বাণিজ্য সুরক্ষা নীতি এমন একটি কৌশল যা দেশের অর্থনীতি এবং স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়। এই নীতিগুলির মূল উদ্দেশ্য হল বিদেশি প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা প্রদান করা এবং দেশের অর্থনীতিতে শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করা।
বাণিজ্য সুরক্ষা নীতির মধ্যে সাধারণত শুল্ক বৃদ্ধি, আমদানি সীমাবদ্ধতা, এবং বিভিন্ন কোটার প্রয়োগ অন্তর্ভুক্ত থাকে। উদাহরণস্বরূপ, একটি দেশ যদি বিদেশি পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করে, তাহলে তা স্থানীয় পণ্যগুলোর দাম কমিয়ে দেয়, ফলে ক্রেতারা স্থানীয় পণ্য ক্রয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এটি স্থানীয় শিল্পকে উন্নত করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও, এই নীতিগুলি দেশের অর্থনৈতিক স্বায়ত্তশাসন রক্ষায় সহায়ক। বাণিজ্য সুরক্ষা নীতি অবলম্বন করলে একটি দেশ বৈদেশিক বাজারের উপর কম নির্ভরশীল হতে পারে, যা বিশ্ব অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় তাদের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে।
তবে, বাণিজ্য সুরক্ষা নীতির কিছু নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। বিদেশি পণ্যের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের কারণে স্থানীয় বাজারে প্রতিযোগিতা কমে যেতে পারে, যা উদ্ভাবন ও গুণগত মানের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অতএব, বাণিজ্য সুরক্ষা নীতি প্রয়োগের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, যাতে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুবিধার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।