চলচ্চিত্রের বিবর্তন একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া যা প্রযুক্তির অগ্রগতি, সামাজিক পরিবর্তন এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। প্রথমদিকে, চলচ্চিত্র ছিল মুক ও সাদাকালো। ১৮৯৫ সালে, লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন, যা বাস্তব জীবনের মুহূর্তকে স্থির ছবির ধারায় তুলে ধরেছিল। তবে এ সময়ে চলচ্চিত্রের স্থায়িত্ব ছিল সীমিত এবং কোনো শব্দ ছিল না।
১৯২০-এর দশকে, সাইলেন্ট ফিল্মের যুগে চলচ্চিত্রে নাটকীয় উপস্থাপনা ও শারীরিক অভিনয়ের উপর বেশি জোর দেওয়া হতো। ১৯২৭ সালে, প্রথম সবাক চলচ্চিত্র “দ্য জ্যাজ সিঙ্গার” মুক্তি পায়, যা চলচ্চিত্র শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে। এরপর ১৯৩০-এর দশকে রঙিন চলচ্চিত্রের উদ্ভব ঘটে, যা দর্শকদের জন্য আরও বাস্তবসম্মত অভিজ্ঞতা এনে দেয়।
১৯৫০-এর দশকে টেলিভিশনের উত্থানের সাথে চলচ্চিত্র নির্মাতা ও স্টুডিওগুলি নতুন নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা গ্রহণ করতে শুরু করে, যার মধ্যে সাইন্স ফিকশন ও থ্রিডি প্রযুক্তির ব্যবহারের শুরুর দিক। ১৯৭০-এর দশকে, ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রের যুগ শুরু হয় এবং "স্টার ওয়ার্স" ও "জস" এর মতো সিনেমাগুলি বৃহত্তর দর্শক আকৃষ্ট করে।
বর্তমানে, ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ভিজ্যুয়াল এফেক্টস ও কম্পিউটার গ্রাফিক্সের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের মানসিক ও চাক্ষুষ গভীরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও স্ট্রিমিং সার্ভিসের উদ্ভব চলচ্চিত্র দেখার অভ্যাসেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।