ভালোবাসার মানুষ হয়ে ওঠার গল্প
রানবীর : আচ্ছা, দাদা-দাদুকে আমাদের হার মানাতে হবে, বুঝেছ?

মীম : কিভাবে হার মানাতে হবে? আর হার মানাতে হবে কেন?

রানবীর : আমাদের দুজনের মধ্যে যে ভালোবাসা, সেটা যে দাদা-দাদু

দেখতে আসছে। মীমকে যতবারই মাথা তুলে মুখটা দেখাতে বলছে তার হবু শাশুড়ি, মীম ততবারই রানবীরকে দেখতে পাচ্ছে। আর বুঝতে পারছে রানবীরের চোখে জল জমে আছে, শুধু চোখের পাতাটা নামালেই জল নেমে আসবে গালে।

 

মীমের গাল বেয়ে এবার চোখের পানি পড়ছে, এটা দেখে অনেকেই অবাক হলো। মীমের হবু শ্বশুর তো বলেই ফেলল— ‘মা, আজ তো আমরা কেবল দেখতে আসলাম, তুমি কাঁদছ কেন?’

 

উত্তর না দিয়েই সবাইকে অবাক করে দিয়ে মীম বসা থেকে উঠে দাঁড়াল এবং হবু বরের পেছনে দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়ানো রানবীরের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়াল। মীমের এমন কাণ্ড দেখে রানবীর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সবার দিকে একবার তাকিয়ে মীমের দিকে তাকাল। সবাই হিন্দি সিরিয়ালের মতো এক এক করে ঘাড় ঘুরিয়ে তাদের দুজনের দিকে তাকাল। মীমও মনে হয় সবাই তাকানোর জন্য অপেক্ষা করছিল। সবাই যখন এক দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকাল, ঠিক তখনই মীম রানবীরের ঘাড়ের পেছনে দুই হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে তার দুই ঠোঁট শক্ত করে কামড়ে ধরল।

 

গত সপ্তাহেই দুজনের গ্র্যাজুয়েশন শেষ হলো, আজ তারা দুজনে বিয়ের পিঁড়িতে। মীমকে দেখতে আসার ওই দিনে তার সেই সাহসিক কাজ শুধু তাদের দুজনের জীবনে সুখ বয়ে আনেনি, তাদের দুই পরিবারের কোন্দলেরও অবসান ঘটিয়েছে। অন্তত এই কারণে মীমের প্রতি দুই পরিবার কৃতজ্ঞ। 

 

আর রানবীরের কাছে তো মীম আজীবনই রানি আর নিজে মীমের কাছে কাপুরুষ। যদিও মীম এখন আর কাপুরুষ বলে না, কারণ ওই দিন রানবীর মীমের কাছে আসতে পারার সাহসই যে তাকে সাহসী করে তুলেছে, তা কেউ না জানলেও মীম নিজে তো জানে।


Shohag333

79 Blog posts

Comments