বানর থেকে মানুষের উদ্ভব এমন একটি বিষয়, যা বিজ্ঞানীদের মধ্যে বহুল গৃহীত একটি তত্ত্ব। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, মানুষ এবং বানরের একই পূর্বপুরুষ ছিল। কালক্রমে বিবর্তনের মাধ্যমে এই পূর্বপুরুষ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির বানর এবং মানুষের উদ্ভব হয়েছে।
এই তত্ত্বের পক্ষে যেসব প্রমাণ পাওয়া গেছে:
জীবাশ্ম: বিভিন্ন জীবাশ্মের মাধ্যমে মানুষ এবং বানরের মধ্যকার শারীরিক গঠনের মিল এবং ক্রমবিকাশের ধারা খুঁজে পাওয়া গেছে।
জিনগত মিল: মানুষ এবং বানরের জিনগত গঠন প্রায় 99% মিল। এই মিল থেকে বোঝা যায় যে, দুটি প্রজাতির মধ্যে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
আণবিক ঘড়ি: আণবিক ঘড়ির মাধ্যমে মানুষ এবং বানরের পূর্বপুরুষ কবে আলাদা হয়েছিল তা আনুমানিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে।
ভ্রূণ বিকাশ: মানুষ এবং বানরের ভ্রূণ বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে অনেক মিল রয়েছে।
কেন এই তত্ত্ব নিয়ে এত বিতর্ক:
ধর্মীয় বিশ্বাস: অনেক ধর্মীয় গ্রন্থে মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা দেওয়া হয়েছে। বিবর্তনবাদ এই ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন অনেকে।
অপর্যাপ্ত জ্ঞান: বিবর্তন একটি ধীরে ধীরে চলমান প্রক্রিয়া। এর সকল দিক এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা পুরোপুরিভাবে বুঝতে পারেননি।
বিবর্তনবাদ নিয়ে অনেক মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যেমন, বানর থেকে মানুষ হওয়ার কথাটি সরাসরি উল্লেখ করা হয় না, বরং বলা হয় যে মানুষ এবং বানরের একই পূর্বপুরুষ ছিল।