পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি বা "গ্রীন ইকোনমি" একটি নতুন অর্থনৈতিক ধারণা যা পরিবেশ সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়। এই অর্থনৈতিক মডেলটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি মানবকল্যাণ, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত স্থিতিশীলতা একসঙ্গে কার্যকরভাবে সংহত করতে পারে।
প্রথমত, পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করে। সৌর, বায়ু এবং জল শক্তির মতো উৎসগুলি ব্যয়বহুল জ্বালানির পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, যা কার্বন নির্গমন কমায় এবং পরিবেশ সুরক্ষায় সহায়ক হয়।
দ্বিতীয়ত, এই অর্থনৈতিক মডেলটি সুষম সম্পদ ব্যবহার এবং বর্জ্য হ্রাসের উপর গুরুত্ব দেয়। এটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী এবং সাসটেইনেবল উৎপাদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্যে সম্পদের ব্যবহারকে উন্নত করে।
তৃতীয়ত, পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি সামাজিক দায়িত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে। এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য একটি সুস্থ পরিবেশ তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ এলাকা ও নগরায়ণের উন্নয়নে সহায়তা করা হয়।
অবশেষে, এই অর্থনীতি বৈশ্বিক সহযোগিতা ও নীতিমালা উন্নয়নের ওপর জোর দেয়। সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য।
সুতরাং, পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি একটি টেকসই ভবিষ্যতের পথনির্দেশক, যা মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার পাশাপাশি আমাদের পৃথিবীর সংরক্ষণে সহায়ক।