বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা। বিশ্বজুড়ে নারী এবং পুরুষের মধ্যে বাণিজ্যে সমান সুযোগের অভাব লক্ষ করা যায়। বিশেষ করে, নারী উদ্যোক্তারা অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবসায় সাফল্য অর্জনের পথে বৈষম্যের সম্মুখীন হন। তাদের জন্য মূল বাধাগুলোর মধ্যে রয়েছে যথাযথ অর্থায়নের অভাব, ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কে প্রবেশের সীমাবদ্ধতা এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি।
বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক পরিবেশে পুরুষরা সাধারণত প্রভাবশালী অবস্থানে থাকে, যার ফলে নারীরা উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা নেতৃত্বের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে। এর সঙ্গে যোগ হয় সামাজিক প্রত্যাশা, যেখানে নারীর মূল ভূমিকা পরিবারে সীমাবদ্ধ রাখা হয়।
নারী ব্যবসায়ীদের অর্থায়ন পেতে পুরুষের তুলনায় বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, কারণ অনেক সময় ঋণদাতারা নারীদের ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে অনাগ্রহী থাকে। এছাড়া, নারীরা পেশাগত নেটওয়ার্ক গঠনে অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষদের মতো সুবিধা পায় না, যা তাদের ব্যবসায়িক উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করে।
এই বৈষম্য দূর করতে সমাজ এবং সরকারের উভয়ের উদ্যোগ প্রয়োজন। শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক তৈরি এবং অর্থায়ন সহজলভ্য করা নারীদের ক্ষমতায়ন করবে। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে লিঙ্গ বৈষম্য কমানো গেলে শুধু নারীদের অবস্থানই নয়, বরং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ত্বরান্বিত হবে।