আমার অত্যন্ত বিজ্ঞান মনস্ক বন্ধু ইমরান আমার পাশে এসে বসলো। সে সবকিছুতে যুক্তি খুঁজে বেড়ায়।সচারচর তাকে এই সময় পাওয়া যায় না। হয় লাইব্রেরীতে থাকে না হয় পড়ার টেবিলে। তাকে এমন অবসরে থাকতে দেখে ভাবলাম তাকে একটু খোঁচানো যাক।
আচ্ছা দোস্ত বলতো ভূতের এলার্জির ওষুধ কি?
- "ভূতের এলার্জি! কী আশ্চর্য ধারণা!"
এইটুকু বলেছে এমন ভাবে তাকালো যেন আমাকে এক্ষুনি খেয়ে ফেলবে। তারপর লম্বা চওড়া একটা লেকচার দিয়ে দিল।
-"বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভূতের অস্তিত্ব নেই। এলার্জি হল কোনো নির্দিষ্ট পদার্থের প্রতি শরীরের অতি সংবেদনশীলতা। যেমন, কেউ ফুলের পরাগের প্রতি এলার্জিক হলে তার নাক ফুলে যায়, চোখ চুলকায়। কিন্তু ভূত একটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত বস্তু নয়। তাই ভূতের এলার্জি হওয়া সম্ভব নয়।"
আমি বললাম থাম এবার কিন্তু সে বলেই যেতে লাগলো।
--"তবে, ভূতের কথা শুনলে বা ভূতের চিন্তা করলে যদি কারও ভয় বা উদ্বেগ হয়,তাহলে তার শারীরিক কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন, হৃদস্পন্দন বাড়তে পারে, ঘাম বের হতে পারে, শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কিন্তু এটি আসলে এলার্জি নয়, এটি ভয় বা উদ্বেগের কারণে শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। "
আমি বললাম থাম এবার আমি গেলাম। এই কান মলছি আর কখনো তোকে খ্যাপাতে যাব না।