ইটের ভাটা হলো এমন একটি শিল্প যেখানে ইট তৈরি ও পোড়ানো হয়, যা নির্মাণ শিল্পের জন্য অত্যাবশ্যক উপকরণ। তবে ইটভাটার কার্যক্রম পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। ইট পোড়ানোর জন্য সাধারণত কয়লা, কাঠ বা অন্যান্য জ্বালানি ব্যবহার করা হয়, যা বায়ুদূষণ সৃষ্টি কর এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক গ্যাস নির্গত হয়, যা বায়ুর মান খারাপ করে এবং স্থানীয় মানুষের শ্বাসকষ্টজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
এছাড়াও, ইটভাটার জন্য প্রয়োজনীয় মাটি সংগ্রহের ফলে কৃষিজমির উর্বরতা কমে যায় এবং ভূমিক্ষয় ঘটে। অনেক সময় ইট পোড়ানোর জন্য কাঠ সংগ্রহ করতে স্থানীয় বনাঞ্চল ধ্বংস হয়, যা জীববৈচিত্র্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্থানীয় উষ্ণতা বৃদ্ধিতেও ইটভাটার ভূমিকা রয়েছে, কারণ এর তাপ নির্গমন স্থানীয় তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
তবে, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি এবং বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করে ইটভাটার নেতিবাচক প্রভাব অনেকাংশে কমানো সম্ভব। উন্নত ইটভাটা প্রযুক্তি গ্রহণ এবং কঠোর পরিবেশগত নীতি মেনে চলার মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি কমানো যেতে পারে।
ইটের ভাটা পরিবেশের জন্য নানা ধরনের ক্ষতি করতে পারে, যেমন:
1. বায়ুদূষণ: ইট পোড়ানোর জন্য কয়লা, কাঠ, এবং অন্যান্য জ্বালানী ব্যবহার করা হয়, যা থেকে প্রচুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
2. মাটি ও ভূমি ক্ষয়: ইট তৈরির জন্য অনেক সময় উর্বর মাটি খনন করা হয়, যা কৃষিকাজে ব্যবহৃত মাটির উর্বরতা কমিয়ে দেয় এবং ভূমিক্ষয় ঘটায়।
3. গাছপালা ধ্বংস: অনেক ইটভাটার কাছাকাছি এলাকা থেকে কাঠ সংগ্রহ করা হয়, যা স্থানীয় বনাঞ্চল এবং গাছপালা ধ্বংস করে। ফলে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয় এবং পরিবেশে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়।
4. জল দূষণ: ইট পোড়ানোর পর ইটভাটার বর্জ্য পানি জলাশয়ে গিয়ে দূষণ ঘটাতে পারে, যা স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতি করে।