সমসাময়িক শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত পরিবর্তনে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়ের জন্য শিক্ষাকে সহজতর ও কার্যকর করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষার সুযোগ তৈরি করছে AI, যা তাদের নিজস্ব গতি এবং শৈলী অনুযায়ী শেখার অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
উদাহরণস্বরূপ, বিভিন্ন এডুটেক প্ল্যাটফর্মে AI নির্ভর ব্যক্তিগতকৃত পাঠ্যক্রম তৈরি করা হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীর দুর্বলতা ও শক্তির ওপর ভিত্তি করে উপস্থাপিত হয়। এর ফলে, শিক্ষার্থীরা তাদের কনসেপ্ট ভালোভাবে বুঝতে পারছে এবং তাদের শেখার প্রক্রিয়া আরও ফলপ্রসূ হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষণ ও মূল্যায়নের ব্যবস্থাও চালু হচ্ছে, যা শিক্ষককে সময় বাঁচাতে এবং শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পেতে সহায়তা করে।
এছাড়া, শিক্ষকদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্লাস পরিচালনা ও শিক্ষার্থীর অগ্রগতি নিরীক্ষণে সাহায্য করছে। AI ভিত্তিক চ্যাটবট এবং ভার্চুয়াল সহায়ক শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের দ্রুত উত্তর দেওয়া এবং তাদের শেখার সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম।
তবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই ব্যবহার শিক্ষাক্ষেত্রে নৈতিকতা এবং গোপনীয়তার চ্যালেঞ্জও তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, এবং শিক্ষকদের মানবিক ভূমিকার বিকল্প হিসেবে AI ব্যবহার না করা, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
অতএব, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঠিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহার ভবিষ্যতের শিক্ষাকে আরও উন্নত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে পারে।