আমার বোন আরিফা আক্তার রুপা। ও আমার থেকে ৪ বছরের সিনিয়র, কিন্তু ওর জীবনের কিছু কালো অধ্যায়ের জন্য ও ৩ক্লাস গ্যাপ পড়ে আমার এক ক্লাস ওপরে পড়ে
আমি নিউ টেনে উঠি আর ও SSC পরিক্ষা দিবে শিক্ষার্থী, এর মাঝে জানুয়ারির এক তারিখ ওর বিয়ে হয়।
আমিও ওর সাথে নতুন বছর ক্লাস না করে ওর শশুর বাড়ি রংপুর নীলফামারী জলডাঙ্গা যায়।
র্দীঘ ১৩ দিন পর আমরা ঢাকা আসি।তারপর ও পরিক্ষা আর আমার ক্লাস এভাবে চলছে সময়।
ওর বিয়ে নিয়ে অনেক কাহিনী হয় ওর শশুর বাড়ি তারপর দেখলাম গ্রামের হলুদ দেওয়া কাদা কালি মাখা ইত্যাদি।
আপু ইন্টার শেষকরে আর পড়েনি সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়।
সাড়ে তিন বছর এখন বাচ্চা নিতে বলা হচ্ছে কিন্তু আপুর তো কনসিভ হচ্ছে না ।
ভাইয়া নাকি তাকে বলছে বাচ্চা না হলে ছেড়ে চলে যাবে।এভাবে ৬ মাস চলতে থাকলো।
হঠাৎ সুখবর আপুর কনসিভ হয়।
৩ মাস পর বাড়ি যায় ৪ মাসের মাথায় আল্ট্রা করা হয় আল্ট্রার রির্পোট তো আরো খুশির সংবাদ, জমজ বেবি হবে।।আলহামদুলিল্লাহ আমরা তো মহা খুশি।
তখন জানতাম না ছেলে হবে নাকি মেয়ে।
আমরা অপেক্ষার পহর গুনতে থাকলাম,
দিন শেষ হয়ে আমাদের অপেক্ষা শেষ হলো।।দুইটা ফুটফুটে কন্যা সন্তান আসলো দুনিয়ার আলো দেখতে।
আজ তাদের ১০ বছর এখনো দুই পরী আমাদের মাঝে আনন্দ বিলিয়ে বেড়ায়।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ সবাইকে সন্তানের সুখের মুখ দেখাক,
দুই জমজ কন্যারা আজ এর্নাজী বিস্কুট এনে খেলনা পেয়ে মহা খুশি ?
খাবো আবার খেলবো ওদের মুখের বলি☺️