দৈনন্দিন জীবনে আমরা সবাই বয়সের ছাপ দেখতে পাই। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার শরীরেরই পরিবর্তন হয়। কিন্তু কেন এই পরিবর্তন? বিজ্ঞানীরা কী বলেন?
মানুষের জীবনের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হল বয়স বাড়া। শৈশব, কৈশোর, যৌবন, মধ্যবয়স আর বার্ধক্য – জীবনের এই সব পর্যায়গুলি একের পর এক অতিক্রম করে আমরা বৃদ্ধ হই। কিন্তু কেন এমনটা হয়, কী কারণে শরীরের কোষগুলো ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেয়?
বিজ্ঞানীরা কী বলেন?
কোষের বিভাজন: আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যেকটি কোষ দিয়ে গঠিত। এই কোষগুলো নিজেদের মতো করে নতুন কোষ তৈরি করে। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে কোষের এই বিভাজনের ক্ষমতা কমতে থাকে। ফলে নতুন কোষ তৈরি হওয়ার পরিমাণ কমে যায় এবং শরীরের ক্ষয় হতে থাকে।
ডিএনএ ক্ষতি: আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে ডিএনএ থাকে। এই ডিএনএই আমাদের শরীরের নকশা ধরে রাখে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। ফলে কোষের কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়।
টেলোমেয়ার: আমাদের ক্রোমোসোমের শেষ প্রান্তে টেলোমেয়ার নামক এক ধরনের ক্যাপ থাকে। প্রতিবার কোষ বিভাজিত হওয়ার সময় এই টেলোমেয়ার ছোট হতে থাকে। যখন টেলোমেয়ার খুব ছোট হয়ে যায়, তখন কোষ আর বিভাজিত হতে পারে না।
মুক্ত র্যাডিকেল: মুক্ত র্যাডিকেল হল অত্যন্ত ক্ষতিকর পরমাণু বা পরমাণু গোষ্ঠী। এই র্যাডিকেলগুলো কোষের ক্ষতি করে এবং বয়স বাড়ার কারণ হতে পারে।
বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে কি ধীর করা যায়?
বিজ্ঞানীরা এখনো বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে পুরোপুরি থামাতে পারেননি। তবে সুস্থ জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করা সম্ভব।
বয়স বাড়া জীবনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বিজ্ঞানীরা এখনো এই প্রক্রিয়ার সব রহস্য উন্মোচন করতে পারেননি। তবে বিজ্ঞানীরা এখনোও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে আরও ভালভাবে বুঝতে পারবেন।
**[এই নিউজটিতে আপনি আরও বিস্তারিত তথ্য যোগ করতে পারেন, যেমন বিভিন্ন রোগের সাথে বয়সের সম্পর্ক, বয়স বাড়ার প্রভাব ইত্যাদি।]**