পুরাতন গাড়ির সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা উন্নত করা জরুরি, কারণ আধুনিক গাড়ির তুলনায় এগুলোতে সাধারণত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সীমিত থাকে। পুরাতন গাড়িতে সিটবেল্ট এবং এয়ারব্যাগের মতো মৌলিক নিরাপত্তা উপাদান থাকলেও, এগুলোর কার্যকারিতা আধুনিক মানের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে। তাই, এই গাড়িগুলোর সুরক্ষার জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
প্রথমত, সিটবেল্ট আপগ্রেড করা জরুরি। পুরাতন গাড়ির সিটবেল্টগুলো প্রায়ই সময়ের সাথে দুর্বল হয়ে যায়। নতুন এবং মানসম্মত সিটবেল্ট ব্যবহার করলে দুর্ঘটনার সময় সুরক্ষা বৃদ্ধি পায়।
দ্বিতীয়ত, এয়ারব্যাগ ইনস্টলেশন একটি বড় ধরনের সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ হতে পারে। অনেক পুরাতন গাড়িতে এয়ারব্যাগ থাকে না, তাই বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে এটি যুক্ত করা হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে।
এন্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম (ABS) পুরাতন গাড়িতে থাকলে তা রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি। ABS টায়ারের লকিং রোধ করে এবং বিপদজনক অবস্থায় দ্রুত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও, রিয়ারভিউ ক্যামেরা এবং পার্কিং সেন্সর ইনস্টল করে পুরাতন গাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো যায়। এগুলো পার্কিংয়ের সময় বা পেছনে থাকা বস্তুর সাথে সংঘর্ষের ঝুঁকি কমায়।
সবশেষে, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং টায়ারের চাপের সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করা জরুরি। পুরাতন গাড়ির যন্ত্রাংশগুলো সময়ের সাথে দুর্বল হতে পারে, তাই নিয়মিত মেকানিক দ্বারা পরীক্ষা করা উচিত।
এই সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে পুরাতন গাড়ি চালানোর সময় সুরক্ষা বৃদ্ধি পায়, যা চালক ও যাত্রীদের সুরক্ষিত রাখে।