গাড়ির ইঞ্জিন সাইজ, যা সাধারণত লিটার (L) বা সিসি (cc) দিয়ে পরিমাপ করা হয়, গাড়ির পারফরম্যান্স এবং জ্বালানি দক্ষতার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। বড় ইঞ্জিন সাধারণত বেশি শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম, ফলে গাড়ি দ্রুতগামী হতে পারে এবং বেশি ওজন বহনে সক্ষম হয়। এই ধরনের ইঞ্জিনগুলো সাধারণত SUV, ট্রাক এবং স্পোর্টস কারে ব্যবহৃত হয়, যেখানে বেশি টর্ক এবং হর্সপাওয়ারের প্রয়োজন হয়।
অন্যদিকে, ছোট ইঞ্জিনগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য বেশি কার্যকর। ছোট ইঞ্জিনযুক্ত গাড়ি সাধারণত কম জ্বালানি খরচ করে এবং পরিবেশের জন্য অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকারক। এ কারণে ছোট ইঞ্জিনগুলো শহুরে পরিবেশে ব্যবহারের জন্য জনপ্রিয়, যেখানে জ্বালানি সাশ্রয় এবং কম দূষণ প্রাধান্য পায়।
তবে, টার্বোচার্জার প্রযুক্তির মাধ্যমে ছোট ইঞ্জিনগুলোর পারফরম্যান্স উন্নত করা যায়, যা শক্তি বৃদ্ধি করলেও জ্বালানি দক্ষতা বজায় রাখে। তাই আধুনিক গাড়ির ডিজাইনে ছোট, শক্তিশালী এবং জ্বালানি-সাশ্রয়ী ইঞ্জিনের চাহিদা বেড়েছে।
সর্বোপরি, ইঞ্জিন সাইজের প্রভাব গাড়ির উদ্দেশ্য, কর্মক্ষমতা, এবং জ্বালানি খরচের উপর নির্ভর করে। বড় ইঞ্জিন বেশি শক্তিশালী হলেও, ছোট ইঞ্জিন অর্থনৈতিক ও পরিবেশবান্ধব হতে পারে।