[পার্ট-০৬]
রাতের অন্ধকারে দুজনে রওনা দিলো নীল পাহাড়ে গুহায়। গুহায় এসে ব্রজবাবু কেমন যেন কাঁপছেন, রজতের ছোঁয়ায় ব্রজবাবু চমকে ওঠেন। তারপর আরও একবার সমস্ত কথাগুলো স্মরণ করিয়ে দিলো ব্রজবাবু কে। বার বার একটা কথা বললো কোনো ভাবে যেন দেবীর কথায় সাড়া না দেওয়া, প্রলোভন না পড়া।
আমি এই গুহার কাছে ধ্যানে বসে থাকব।
ব্রজবাবু কুমুন্ডলে গঙ্গাজল,ও মন্ত্রপূত বেলপাতা নিয়ে পাহাড়ের খাঁজে কঙ্কালের দিকে যেতে লাগলেন। কঙ্কালের সামনে সামনি আসতেই হঠাৎ করে কে বলে উঠল ” বাবা! তুমি কি করছ এখানে? তুমি বাড়ি চলে যাও।” ব্রজবাবু দাঁতে দাঁত চেপে নিজের লক্ষ্য দিকে যেতে থাকেন।
প্রবল জোরে ঝোড়ো হাওয়া ব্রজবাবুকে সামনের দিক থেকে ঠেলে রেখেছে, যাতে না আর সামনে যেতে পারে। যেই না ব্রজবাবু মুখে বললেন ” জয় মা চামুন্ডার জয়!” মুহূর্তের মধ্যে সমস্ত বাঁধন খুলে গেল, আর সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গাজল, বেলপাতা ওই কঙ্কালের ওপর দিয়ে দিলেন। আকাশ বাতাস কেঁপে ওঠে প্রচন্ড চিৎকারে।
ব্রজবাবু ওখানে বসে অঝোরে কেঁদে ফেলেন, রজত এসে ওনাকে ধরে নীল পাহাড়ের গুহা থেকে বাড়ি নিয়ে আসেন।
নতুন ভোরের আলোয় গোটা নিশ্চিন্তা গ্রামটা আজ যেন ঝলমল করছে। আজ সমস্ত গ্রামের লোকেরা ব্রজবাবুর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। গ্রামবাসীদেরকে দেখে ব্রজবাবু সব ভুলে গিয়ে আগামীর স্বপ্নে ডুব দিলেন। নিশ্চিন্তা গ্রামকে নমস্কার জানিয়ে বিদায় নিলো ভূতান্বেষী।
Bengali Ghost Story For Child অর্থাৎ ছোটদের “নীল পাহাড়ে আতঙ্ক” ভুতের গল্পটি পরে আপনাদের কেমন লাগলো মন্তব্য করে জানাবেন। যদি গল্পটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না।