আমার কাব্যময় চিঠিগুলো সে পড়ত কি না জানি না। ছয় মাস পেরিয়ে গেল, তার দিক থেকে কোনো সাড়া নেই। আমি তখন তাকে ভালোবাসতে শুরু করেছি।
বাবা আমাকে নিয়ে বিকেলে নদীর ধারে বেড়াতে গেলেন। আমরা নদীর পাড়ে বসলাম। বাবা জানতেন জল আমি ভালোবাসি। মজার মজার কৌতুক বলে বাবা আমাকে হাসালেন। আমি তখন একবার হাসতে ধরলে থামতে পারতাম না। বাবা মমতামাখা চোখে আমার হাসি থামার অপেক্ষা করতেন। তারপর আরও একটা কৌতুক, আবার খিলখিল।
বাবা তাঁর পকেট থেকে কতগুলো চিঠি বের করলেন। বললেন, এগুলো ডাক্তার তাঁকে দিয়েছে। বাবা আমাকে বোঝালেন, তাঁর সবটুকু মমতা, ভালোবাসা, যুক্তি দিয়ে গভীর ভালোবাসায়।
আমি বুঝলাম। আমি অঝোরে কাঁদলাম। বাবা আমায় কাঁদতে দিলেন। শুধু একটা হাত দিয়ে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখলেন।
জীবনের প্রথম লেখা প্রেমপত্র বাবার কাছ থেকে চেয়ে নিলাম। আজও ত্রিশ বছর ধরে যত্ন করে গয়নার বাক্সে তোলা আছে সে চিঠি। আমার প্রথম ভালো লাগা, প্রথম প্রেম।
ভালোবাসা, আ-হা ভালোবাসা। চোখটা মেলে দেখ তুমি,
আমি আছি দাড়িয়ে
তোমায় ছুঁয়ে দিলাম কথা যাবোনা
হাতটা আমার ধরো আবার,
দিয়েছি বাড়িয়ে
জরিয়ে হাত রাখবো আমি,
দেবো না আর ছাড়িয়ে,,,
অভিমানে কেন যে আজ ভালোবাসার
শেষটা টানছো,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, এমন
কেনো করছো,
কাছে এনে আমায় ফিরিয়ে দিচ্ছ,,,
এমন কেনো করছো
পাশে রবে বলে চলে যাচ্ছ
এমন কেনো করছো
কাঁদিয়ে আমায় নিজে কি সুখ পাচ্ছ,,