ছোট মেয়েটির পরিচয় নিয়ে শুরু করবো গল্প ঝুড়ি মেলা,,ছোর বেলার ঠাকুরমার ঝুলির গল্প না কিন্তু নিজের জীবনী গল্প গো গ??
আমার নাম আঁখি। আমি কিন্তু খুব দুষ্ট,
আমরা দু বোন আমার পরিবারে।ছোঠ বোনের নাম লাখি,,।ভারি পাজি মেয়ে ঝগড়া হলেই কান্না করে নালিশ দেবে মায়ের কাছে।বোকা মেয়ে জানে না তো মা যে আমায় কিছু বলবে না।
লাখি আমার ছোট বোন হলেও আমায় তেমন বুঝে না।আমাকে বুঝে আমার চাচা বড় বোন রুপা আর তার ছোট বোন সুরভী।
বাব মায়ের আদরের দুলালি আমি,যখন যা চাই তা আমার চাই,,,মধ্যে গাজিরচটের বাসিন্দা আমি রাস্তা বের হলেই বলে ফেলবে তুমি বুঝি ওমুকের মেয়ে,, বলেন তে কেনো বলতে পারে?কারন আমি আমার বাবার মত হয়েছি। বাবা আমাকে সব থেকে বেশি আদর করে,,যে কোনো কিছুতে আমার চাহিদা বেশি মিটায়,,স্কুলে গেলে বাড়িতে ভালো কিছু রান্না হলে আমায় রেখে খাবে না।
মা -আমার মা ও আমাকে অনেক ভালোবাসে
বাবা-মায়ের অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এক সাথে আমার জন্য
আমার হাতে একটা বিষ ফোরার মত গেোটা হয় আর ভালো হয় না তাই ডক্টের কাছে নিয়ে গেলে আমি চিল্লায় শেষ মা চিল্লানি শুনে রাস্তায় জ্ঞান হারায় আর বাবা আমার পাশে ছিলো ওখানেই কাত পড়ে ফার্মেসির বেডে শুয়েই রাখে।
বড় হওয়ার পর আমার জন্য বাবার প্রথম এট্রাক
মেয়ে বড় হয়েছে বিয়ে দিতে হবে।। নানান বাড়ি থেকে সম্নদ্ধো আসে,,এভাবে আসতে আসতে এক জায়গায় এসে থাৃমা শেষ হলো,,গাজিরচটের মেয়ে যশোর নাভারনের বাসিন্দা হবে,, ছেলে পক্ষের বাড়ি দেখা আসার পর মেডিকেল নিয়ে চেকাপ করে জানতে পারলাম হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।
মন যে আর মানে না, বিয়ে টা করবো না,,না করে দিলাম,,,বাড়ির মেয়ে বাড়িতেই রইলাম
বাবার রাজকন্যা হয়ে।
পাশাপ্রতিবেশি সমালোচনা
মেয়ে কি ঘরের কোনো ঝুলিয়ে রাখবা বিয়ে দিবে না?
মেয়েকি আজীবন বাবার বাড়ি থাকতে হয়নি।
বছর খানেক ঘুরলে পড়ে আবারো আসে সে বিয়ে ঘর।
এবার বাবা বললো মামাকে বিয়ে পরিয়ে দেন,,চিন্তা করে হবে কি নিয়ম তো মানতে হবে,
বিয়ের পরে গেলাম না যশোর রইলাম মামার বাড়ি ভাড়া তারপর ও তো বাবার মন মানে না সকালে রাতে চলে আসে রাজকন্যার কাছে,,,,নতুন করে নিলাম সিদ্ধান্ত বাড়ি এসে রইবো বাবার চোখের সামনে শাশুড়ী শুশুর স্বামীকে মানিয়ে নিলাম চলে এলাম বাবার বাড়ি।
বছর গেলো মাস গেলো গেলো কত দিন ছোট বোনটির বিয়ে দিয়েছে ফুটফুটে এক মেয়ে হয়েছে।
আল্লাহ তা'আলা আমার জন্য অন্য কিছু পরিকল্পনা করে রেখে বাবা দেখলো ছোট মেয়ের কোল আলো করা মেয়ে।
আসে পাশে নিন্দুকেরা কত কথা বলে
ছোট জনের মেয়ে হলো বড়জনের কি সমস্যা।
আহা এ কষ্ট রাখবো কথায়,জানি তো দেওয়ার মালিক আল্লাহ,,
হাজরো কথা মাটি চাপা দিয়ে হাসি খুশি কাটছে দিন,,হঠাৎ পড়লাম অসুস্থতায় বাবার চোখে চিন্তারভার
তবুও তুমি ছিলে তো বাবা
চিন্তা করে আমার পাশে পাশে।হঠাৎ করে অসুস্থ আমিকে রেখো পছন্দ হলো আমার বাবা আল্লাহ কবুল করলেন তাকে,,
আজ কত গুলো দিম হয়ে গেলো আমি আমার একা বাবা টা আজ নেই পাশে তার,,কতঝড় আসবে এখন কে সামলাব তোমার সঙ্গীকে।
নিয়ম বুঝি এটায় আসলে তো যেতে হবে সময় যখন ঘনিয়ে আসবে।