শেয়ার বাজার ও বৈশ্বিক বাণিজ্য আধুনিক অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপাদান। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করেন। এটি একটি কেন্দ্রীয় বিনিয়োগের মাধ্যম, যেখানে কোম্পানির শেয়ার মূল্যের পরিবর্তনের ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগকারীরা লাভ বা ক্ষতি করেন। শেয়ার বাজারের উত্থান-পতন স্থানীয় অর্থনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত, তবে বৈশ্বিক ঘটনাবলীর প্রভাবও স্পষ্টভাবে দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট শেয়ার বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
অন্যদিকে, বৈশ্বিক বাণিজ্য বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে পণ্য ও সেবার লেনদেনকে বোঝায়। এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, প্রযুক্তি, এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বৈশ্বিক বাণিজ্যের মাধ্যমে একটি দেশ তার অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ সংগ্রহ করতে পারে এবং নিজের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে। শেয়ার বাজার ও বৈশ্বিক বাণিজ্য একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, কারণ একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম শেয়ার বাজারের উপর প্রভাব ফেলে এবং এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।