ডিজিটাল যুগে কমেডি অভূতপূর্ব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা মূলত প্রযুক্তির অগ্রগতি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রসারের ফলে সম্ভব হয়েছে। পূর্বে যেখানে কমেডি প্রধানত টেলিভিশন, রেডিও বা মঞ্চের মাধ্যমে প্রকাশিত হতো, বর্তমানে এটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ভিডিও শেয়ারিং সাইট, মেমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
প্রথমত, কমেডির ধরন ও উপস্থাপনায় বৈচিত্র্য এসেছে। ইউটিউব, টিকটক এবং ইনস্টাগ্রাম রিলসের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে নতুন প্রজন্মের কৌতুকাভিনেতারা স্বল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত এবং সৃজনশীল উপায়ে কমেডি প্রকাশ করছেন। ঐতিহ্যবাহী স্ট্যান্ড-আপ কমেডির পাশাপাশি এখন স্কেচ, রিঅ্যাকশন ভিডিও এবং প্যারোডি ভিডিওও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এই পরিবর্তনের ফলে কমেডির ধরন আরো সহজ ও সমসাময়িক হয়েছে, যা বিভিন্ন শ্রোতাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে।
দ্বিতীয়ত, ডিজিটাল যুগে কমেডির ভোক্তা ও নির্মাতাদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দর্শকরা কমেডিয়ানদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন, যা তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ও দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরির সুযোগ তৈরি করেছে। এই মিথস্ক্রিয়া কমেডির উপস্থাপনা এবং বিষয়বস্তু উভয়ই প্রভাবিত করছে।
তৃতীয়ত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রসঙ্গের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কমেডির বিষয়বস্তুও পরিবর্তিত হচ্ছে। ডিজিটাল যুগে মানুষকে হাসানোর জন্য কৌতুকাভিনেতারা বৈশ্বিক ও সামাজিক ইস্যু নিয়ে হাস্যরস তৈরি করছেন। এর ফলে কমেডি এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং সামাজিক পরিবর্তনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সার্বিকভাবে, ডিজিটাল যুগের প্রভাবে কমেডি আরো ব্যক্তিগত, সাম্প্রতিক ও সৃজনশীল হয়েছে, যা সমসাময়িক সমাজের সাথে গভীরভাবে যুক্ত।
