আমাকে এমন রাজত্ব দান করুন

৷৷৷৷৷৷৷ যা আমার পূর্বে কেউ পাইনি

৷৷৷৷৷৷৷ এবং আমার পড়েও কেউ পাবে না।

# নিশ্চয়ই আপনি মহান দাতা

 

এর পর আল্লাহ তা'আলা সোলাইমান আঃ এর দোয়া সাথে সাথেই কবুল করলেন।

 

আল্লাহ তা'আলা মানুষের পাশাপাশি জ্বিন এবং সকল প্রানীদেরকে,,

 

হযরত সুলাইমান আঃ এর অনুগত করে দিয়েছেন।

 

এবং কি বাতাস কে ও তার বশিভূত করে দেওয়া হয়েছে।

 

অর্থাৎ হযরত সুলাইমান আঃ চাইলে বাতাসকে যে কোনো দিকে প্রবাহিত করতে পারতেন।

 

এবং, সব প্রানীর কথা তিনি বুঝতে পারতেন।

 

তাদের সাথে কথাও বলতে পারতেন।

 

মানুষ পশুপাখি জ্বিন জন্তু জানোয়ার,,

 

সকলে হযরত সুলাইমান আঃ বিশাল শক্তিশালীর সেনাবাহিনীর

 

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ ছিলো,,

 

হযরত সুলাইমান আঃ যখন শাসন কালে নিযুক্ত ছিলেন তখন তিনি বিশাল এক সিংহাসন বানানোর নির্দেশ দেন তার জ্বিন বাহিনীকে।

 

যার দৈর্ঘ্য ছিলো ৩ ত্রুোশ লম্বা 

 

১ক্রোশ সমান=৩ কিমি

 

জ্বিনেরা বহুবছর ধরে অত্যান্ত পরিশ্রম করে এ বিশাল দানবীয় সিংহাসন টি তৈরী করে ছিলো।

 

 

আর এই সিংহাসনটি হাতির দাঁত দ্বারা নির্মান করা হয়ে ছিলো।

 

যা লাল ফিরুজা পাতলার মত ডাকা ছিলো।

 

আর এর চারপাশে সোনার তৈরি ইট বসানো হয়।

 

সিংহাসনটির চার কোনায় এমন বিরল গাছ ছিলো যার শাখা ছিলো সোনার তৈরি,,

 

তার ডানে ও বামে ১০০০ চেয়ার রাখা হয়েছে।

 

যেখানে সুলাইমান আঃ এর পত্নীরা ও দরবারের লোক বসতেন।

 

 

এ সিংহাসন টিকে ঐতিহাসিক রা

 

***তাখত এ তাউজ ***

 

বলতো,,

 

এ সিংহাসনটি পৃথিবীর সব থেকে সম্মানিতও শক্তিশালি সিংহাসন বলা হতো।

 

হযরত সুলাইমান আঃ যখন এ সিংহাসনে বসতেন,,, 

 

তখন সমস্ত পাখিরা সিংহাসনের ওপর দিয়ে ওড়ে যেত,,

 

তার বিশাল সমরাজ্য তার বিশাল বাহিনী নিয়ে যখন তিনি আকাশ প্রানে উড়ে চলতেন,,

 

তখন দূর থেকে দেখলে মনে হতো জেনো,,

 

বিশ্ববাসি রাজা তার প্রবল শক্তি নিয়ে উড়ে যাচ্ছেন।

 

 

আমিন

https://youtu.be/_wUI9558cfM?si=EtBwX8LIlFdlVEtr


Salma Akter

233 Blog posts

Comments